পরস্পরবিরোধী কাজ দেখতে দেখতে ক্লান্ত লাগে ভীষণ। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ী স্বজাতিকে পিটায় তাহারাই আনু স্যরকে পুলিশ পিটানোর বিরোধীতা করে অবলীলায় পত্রিকায় লেখেন আর নাম প্রকাশ করেন। আমি জেএসএস আর ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কথা বলছি। আজ প্রথম আলোয় দীপায়ন খীসার নাম দেখে মজা লাগলো। আনু স্যরকে পুলিশ মারলে তাদের লাগে। আর জাত-ভাইদের সেনারা ধরলে আনন্দ লাগে? এও সম্ভব। কেন নয়?? নাহলেতো বুদ্ধিজীবীদের ছত্রছায়াটা হারাবো। রাতের আধারে কোন জাতভাইকে তাড়া করলাম তাতো আর কেউ দেখছে না। তাই বলে দিনে দুপুরে এক স্যরকে পুলিশ পিটাবে সেটার প্রতিবাদে সামনে এগুবো না?? তাই কি হয় নাকি?
আবার যাহারা ফুলবাড়িতে ২০০৬এ জাতীয় সম্পদ রক্ষার দায়ে আম জনতার রক্তে রাজপথ রাঙালো। তারাই আবার এখন আনু স্যরকে বলছেন আমরা জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আপনাদের পাশে আছি। আমাদের রাজনীতির রসায়ন কি চমতকার। যাই কোথায়??? কিন্তু প্রশ্ন হলো আনু স্যর এর উদ্দেশ্যে। স্যর কোন রাজনীতির জায়গা থেকে আপনি খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করলেন? আপনার নিশ্চয় ব্যাখ্যা আছে এবং অবস্থান নেয়ার শক্ত কারণ আছে। আপনি তার সাথে কথা বলুন আর নাই বলুন তিনি তো ফলাও করে টেলিভিশনে দেখালেন। আনু মুহাম্মদের সাথে দেখা করে আন্দোলনের সাথে তাকার কথা জানালেন খালেদা জিয়া। সারারাত দেখতে থাকলাম। তার রাজনীতি তিনি সফলভাবে করে গেলেন আপনি কিন্তু আমাদের মতো সাধারণের কাছে হেরে গেছেন। আপনার রাজনীতিটুকু আপনি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাতে আপনার কিছু যায় নাও আসতে পারে। তারপরও এখন অবশ্যই কেবল আপনার সেরে ওঠাটাকেই সবচেয়ে জরুরি মনে করি।