আমার এই পোস্টটি কোন মতামত বা বিশ্লেষণধর্মী লেখা নয়।
আমার কাছে আসা একটি চাকরীর যোগদান পত্র সবার সাথে শেয়ার করছি মাত্র।
আমি দুটো মেইল এড্রেস, তারমধ্যে একটা নিয়মিত চেক করা হয় কিন্তু বাকিটা খুব একটা ব্যবহার করি না বলে নিয়মিত চেক করা হয় না। অনেকদিন পর হঠাত চেক করতে গিয়ে চোখ আটকে যায় মাস কয়েক আগে আসা একটি মেইল দেখে, যা ছিল একটি চাকরীর যোগদান পত্র। আমার ঠিক মনেও পড়ছে না, আমি এরকম কোথাও কখনো আবেদন করেছিলাম কিনা!!!
উক্ত যোগদান পত্রটি সবার সাথে শেয়ার করলাম। আমার জানা নেই, এত বড় এত শর্ত সমৃদ্ধ যোগদান পত্র কেউ কখনো পেয়েছেন কিনা!!
যোগদান পত্র
(০১) প্রতিষ্ঠান পরিচিতি ঃ- আমাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকার কর্তকৃ অনুমোদিত এবং জয়েন্ট-ষ্টক কোম্পানি হতে রেজিষ্টিকৃত ইন্করর্পোরেশন সনদ নং-৬৪২০১ (
১৬৯২ )-০৬। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্ম কান্ড হচ্ছে-মোবাইল ফোন টাওয়ার নির্মাণ,জেনারেটর এর ডিজেল সাপ্লাই,নেটওয়ার্ক সংযোগের কাজ,মার্কেটিং ব্যবসা,মানব
সম্পদ উনড়বয়ন ও সরবরাহ সহ মোবাইল ফোন টাওয়ারের রক্ষনা-বেক্ষন এর কাজ করে আসছি। দেশের চলমান ০৩ টা সেলফোন কোম্পানি এর এজেন্সি হিসাবে ২০০৬
ইং হতে অদ্যবদি প্রযন্ত সুনাম ও আস্থার সহিত কাজ করে আসছি,বাংলাদেশের প্রায় জেলাতে আমাদের নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী/কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন।
(০২) যোগদানপত্রঃ- জনাব,অনলাইনে/দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে আপনার পাঠানো/প্্রাপ্ত-চাকরির আবেদন পত্র/জীবন বৃত্তান্ত,যাচাই-বাচাই এর
প্রেক্ষিতে,আমাদের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আপনাকে (অপারেশন ম্যানেজার) হিসাবে নিন্ম বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন করেছেন। নিন্মে উল্লেখিত সমস্ত
বিষয় গুলো আপনার কাছে গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হলে আগামী ০৩/০৪/২০১৫ ইং তারিখঃ রোজ শুμবার। সকাল ১০.০০ ঘটিকা হইতে দুপুর ০১.০০ ঘটিকার মধ্যে
আমাদের নিন্মে বর্ণিত অফিসের ঠিকানায় আসবেন। আমাদের চাহিদা মোতাবেক ও শর্ত অনুযায়ী প্্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদী জমা দেওয়ার পর চুড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রদান
করা হবে। আপনি যদি চাকরি করতে অনিচ্ছুক হোন তা যদি আপনার ব্যক্তিগত/পারিবারিক সমস্যা জনিত বা অন্য যে কোন কারণে হয়,সেই ক্ষেত্রে আপনি আমাদের-
কে মোবাইল/ই-মেইল এর মাধ্যমে অবশ্যই জানিয়ে দিবেন,তাহলে হয়তো আমরা অন্য কাউকে এই চাকরি-টা করার সুযোগ দিতে পারবো। উল্লেখিত তারিখের দিন
যদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ/বিলম্বে ই-মেইল প্রাপিÍ/অসুস্থতা/অথবা অন্য যে কোন সমস্যা জনিত কারণে আপনি ঐ দিন অংশ গ্্রহন করতে না পারেন,তাহলে তার পরের দিন
উপরে বর্ণিত উল্লেখিত সময়ের মধ্যে অংশ গ্্রহন করিবেন। যথাযথ তারিখ এর আগে কোন প্রকার নিয়োগ করা হবে না,বিধায় অনুগ্রহ করে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ের
