আপনার কি কেউ দেখেছেন এই ভিডিও টা কখনও? আমি আগে কখনও দেখিনি এবং শুনিও নি। কিন্তু, গতকাল প্রথম এই ভিডিও টা দেখে আমি একবারেই স্তব্ধ হয়ে গেছি। পাকিস্থানীদের প্রতি আমার ঘৃনা এখন শত গুন থেকে বেড়ে কোটি গুন হয়েছে।
এই ভিডিও টি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কোন দৃষ্টিতে পশ্চিম পাকিস্থানী শাসকরা তাকাত পূর্ব পাকিস্থানী বাঙ্গালীদের দিকে। এত দিন ভেবেছি পাকিস্থানীরা আমাদের শুধু অর্থনৈতিক ভাবে শোষণ করেছে। এখন দেখছি না। তারা আমাদের কে মানুষ ই ভাবত না। তারা আমাদের গরু-ছাগল ও নয়, তাদের চেয়ে নিকৃষ্ট প্রানী শুয়র বলে মনে করত। আর আমরা অনেকেই ইসলামের দোহাই দিয়ে এখনও পছন্দ করি পাকিস্থান কে। এখনো অসংখ্য বাংলাদেশী পাকিস্থানী ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট করে যাচ্ছি।
ভিডিও তে জুলফিকার আলি ভুট্ট একটি জনসভায়, বাংলাদেশের জনগন কে “জাহান্নামে যাও” বলে অভিশাপ দিচ্ছে। আর তারপর “শুয়র কি বাচ্চা” বলে সম্বোধন করছে। কিভাবে সম্ভব এইভাবে বলা? কতটা অসভ্য ছিল সে? একজন নেতা যদি এভাবে কথা বলতে পারে, সেখানে পাকিস্থানী জনগনের মনভাব কি সহজে অনুমেয়।
কত বড় ধৃষ্টতা এই জালিম খুনী চরিত্রহীন পাকিস্থানী শাসকের? তখন জনগন যদি ওকে গনপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলত, তবুও জনগনকে কোন দোষ দেয়া যেত না। কিন্তু, আমরা বাংলাদেশীরা দেখিয়ে দিয়েছি আমরা ওদের মত অসভ্য না, আমরা পাকিস্থানীদের চেয়েও সভ্য জাতি। তাই তো ঐ অসভ্য লোকটা নিরাপধে ফিরে যেতে পেরেছে নিজ দেশে।
আল্লাহ আমাদের কে বাচিয়ে দিয়েছেন যে আমরা স্বাধীন হয়েছি, আমরা আর ঐ অসভ্য পাকিস্থানীদের অংশ নই, যেখানে প্রতি দিন বোমা মেরে অসংখ্য নিরিহ মানুস কে মারা হয়। আমরা আর ঐ পাকিস্থানীদের অংশ নই, যাদের কে সারা বিশ্ব সন্ত্রাসীর জন্ম স্থান বলেই জানে।
আশা করব এই ভিডিও দেখার পর আপনারা যারা এখনো মনে করেন পাকিস্থানের সাথে থাকলেই ভাল হত, তাদের ভুল ভাংবে।
(যাদের কাছে এই ভিডিও পুরান জিনিস, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৫