ছেলে চিঠি পেয়ে পাল্টা জেল থেকে পুলিশের বাহক মারফত চিঠি লিখে পাঠালোঃ বাবা, খবরদার ও কাজটি করোনা। ক্ষেতের নিচে অস্ত্রের গুদাম আছে। কেউ টের পেয়ে গেলে শেষ।
পুলিশের বাহক গোপনে চিঠি খুলে তো অবাক। সে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে ব্যপারটা জানালো। পরদিন দলে দলে পুলিশ বাহিনি গিয়ে পুরো ক্ষেত চষে ফেললো। তারা গভীর গর্ত করে পুরো ক্ষেতটা তামা তামা করে ফেললো কিন্তু কোন অস্ত্রের দেখা পেলনা।
তারপর দিন ছেলে আবারও চিঠি লিখলো বাবাকেঃ বাবা, তোমার ছেলে এখন জেলের দারোগা। দেখ আমার বাহিনি পাঠিয়ে কেমন ক্ষেতটা চষে দিলাম। এখন শুধু আলুর বিজ ছড়িয়ে দাও।
এটা পড়ে জয়ের মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেল ........
দেশে ঢুকে পড়েছে করোনা ভাইরাস। অলিতে গলিতে ভাইরাসের জীবানু গড়িয়ে গড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মানুষ মরছে শিয়াল কুকুরের মতো। জয় রিস্ক নিয়ে হাতে রঙ তুলি নিয়ে রাস্তায় নামলো। তারপর বাড়ির সামনের দোকানের সাইনবোর্ডে চায়নিজ ভাষায় দোকানের নাম লিখলো। কলেজে থাকতে চায়নিজ ভাষার ক্লাস করেছিল সে। সেই জ্ঞানের আলোয় সে গলির সব দোকানের নামগুলো পরিবর্তন করে দিল। কোন দোকানের নাম চু লিং চি, কোনটা পুন চি চি, কোনটা চ্যাং চু চু, আর গলির মাথায় দাঁড়িয়ে সে উচ্চস্বরে বাজাতে লাগলো চায়নিজ গান। একদিন পরেই তার এলাকা থেকে করোনা ভাইরাস নাই হয়ে গেল। এভাবে সে পুরো বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাস তাড়িয়ে দিল। মানুষ জন অবাক হয়ে গেল তার বুদ্ধিতে। একি অসাধারন বুদ্ধি! কতো মেডিসিন, কতো হাসপাতাল, কতো বিজ্ঞানী যেখানে হেরে ভুত হয়ে যাচ্ছে সেখানে এই সাধারন বুদ্ধি করোনা ভাইরাসকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছে!
আসলে বিষয়টা ছিল এমন। ভাইরাসগুলো চারপাশে চায়নিজ নাম দেখে, চায়নিজ গান শুনে ভাবলো তারা বুঝি আবার চায়নাতে ফিরে গেছে। এই বিষয়টা তাদের মাথার মগজে তালগোল পাকিয়ে দিচ্ছিল। এতোদিন এতো কষ্ট করে এতো দুর জার্নি করে তারা বাংলাদেশে এসে পৌছেছিল, আর এখন দেখা গেল তারা আবার চিনে পৌছে গেছে। এটা কিভাবে হয়? এর কারন হতে পারে যে পৃথিবী গোলাকার। তারা আবার চিনে এসে পৌছেছে। তাহলে তো তাদের মিশন কমপ্লিট! এবার ঘুমানোর পালা। তাই সবগুলো ভাইরাস সেল্ফ ডেসট্রাকটর দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে গেল।
(আর তুহিন রহমানের একটা কৌতুক পড়েই জয় পুরো বাঙালী জাতিকে ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল।)....
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৪