আগে অফিসের সাথে সরাসরি নিয়োগ সμান্ত বিষয় নিয়ে কোন প্রকারের যোগাযোগ করিবেন না। বিলম্বে ই-মেইল প্্রাপ্ত হইলে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য সাপোর্ট ফোন/
ই-মেইল এ যোগাযোগ করিবেন। যোগদান পত্র এর প্রিন্ট কপি এবং প্্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদী ছাড়া সাক্ষাতকারের জন্য আসবেন না।
(০৩) ইন্টারভিউ/ভাইভা ঃ- আপনার নিকট চাকরি-টা মনবোত হলে আপনি সরাসরি যোগদান করতে পারবেন,আপনাকে কোন প্রকার লিখিত ইন্টারভিউ দিতে হবে না।
শুধু মাত্র ঐ দিন আপনার ভাইভা নেওয়া হবে এবং আপনার উপস্থিতি,কাগজপত্র,সরাসরি কথোপকথন,কাজের প্রতি আগ্রহ,মন-মানসিকতা,আপনার চাকরির চাহিদা
কেমন সেইটা দেখা হবে। আপনার সমস্ত কিছু যদি আমাদের কাছে গ্রহণ যোগ্য বলে মনে হয়,তাহলে ঐ দিন আপনার কাছ থেকে নিন্মে বর্ণিত কলাম-০৪ এর সার্ভিস
চার্জ ২,৫০০/= (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা মাত্র,সহ আপনার কাগজ পত্র জমা নেওয়া হবে এবং সেই সময়েই রিμুটমেন্ট করা হবে। আপনি আমাদের নিকট মনবোত
না হলে আপনার কাছ থেকে কোন কিছুই জমা নেওয়া হবে না। বেশীর ভাগ চাকরি প্রার্থী ঢাকায় ইন্টারভিউ দিতে আসতে চান না,কারণ যাতায়াত ভোগান্তি আর
ইন্টারভিউ দেওয়ার মানে হলো চাকরির কোন নিশ্চয়তা নেই ! হতেও পারে আবার নাও হতে পারে,কাজেই একজন চাকরি প্রার্থী দূর থেকে টাকা পয়সা খরচ করে
অনিশ্চয়তার মধ্যে ইন্টারভিউ দিতে আসতে চান না। বিধায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে লিখিত ইন্টারভিউ ছাড়াই এই নিয়োগ দেওয়ার সিন্ধান্তে
উপনিত হয়েছেন,এ ছাড়াও আমাদের কাজ সম্পর্কে আবেদনকৃত বেশির ভাগ প্রার্থীর কোন অভিজ্ঞতা নেই ! তাই লিখিত ইন্টারভিউ নিচ্ছি না,সেই হিসাবে আপনি
প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত প্রার্থী। অনভিজ্ঞদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ শিখিয়ে আমাদের কাজের উপযুক্ত করে গড়ে তুলবো। আমাদের নিকট কেবল মাত্র আপনার
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজ করার মত মানসিক প্্রস্তুতি গ্রহন যোগ্য হলেই আপনাকে চুড়ান্ত ভাবে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
(০৪) ভেরিফিকেশন/প্রশিক্ষণ চার্জ/শর্ত সমূহ ঃ- প্রার্থী-কে ভালো-ভাবে জানার জন্য কোম্পানি হতে একটা ভেরিফিকেশন করা হয়,যেমন যে ঠিকানা ব্যবহার করা
হয়েছে তা সঠিক কিনা,আপনার বিরুদ্ধে চলমান কোন মামলা-মোকদ্দমা আছে কিনা,আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সঠিক কিনা ইত্যাদি। আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই
প্রশিক্ষণের সময় আহার,বাসস্থান, ও অন্যানড়ব খরচ সহ সর্ব সাকুল্য প্রায় ৫,০০০/-, ৬,০০০/- (পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার) টাকা কোম্পানির খরচ হতে পারে, যার
৫০% কোম্পানি বহন করে এবং ৫০% খরচ প্রার্থী-কে বহন করতে হয়,যাহাতে আপনার এবং কোম্পানির উভয়েরই যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয়। কাজেই আপনাকে
