সম্প্রতি একিট বিজ্ঞাপন বেশ নজর কেড়েছে। নতুন একটি দৈনিকের শ্লোগান (আংশিক নয় পুরোপুরি সত্য) প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বানানো হয়েছিলো। কয়েকজন মানুষ, চোখ বাধা। তাদেরকে হাতির কাছে নেয়া হলে কেউ লেজ দেখে বলে হাতি চাবুকের মতো। কেউ পা ধরে বলে খাম্বার মতো। কেউ কান ধরে বলেন হাতি কুলার মতো। তারপর শেষে বলা হয় আমরা চারদিক থেকে হাতি দেখি, দেখাই। পুরো সত্য যধিস্টিরো বলতে পারেন নি। েসখানে কর্পোরেট গণমাধ্যম সে উদ্যোগ নেয়াটা সাহসেরই বেট। কিন্তু এক মাসের সেই দৈনিকটি ধরে ধরে তারা কি এটা দাবি করতে পারবেন যে তারা আংশিক সত্য বলেন নি, পুরোটাই বলতে চেস্টা করেছেন? জানুয়ারী থেকে পর পর কয়েকটি ঘটনা জাতীয় অঙ্গনে ঘটে গেলো। ফলে নতুন কোন গণমাধ্যম এ সময়ে এলে তারা সামনে করে দেখানোর মতো ইস্যু পেয়েছে। পাহাড়ের ঘটনার উদাহরণ দিই। যেদিন দিপংকর পাহাড় পরিদর্শনে গেলেন তখন একটা ছবি ছাপানো হলো। একজন পাহাড়ি তাদের গাড়ি বহরের গাড়ি ভাঙছেন। ছবিটা খুব ভালো। কিন্তু রিপ্রেজেন্টেশন খুব খারাপ বিষয়। হয়তো তারা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেনি কিন্তু পরিপ্রেক্ষিত সেটাকে নেতিবাচক বানিয়ে ফেলেছে।
আমরা যারা পাহাড়কে চিনি না। তারা ভাববো, আরে তোমার কস্টের কথা জানতে গেছে যে তারেই তুমি তেড়ে উঠলা? কিন্তু যারা পাহাড়কে জানি তারা বুঝবো কোন কস্টের, ক্ষোভের জায়গা থেকেতারা গাড়ি ভাঙতে গেছে। কিন্তু েবশির ভাগ সমতরের মানুষ আসল চিত্র সম্পর্কে ন্যুনতম ধারণা রাখে না। এটা কারো দোষ হিসেবে দেখার উপায় নেই। আমাদের গণমাধ্যম যেভাবে উপস্থাপন করবে আমরা আম জনতা েতা তাই জানব। আর পাহাড়ের ক্ষেত্রে প্রচারণাগুলো এতোটাই ভয়াবহ যে আমরা মনে কির পাহাড়ের মানুষ এখনো বাংলাদেশ চায় না। তারা ভারতের হয়ে যেতে চায়। ফলে সে দৈনিকটাতে প্রকাশিত ছবি কি আমাদের সত্য জানাতে পারে? সত্য আমার কাছে যেটা সেটা আপনার কাছে তো সত্য নাো হতে পারে। ফলে আমাদের এক সাথে পুরো হাতি দেখানোর প্রজেক্ট সফল হবে কি করে?