আধুনিক সংবাদমাধ্যমের প্রবাদপুরুষ, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট পাণ্ডিত্যমনা ব্যাক্তিত্ব ও একবিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ডক্টর মাহফুজুর রহমানের শিল্পানুরাগী হৃদয়ের পরিচয় আমরা সকলে অনেক পুর্বেই পেয়েছিলাম। অসামান্য মহৎ হৃদয়ের অধিকারী এ ব্যাক্তি এ দেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা নারী শিল্পী সুমুধুর দোয়েলকণ্ঠী ইভা রহমানকে বিগত বহু বছর ধরে পৃষ্ঠপোষকতা করে চলছেন। বলাইবাহুল্য যে তাঁর অসীম সমর্থন ব্যাতীত ইভা রহমানের মত আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কণ্ঠশিল্পীর পরিচয় মানবজাতি বোধহয় কখনোই লাভ করতনা। এ মহান ব্যাক্তিত্ব সম্প্রতি একজন উদীয়মান সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজেও সংস্কৃতিজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। অনন্য প্রতিভার পরিচয় দিয়ে তিনি তাঁর প্রথম গানের মায়াবী ছোঁয়ায় বিশ্বের সকল সঙ্গীতপ্রেমীর হৃদয়ের মণিকোঠার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছেন।
কিন্তু হায়! জাতি হিসেবে আমরা আরও একবার অবিবেচনা ও অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করলাম। এ মহান শিল্পীর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কয়েকটি মহল বেশ কিছুদিন যাবত তাঁর ব্যাপারে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে যেখানে পুলিশ ও গোয়েন্দাসমাজ কার্যকরী সুত্রের অভাবে অকুল পাথারে ভাসমান ছিল সেখানে এ জাতির অলঙ্কার ডঃ মাহফুজুর রহমান তাঁর অত্যন্ত সূক্ষ্ম মেধা প্রয়োগ করে নিজস্ব তদন্তের মাধ্যমে সুত্র আবিস্কার করতে সক্ষম হন। কিন্তু একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল তাদের দুরভিসন্ধি সার্থক করতে ক্রমাগত সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিত এ বাঙালীর প্রতি পাশবিক মনস্তাত্ত্বিক হামলা করতে থাকে যা তাঁর কোমল শিল্পীমনের প্রতি অত্যন্ত পাষণ্ড ব্যবহারের পরিচায়ক। আর সর্বশেষ ঘটনাটি তো স্মরণকালের সর্বাধিক বর্বরোচিত উদাহরণ হিসেবে পরিগণিত। অমানবিক পাষণ্ডের দল তার গুণমুগ্ধ ভক্তকুলের ওপর অযাচিত বর্বর হামলা চালায় যা দেখে পাষাণহৃদয়ও আকুলচিত্তে কেঁদে উঠবে।
অতএব সমগ্র জাতির অহংকারস্বরূপ এ মহান শিল্পীর প্রতি এহেন নারকীয় আচরণ বন্ধ করা হোক।