সর্ব সাকুল্য সার্ভিস চার্জ ২,৫০০/= (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা মাত্র,রিμুটমেন্ট করার সময় ঐ দিন অফিসে জমা দিতে হবে,কাজেই আসার সময় আপনাকে সার্ভিস
চার্জ সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে। সার্ভিস চার্জের বিপরীতে টাকার রশিদ পাবেন। আপনার মনে প্রশড়ব জাগতে পারে কোম্পানি সব কিছু বহন করতে পারে আর এই টুকু
খরচ বহন করতে পারবে না ? কোম্পানি অবশ্যই করতে পারে,কিন্তু আমরা মানুষ হিসাবে সব সময় নিজেদের সুবিধা-ভোগের কথা চিন্তা করি। যখন সবকিছু কোম্পানি
বহন করে এবং আপনি সহজেই পেয়ে যান,এখানে আপনি কোন ধরা-বাধা নিয়মের মধ্যে নেই ! বিধায় প্রশিক্ষণ বা কাজের প্রতি সঠিক মূল্যায়ন হয় না! কাজেই আপনার
জন্য এই ধরা-বাধা নিয়ম-টুকু তৈরী করা হয়েছে যাহাতে আপনি কাজের প্রতি মনযোগী হোন, কোম্পানির ও কোন প্রকার ক্ষতিসাধিত না হয়।
(০৫) আপনার বেতন এবং সুযোগ-সুবিধাদী ঃ- আপনি আমাদের অধীনে মোবাইল ফোন টাওয়ার রক্ষনা-বেক্ষনের সেকশনে স্থায়ী ভাবে কাজ করবেন,বেতন সহ সমস্ত
সুযোগ-সুবিধা আমরা বহন করিব। কাজে যোগদান এর তারিখ হইতে মাসিক বেতন ১৮,৫০০/= (আঠাঁর হাজার পাঁচশত) টাকা মাত্র। প্রতি ইংরেজী মাসের ০১ তারিখ
হইতে ০৫ তারিখ এর মধ্যে বেতন প্রদান করা হয়,আপনার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে বেতন উত্তোলন করিতে পারিবেন,যে কোন অনলাইন ব্যাংক/সোনালী
ব্যাংক/অগ্রণী ব্যাংক এর একাউন্ট থাকলেই চলবে,আর না থাকলে একাউন্ট করে নিবেন। যাতায়াত খরচ পাবেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে বিল ভাউচার
প্রদান সাপেক্ষে। মাসিক মোবাইল ফোন বিল ২,৫০০/- (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা মাত্র। আন-লিমিটেড ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। দুই ঈদ এ দুইটা ঈদ বোনাস সহ
একটি বাৎসরিক বোনাস। ছয়-মাস পর ১০% ইনμিমেন্ট হারে বেতন বৃদ্বি হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ল্যাপটপ/ট্যাব সুবিধা দেওয়া হবে। আপনার শুμবার সাপ্তাহিক ছুটি,এ
ছাড়াও বাৎসরিক ৩৬ দিন ছুটি পাবেন। অন্যানড়ব সুযোগ-সুবিধাদী কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
২
(০৬) কাজের ধরন ও কর্মস্থল ঃ- আপনাকে প্রতিদিন ০৮ ঘন্টা কর্ম করতে হবে সকাল ০৯ ঘটিকা হইতে বিকাল ০৫ ঘটিকা পযন্ত। ঢাকা/নিজ জেলা/থানা পর্যায়ে
আপনি কর্ম করতে পারবেন, যদি নিজ জেলা এর মধ্যে চাকরি করতে আগ্রহী থাকেন,তাহলে আপনার কর্মস্থল হবে নিজ উপজেলা সহ আরো দুইটা উপজেলা এর
মধ্যে,আমাদের প্রজেক্ট মোবাইল ফোন টাওয়ার মেইনটেইনন্স সেকশন এ। ঐ তিনটা উপজেলা এর মধ্যে আপনার আওতাধীন এলাকায় নিরাপত্তা
প্রহরী/সুপারভাইজার/ইনচার্জ/যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের ডিউটি রক্ষনা-বেক্ষন/সঠিক ভাবে তদারকী করতে হবে এবং সাপ্তাহিক একদিন ঢাকা অফিসে
কাজের রিপোর্ট ই-মেইল এর মাধ্যমে পাঠাতে হবে। আপনি একেক দিন একেক এলাকায় সারপ্রাইজ ভিজিট ডিউটি করবেন,কোন সমস্যা হলে সমাধান কি ভাবে করা
