সেদিন হয়তো চন্দ্রগ্রহণ ছিলনা, আবার পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নাও নয়! সেই আবছা আলোর রাতে দুঃখ বিকি কিনি হয়েছিল, শব্দের বিনিময়ে, একজন শব্দ বালক আর সাবালিকার মাঝে !! শব্দ বালক শব্দ বুনত, আর সাবালিকা বুনত স্বপ্ন!!
সেই শব্দ আর স্বপ্ন মিলে একাকার হয়েছিল ..................... সেই রাত!!
আজ সেই রাত -
শব্দ বালক বড্ড তৃষ্ণার্ত। ডাহুকের সুরে আর জ্যোৎস্নার কাব্যে ভালবাসা খুজতে তৃষ্ণার্ত!!! তাঁর চাই ভালবাসা!
সাবালিকা -
" তোমার তৃষ্ণায় খুজেছিলাম প্রেম
অথবা জ্যোৎস্নায় কোন অন্ধকার
আজ সব কিছু হারিয়েছি,
ভালবাসাতেই পারাপার!!! "
শব্দ বালক বড্ড ক্লান্ত। মেঘের ভেলায় শিশির ধরতে, দোয়েলের সুরে অনুভব খুজতে ক্লান্ত!! তাঁর চাই ঠাই!
সাবালিকা-
''মেঘের ভেলায় ভেসেছিলাম আমরা
রোদ কে বৈঠা করে !!
দিগন্ত জুড়ে শুধু তুমি আর আমি
রং ধনুর ঠাই আমাদের ঘরে!!!"
শব্দ বালক বড্ড অস্থির, পাড়ি জমাতে ঐ পার, আর কিছু অচেনা , হারানো সুর খুজতে অস্থির!! তাঁর চাই ধীরতা!
সাবালিকা-
''প্রজাপতির ডানায় ভর করে
বালক টি গিয়েছিল অনেক দুর......
আমাকে হারানোর বিনিময়ে
কিনেছে সে ডাহুকের সুর!!''
শব্দ বালক আসক্ত, সিগারেটের কালো ধোঁয়ায় তাঁর যত আসক্তি!! আর ছাই গুলো অস্পৃশ্য, আর সেই ধোঁয়ায় সে আসক্ত!! তাঁর চাই বোধ!
সাবালিকা-
''সিগারেটের ধোঁয়ায় ভালবাসা গুলো উবে গিয়েছিল
অথবা ছাই হয়ে গড়িয়েছিল কোন নোংরা কৌটোর ভাজে!!
সেই ছাই তুলে মেখেছিলাম গায়ে , পরম ভালবাসায়
তোমার প্রেমে ক্লান্ত হয়ে , তোমার স্পর্শের খোঁজে!!! ''
এবং অতঃপর, শব্দ বালক শব্দ বুনল, নতুন করে, নতুন সুরে কিছু শব্দ বুনল, শব্দ পাগল হয়ে শব্দ বুনল সাবালিকার জন্য ............
কিন্তু -
''আমি এক শব্দ পাগলকে ভালবেসেছিলাম
সে আমার জন্য শব্দ বুনত!!
তাঁকে কখনও স্পর্শ করা হয়নি!
শুধু তাঁর শব্দের বুননের ঘ্রান নিয়েছিলাম!
সে আজ অবধি শব্দ বুনছে!!
আমি এক শব্দ পাগলকে ভালবেসেছিলাম,
সে শব্দের সাথে শব্দ বুনত!
তাঁকে কখনও দেখা হয়নি !
শুধু তাঁর শব্দ বুনন কল্পনা করেছিলাম!
সে আজ অবধি শব্দ বুনছে!
সে বহুকাল ধরে শব্দ বুনছে ,
মৃত্যুর সাথে মৃত্যু গুনছে...
আমাকে পাওয়া হয়নি তাই!!!''