গান্জায় দিয়েছি টান
নাচচে আনন্দে প্রাণ
কিন্তু শরীর জিমায়।
বানরের বংশধরদের থেকে মানুষের সৃষ্টি।এ বৈজ্ঞানিক সত্যটুকু আস্তিকেরা বিশ্বাস করতে চায় না।কিন্তু তথাকথিত আস্তিকেরা কি বিশ্বাস করলো বা করলোনা সেটা নিয়ে নাস্তিকদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।আমিও একসময় বিশ্বাস করতাম আদম-হাওয়া থেকেই পরবর্তী মানুষেরা জন্মগ্রহণ করেছে।এবং মানুষ মৃত্যুর পর হয় জান্নাতে অথবা জাহান্নামে যাবে মানুষেরা।জান্নাতে গেলে পাওয়া যাবে অপরুপা সুন্দরী হুর।ভাবতেই কেমন জানি শরীরে আগুনের একটি ফাল্গুধারা অনুভব করতাম। কিন্তু আমার সে বিশ্বাস ভেঙ্গেচুরে গুড়ো গুড়ো হয়ে গেছে।
গুড়ো->গুড়ো->গুড়া->গুড়া কৃমির অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলাম প্রায় ৫ বছর।হাই প্রেসক্রিপশানের ঔষুধ থেকে শুরু করে গুলিস্তানের পাগলা বাবার বড়ি পর্যন্ত খেয়েছি কিন্তু কোন লাভই হয় নাই।উল্টো চলতে ফিরতে গুড়াকৃমির চুলকানীতে অতিষ্ট ছিলাম।পার্কের সিটগুলোতে পাছা ঘষতে ঘষতে পাছা কভেই ন্যাড়া হয়ে গিয়েছিলো।প্রতিদিনই আল্লাহকে স্মরণ করতাম।গুড়াকৃমির অত্যাচার থেকে নিষ্কৃতি চাইতাম।কিন্তু গুড়াকৃমির অত্যাচার থেকে কিছুতেই নিষ্কৃতি পাচ্ছিলাম না।
একদিন গভীর রাতে গুড়াকৃমির সুরসুরানিতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।রাগে শরীর গরগর করতে থাকলো।হঠাৎ মাথায় বিদ্যুতের মতো বুদ্ধি চেপে গেলো।আঙ্গুলে কতটুকু নারকেল তেল মাখিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম।প্রায় ১০ মিনিট পর শান্তি।আহা!এভাবেই চলতেই লাগলো।কিছুদিন যেতে না যেতেই পুরাপুরি ভালো হয়ে গেলেও ঐ অভ্যাসটুকু ছাড়তে পারলাম না।ফলে অভ্যাস থেকে আরেকটি কু-অভ্যাসের সৃষ্টি হলো।সুঠাম স্বাস্থ্যের কোন ছেলে দেখলেই তার প্যান্টের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।
মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো একদিন ছাগাফুরের সাথে দেখা!জান্নাতের হুর থেকে ছাগাফুর বিবর্তনের একি ধারা!দিনে দিনে ছাগাফুরে মুগ্ধ হতে থাকলাম।ছাগাফুরও লোলুপ দৃষ্টি দিয়ে আমার পচ্চাৎদেশে তাকিয়ে থাকতো।আমি বুঝতাম কিন্তু সাহস পেতাম না।একদিন ছাগুফুরই পশ্চাৎদেশে হাত দিতে লাগলো।তারপর........।ছাগাফুর একজন নাস্তিক সর্দার।তাই উনি আমাকে নাস্তিকতার দীক্ষা দিতে শুরু করলো।নাস্তিক না হলে আমি কি এতো সুখ পেতাম?এই প্রশ্নটা করে আমাকে জটিল অবস্থানে ফেলে দিলো।আমিও সাময়িক সুখলাভের আশায় নিজেকে একজন নাস্তিক হিসাবে আত্নপ্রকাশ করালাম।
একজন নাস্তিক এভাবেই তার নাস্তিক হওয়ার কাহিনী বর্ণনা করলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:০৮