যায় আপনাকে উপায় বের করতে হবে,আপনি না পারলে আপনার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা নিবেন,আপনার চাকরি-টা সম্পূর্ণ মাঠ পর্যায়ের। আপনি যদি ঢাকায়
চাকরি করতে আগ্রহী থাকেন,তাহলে একটি নির্দিষ্ট এলাকার দায়ীত্ব দেওয়া হবে,কাজের ধরন ঐ একই রকম। আপনার কোন কাঙ্খিত জেলা/পছন্দের কোন এলাকা
থাকলে আমাদেরকে অবহিত করবেন। আপনার পছন্দনীয় জেলা/এলাকায় কর্ম খালি থাকলে অবশ্যই আপনাকে সেই স্থানে যোগদান করার সুযোগ প্রদান করা হবে।
ভবিষ্যতে আপনার আবাসস্থল পরিবর্তন হইলে সুবিধা জনক স্থানে কর্মখালী সাপেক্ষে আলোচনার মাধ্যমে বদলী হইতে পারিবেন।
(০৭) প্রশিক্ষণ ঃ- আপনি একটি নতুন চাকরি করবেন,আপনার চাকরির কাজের ধরণ সর্ম্পকে যদি কোন প্্রকার ধারনা না থাকে তাহলে আপনি সেই কাজটি কখন-ই
ভালো-ভাবে করতে পারবেন না এবং কখন-ই একজন সফল চাকরিজীবী হিসাবে কোম্পানির নিকট নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন না। আপনার কাজ যেন আপনি
ভালো-ভাবে করতে পারেন তার জন্য আপনাকে ঢাকার মধ্যে যে কোন এলাকায়/ঢাকার বাহিরে আমাদের যে কোন প্রজেক্ট এ মাঠ পর্যায়ে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ ডিউটি
গ্রহন করতে হবে,সেই ক্ষেত্রে আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা কোম্পানি করে থাকে,এখানে আপনার আর অতিরিক্ত কোন খরচ বহন করতে হবে না এবং ঐ ১০ দিনেরও
বেতন পাবেন। আপনার বাসা ঢাকায়/বাহিরের যে কোন জেলায় হোক না কেন, প্রশিক্ষণ সেন্টারে ১০ দিন অবস্থান করে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মত মন-মানসিকতা থাকতে
হবে এবং আসার সময় আপনার প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। আপনি চাইলে ঐ দিন হইতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন (ঢাকার বাহিরের
প্রার্থীর বেলায় প্রযোজ্য)। আর যদি আপনার বাসা ঢাকা-তে হয় তাহলে সঙ্গে কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতে হবে না,আপনার সাক্ষাত এবং ঐ দিন রিμুটমেন্ট করার পর
যোগদান এবং প্রশিক্ষণের সময় সূচী জানিয়ে দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে আপনাকে আপনার পছন্দনীয় জেলা অথবা এলাকা-তে/ঢাকায় আলোচনার মাধ্যমে যেখানে
আপনার জন্য সুবিধা জনক বলে মনে হয় সেখানে,শিক্ষানবিস হিসাবে দায়ীত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। প্রশড়ব থাকতে পারে,আমি তো অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি এই
মূহুর্তে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করা সম্ভব না ! তবে যদি আমাকে ১০/১৫ দিনের সময় দেওয়া হয় তাহলে এই চাকরি-টা আমার পক্ষে করা সম্ভব হবে,কাজেই আমাকে সেই
সুযোগ দেওয়া হবে কি ? হ্যা আপনার সমস্ত কাগজ পত্র সহ সার্ভিস চার্জ শর্তাবলী পূরণ করার পর আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ১০/১৫ দিন সর্বচ্চ ০১ মাস পর্যন্ত আপনি
এই সুযোগটি পাবেন তার বেশি সময় পাবেন না।
(০৮) আপনার প্রশড়ব এবং আমাদের উত্তর ঃ- আপনার প্রশড়ব থাকতে পারে সার্ভিস চার্জ রিμুটমেন্ট হওয়ার/নিয়োগ পাওয়ার ২/৩ দিন পরে জমা দেওয়া যাবে কিনা ?
