বর্ষা শেষেই সিকিম ও গাংটক যাচ্ছি। ট্রাভেল প্ল্যানটা নিচে দিয়ে দিলাম। যারা যেতে চাও যোগযোগ করো জুলাই এর মধ্যেই।
ট্রাভেল প্ল্যান:
১ দিনঃ চট্টগ্রাম থেকে সুবর্ণ এক্্রপ্রেসে ঢাকায়, ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা। ।
২ দিনঃ শিলিগুড়ি পৌঁছানো। তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্যাংটকের(১৩০ কিলোমিটার, ৪ঘন্টা) দিকে রওনা। সন্ধ্যায় পৌঁছে হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে আবার বেড়িয়ে পড়া।জিরো পয়েন্ট থেকে আলোকমালায় সজ্জিত শহরটাকে দেখতে অসাধারণ লাগে। নেমে এসে প্রধান বাজার এম জি মার্গে ঘোরাঘুরি, পরের দিনের বেড়ানোর জন্য গাড়ি ঠিক করা। রাত্রিবাস গ্যাংটকে।
৩ দিনঃ সকালে গ্যাংটকে লোকাল সাইটসিয়িং(রুমটেক মনাস্ট্রি, টিবেটোলজি, চোর্তেন সৌধ, ফ্লাওয়ার শো, কটেজ ইন্ডাস্ট্রি, নামনাং ভিউ পয়েন্ট, তাশি ভিউ পয়েন্ট, হনুমান টক, গণেশ টক, জুওলজিকাল গার্ডেন, ইঞ্চে মনাস্ট্রি)। এরই ফাঁকে নাথুলার পারমিট করে নেওয়া। বিকেলে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে ঘুরে বেড়ানো, কেনাকাটা, টাইটানিক পার্কে বসে বিশ্রাম।
৪ দিনঃ ইয়ুমথাং প্যাকেজ(১ রাত ২ দিন) – সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে লাচুং-এর(৬ ঘন্টা) দিকে রওনা। পথে চুংথাং-এ দুপুরের খাওয়া। বিকেলে লাচুং-এর আশেপাশে ঘুরে বেড়ানো। লাচুং-এ রাত্রিবাস।
৫ দিনঃ সকালে প্রাতরাশ সেরে ইয়ুমথাং-এর পথে এগোনো। উষ্ণ প্রস্রবণ ও ইয়ুমথাং উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করা। হোটেলে ফিরে দুপুরের খাওয়া সেরে গ্যাংটকে ফেরা। রাত্রিবাস গ্যাংটকে।
৬ দিনঃ সকালে প্রাতরাশ সেরে ছাঙ্গু লেকের দিকে রওনা। লেকের ধারে কিছুক্ষণ কাটিয়ে ইন্দো-চিন সীমান্তে নাথুলা পাসের দিকে এগোনো। দুপুরের খাওয়া সেরে গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা।
রাত্রিবাস শিলিগুড়িতে।
৭ দিনঃ ভোরে শিলিগুড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে শ্যামলী পরিবহনে রওনা। ঢাকা থেকে রাত্রে তুর্ণা নিশীথাতে চড়ে পরদিন চট্টগ্রামে পৌঁছানো।