যখন প্রথম কম্পু কিনি, উদ্দেশ্য একটাই ছিল..... শুধু গেম খেলব, আর গেম খেলব। কারণ ততদিনে রাস্তার ভিডিও গেমগুলা খেলতে খেলতে প্রায় মুখস্ত।
সেই থেকেই খেলে যাচ্ছি একের পর এক গেম। হয়ত ভেবেছিলাম একসময় থেমেযাবে এই গেমযাত্রা। কিন্তু না এই ভার্সিটি লাইফেও আমার গেমিং এর নেশা কাটে নি।
কম্পুতে একা একা খেলার চেয়ে ল্যান করে বা অনলাইনে বন্ধুদের সাথে খেলার মজাই অন্যরকম। কয়েকদিন আগেও ফিফা খেলতাম ল্যান করে কিন্তু সর্বশেষ এডিশনে ল্যান বন্ধ করে দেয়ায়, আমার মাথায় হাত।
মাস দুএক আগে এক ক্লাসমেটের কাছে শুনলাম এই গেমের কথা। সেই থেকে খেলেই যাচ্ছি, খেলেই যাচ্ছি।
League of Legends হল একশন ভিডিও গেম। পাবলিশ করেছে রিঅট গেম। যারা WARCRAFT 3 খেলেছেন তাদের কাছে পরিচিত মনে হবে কারণ অনেকটা ওই আদলে তৈরি।
GAME PLAY: দুইটা টিমের মধ্যে খেলা হয়ে থকে (3v3, 5v5)। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার টিমমেট নিতে পারবেন।
CHAMPION: এই গেমে প্রায় ৯৫ টা ক্যারেকটার আছে যাদের মধ্যে থেকে ১ জনকে নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু।
STRATEGY: এই খেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিপক্ষের NEXUS ধ্বংস করা। সেটা করতে হলে আপনাকে বিপক্ষের CHAMPION, TURRET, MINION ইত্যাদি ধ্বংস করতে হবে। আপনি যতই বিপক্ষের চ্যাম্পিয়ন মারবেন আপনার লেভেল বাড়বে এবং সেই সাথে আপনাকে gold দিবে যা দিয়ে আপনি আপনার চ্যাম্পিয়নকে বিল্ড করতে পারবেন, বিভিন্ন আইটেম কেনার মাধ্যমে।
GAME MODES: মোট চার ভাবে খেলা যেতে পারে এই গেমটি।
১> PvP (player vs. player) : নামেই বোঝা যাচ্ছে দুইটি গ্রুপের (3v3, 5v5) মধ্যে লড়াই।
২> Co-op vs. AI: এখানে আপনাদের বিপক্ষে কম্পু player ঠিক করে দিবে।
৩> Custom: নিজের ইচ্ছামতন গেমমোড বানানো যাবে।
৪> Tutorial: নতুনদের জন্যে। কীভাবে কী করতে হবে সেসব নির্দেশনা দেয়া আছে।
GAMING SPREE: আপনাকে প্রতিটি গেমের জন্যে (পারফরমেনসের ভিত্তিতে IP & XP দেয়া হবে যা দিয়ে পরবর্তিতে বিভিন্ন CHAMPION কিনতে পারবেন। এবং আপনার চ্যাম্পিয়নকে বিল্ড করতে পারবেন।
সবচাইতে বড় কথা এইটা সম্পূর্ণ ফ্রী। কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই এই গেম খেলছি। খুববেশি স্পীডের ইন্টারনেট কানেকশনও লাগে না। 20kBps হলে যথেষ্ট।
ইচ্ছা হলে ঘুরে আসতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০