অথবা চাকরির বেতন থেকে পরিশোধ করা যাবে কিনা না ? না যাবে না। ঐ দিন কাগজ পত্র জমা দেওয়ার সময় আপনাকে সার্ভিস চার্জ জমা দিতে হবে,এখানে কোন
ছাড় দেবার বা সময় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনার আরো প্রশড়ব থাকতে পারে যে, টাকা জমা দেওয়ার পর যদি প্রশিক্ষণে সফল না হই/কোম্পানী হতে যদি কাউকে
বাদ দেওয়া হয় বা নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহলে জমাকৃত সার্ভিস চার্জ ফেরৎ দেওয়া হবে কিনা ? হ্যা আমরা যদি কাউকে বাদ করি বা নিয়োগ না দেই তবে ১০০%
টাকা ফেরৎ প্রদান করা হবে। আমরা আপনাকে এত-টুকু নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, রিμুটমেন্ট করার পর আমরা কাউকে (যদি কোন গুরুতর অপরাধ মূলক কর্মকান্ড) না
করেন তবে বাদ করিব না। আর যদি আপনি ইচ্ছাকৃত ভাবে/প্রশিক্ষণ করতে না চান/আপনার ব্যক্তিগত যে কোন কারণে চাকরি করতে না চান তাহলে কোম্পানি
আপনাকে সার্ভিস চার্জ ফেরৎ দিবে না। এখানে আমরা ১০০% কোম্পানি সমন্ধে এবং আমাদের কথা সহজ ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।
(০৯) আমাদের চাহিদা মোতাবেক আপনার কাগজ-পত্রাদী জমা দিন ঃ- আপনার নিকট বর্তমানে উপস্থিত শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সমস্ত কাগজ পত্র আছে তা অফসেট
কাগজে ফটোকপি করে নিয়ে আসবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন সনদ/চেয়ারম্যান/কমিশনার কর্তৃক দেয় নাগরিকত্বের সনদ/পাসপোর্ট,এর যে কোন একটির
ফটোকপি এবং সদ্য তোলা ০৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি জমা দিতে হবে। যে সব কাগজ পত্র আপনার নিকট এই মূহুর্তে উপস্থিত নেই,তা নিয়োগের পরেও
জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। আপনি শারীরিক ভাবে গুরুতর অক্ষম হলে আপনার ক্ষেত্রে এই নিয়োগ প্রযোজ্য হবে না।
(১০) নিয়োগ আরম্ব ঃ-
ক) আপনার এই নিয়োগ প্রশিক্ষণে যোগদানের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।
খ) আপনার শারীরিক যোগ্যতা,চরিত্র ও প্রাক-পরিচয় কর্তপৃ ক্ষের নিকট সন্তোষজনক হইতে হইবে।
(১১) শিক্ষানবিসকাল ঃ-
ক) ১০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে ০১ মাস শিক্ষানবিস হিসাবে থাকিবেন (এখানে প্রদত্ত সকল সুবিধাদী সহ পূর্ণাঙ্গ বেতন পাবেন)। তবে শর্ত থাকে
যে,নিয়োগকারী কর্তপৃ ক্ষ কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত মেয়াদ প্রয়োজন মনে করিলে বৃদ্ধি করতে পারিবেন।
(১২) চাকরি অবসান ঃ-
ক) শিক্ষানবিসি থাকাকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আপনার কার্যালাপ সন্তোষজনক বলে বিবেচিত না হলে ১ (এক) মাসের নোটিশ প্রদান পূর্বক আপনার
