ঠক-ঠক-ঠক
‘কে?’
‘আমি করোনা ভাইরাস, দরজাটা একটু খোলা যায়?’
‘হাঃহাঃহাঃহাঃ, তুমি নিজের পরিচয় দিয়েছ, মাথা খারাপ দরজা খুলবো?’‘
অন্ততপক্ষে জানালাটা খোলো।’
‘একটুও না।’
‘ভেন্টিলেটারের ঘুলঘুলিটা?’
‘ওটাও পেরেক ঠুঁকে বন্ধ করে দিয়েছি।’
‘ঠিক আছে, তোমার ঘরে নাই বা ঢুকলাম। তোমার প্রতিবেশীর বাড়িতে তো ঢুকতে পারি।’
‘মনে হয়না সেখানেও পারবে। কারন সবার দরজায় তালা।’
‘পারবো দাদা পারবো। যখন আমি তোমাদের রক্তে মিশে যাবো তোমরা ঢলে পড়বে। ছুটবে হসপিটালে। সেখানে তোমাদের রক্ত পরীক্ষা করবে। আমাদের খুঁজে পাবে তোমাদের রক্তে। মনে রাখবে সেই পাওয়াই শেষ তোমাদের জন্য। হসপিটাল থেকে আর ছাড়া পাবেনা। ওখানেই তোমাদের মেরে পুতে দেবে ওরা। ভুলেও কখনও হসপিটালে যেওনা। মরলে ঘরেই মতো। অন্তত আমরা একটু একটু করে তোমাদের দেহটা খাবার সময় পাবো।’
‘কোন আপত্তি নেই। তবে মাথা মোটা করোনা ভাইরাস এটা মনে রেখ যে, তুমি চায়নিজ মাল। দু’দিন পরই তোমার স্প্রিং নষ্ট হয়ে যাবে, ব্যাটারি লুজ হয়ে যাবে, আইসি পুড়ে যাবে, রঙ চটে যাবে, টাইট বডি ঢিলে হয়ে যাবে। তোমাদের আয়ু বেশ দিন নেই। জিতবো আমরাই। ১৯৭১ এ তোমাদের মতো আরেক ভাইরাস দলের সাথে আমরা যুদ্ধ করেছি। তোমাদের মতো আরেক দেশের ভাইরাসের দল তিরিশ লাখ মানুষ হত্যা করেছিল সেবার। তারা কি পেরে উঠেছিল তারপরও? বাঙালীর রক্তের সাথে সেই ভাইরাসের রক্ত মিলতে পারেনি। কারন আমাদের সম্পুর্ন
ভিন্ন একটা ভাষা ছিল, সম্পুর্ন ভিন্ন একটা সংস্কৃতি ছিল, এক মহান নেতা ছিল, সাহসী বাঙালী যুবকেরা ছিল। ওরা পারেনি। দলে দলে লোপাট হয়ে গেছে। তোমরাও পারবেনা। দেখে নিও। বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসকে হটিয়ে দেবে। আরেকবার যুদ্ধ করবো আমরা....বিশ্বাস করো ....আরেকবার যুদ্ধ করবো।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৭