বায়ান্নোর মহান ভাষা আন্দোলনে যাঁরা আমাদের রাষ্ট্রভায়া বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন সালাম,বরকত,রফিক, জব্বার সহ সকল শহীদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী (৮ই ফাল্গুন,১৩৫৯ বাংলা) এই দিনে পাকিস্তানি শাষকদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে বাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাংলাভাষাকামী ছাত্ররা মিছিল বের করে, সেই মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে সালাম,রফিক বরকত,জব্বার সহ অনেকে শহীদ হন।এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।আত্মদানের এই দিনটিকে সারাবিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে।এই গৌরব উজ্জল দিনটিকে গুগল ডুডলে তুলে ধরার জন্য ব্যপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছিল.সবার আশা ছিল গুগল লোগোতে ডুডল হিসেবে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রকাশ করা হবে কিন্তু সে আশায় গুগল গুড়ে-বালি ছিটিয়েছে। গুগলে এই আচরণে আমরা সবাই হতাশ। সেই হতাশায় কি এবারে ডুডল হিসেবে প্রকাশে কোন আয়োজন করা হয়নি।এমন গৌরবোজ্জল একটি দিনকে কিভাবে যে গুগল পাশ কাটিয়ে গেল তা আমার বোধ্যগম্য নয়! এবারো কি গুগল সেই পথে হাটবে। যেখানে জাতিসংঘ আমাদের অনুমোদন দিল গুগল কি আজও আনুমোদন দিতে পারেনি....................
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক মার্তভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমুহ যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে।২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। - এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
সর্বপ্রথম কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা দিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৬