চাকরি অবসান করা হইবে। সেক্ষেত্রে আপনার যাবতীয় পাওনাদি এবং কাগজপত্র কোম্পানি যথাসময়ে বুঝিয়া দিতে বাধ্য থাকিবে।
৩
খ) ৩০ দিনের নোটিশ দান করিয়া উভয় পক্ষ চাকরির অবসান করিতে পারিবেন।
গ) প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নিয়ম-শৃংখলা ভঙ্গ, অসদাচরন, অর্থ আতড়বসাৎ,কর্তব্য অবহেলা, নারী ঘটিত ব্যাপারে লিপ্ত হইলে কিংবা কোন আদালত কর্তৃক দোষী
বা সাজা প্রাপ্ত হলে বিনা নোটিশে তাৎক্ষনিকভাবে আপনাকে চাকরি হতে অব্যহতি দেওয়া হইবে।
(১৩) অন্যান্য নিয়মাবলী ঃ-
ক) আপনার চাকরি কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী পরিচালিত হইবে।
খ) আপনি চাকরিকালীন সময়ে অত্র প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সম্পর্কে কোন গোপনীয় বিষয় এবং কোন রেকর্ড-পত্র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোন ব্যক্তি বা কোন
সংস্থার নিকট প্রকাশ বা হস্তান্তর করিতে পারিবেন না। এই নিয়মের ব্যতিμম হইলে তাৎক্ষনিকভাবে আপনাকে চাকরি হইতে অব্যহতি দেওয়া হইবে।
গ) আপনাকে নিয়োগদাতা কর্তপৃ ক্ষের বর্তমানে প্রচলিত ও ভবিষ্যতে প্রবর্তিত চাকরি বিধি মেনে চলতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের মনোনীত প্রতিনিধির আদেশ,
নির্দেশ মেনে এবং তাহাদের সন্তষ্টি মোতাবেক কর্তব্য পালন করতে হবে।
ঘ) চুড়ান্ত নিয়োগ পত্র প্রদানের পর বা চাকরি-তে যোগদানের পর কোন সময় আবেদন পত্রে প্রদত্ত তথ্য ও কাগজ পত্র মিথ্যা বা ভূয়া প্রমানিত হলে এই
নিয়োগ সরাসরি বাতিল বলিয়া গণ্য হবে এবং কর্তপৃ ক্ষ আপনার বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারিবেন।
(১৪) আপনি যদি বর্তমানে কোন চাকরি-তে নিয়োজিত থাকেন,তবে অত্র প্রতিষ্ঠানে চাকরি-তে যোগদান করিবার সময় যদি সম্বব হয় প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র
দাখিল করিবেন।
উপরোক্ত সমস্ত শর্তাবলী আপনার নিকট গ্রহনযোগ্য হইলে প্্রতিলিপিতে সম্মতি জ্ঞাপন সূচক পূর্ণ নাম সহ স্বাক্ষর করিয়া নি¤ড়ব স্বাক্ষরকারীর নিকট
যোগদান পত্রটি দাখিল করিতে হইবে। অন্যথায়, কোন নোটিশ ব্যতিরেকে আপনার এই যোগদান পত্রটি সরাসরি বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
মোহাম্মাদ গোলাম ছারোয়ার
পূর্ণ নাম সহ যোগদানকারীর স্বাক্ষর ( ম্যানেজার প্রশাসন )
অফিস ঃ- বাংলাদেশ লজিষ্ট্রিক সার্ভিসেস্ লিমিটেড (বি.এল.এস),জিলানী মার্কেট (দ্বিতীয় তলা) বোর্ড বাজার, গাজীপুর সদর। ফোন ঃ- ০১৯১১ ৫০ ৭০ ৯১।
লোকেশন ঃ- জালাল শপিং সেন্টার এর পশ্চিম পার্শ্বে। অফিস টাইম ০৯টা হইতে ০৫ টা এর আগে বা পরে ফোন করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