শৈবাল এক ধরনের আনুবীক্ষনিক জীব, যা সূর্যের আলো থেকে শক্তি তৈরি করে, একই সময় বাতাশ থেকে CO2 শোষণ করে। শৈবাল এই কার্বন কে প্রথমে চিনি, তারপর তা থেকে তেল তৈরি করে যা কিনা ফুয়েলে রুপান্তর করা যাবে। শেভরণ, কনোকো ফিলিপস, এক্সন মোবিল, রয়েল ডাচ সহ বড় বড় তেল কোম্পানী এই নিয়ে গবেষণা করছে।
[img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/truthrevelation_1294295478_1-1717013.jpg
ছবিঃ গবেষণাগারে শৈবাল উৎপাদন।
অন্যান্য ভেজিট্যাবল থেকে দ্রুত জন্মানো ক্ষমতা আর তুলনামূলক বেশি তেল উৎপাদন ক্ষমতার কারণে, শৈবাল এর ফুয়েল এর উৎস হিসেবে ব্যবহার সম্ভাবনা উজ্জল। এক হেক্টর জমির সয়াবিন যেখানে মাত্র ৫০০ লিটার তেল উৎপাদন করতে পারে এক বছরে, সেখানে এক হেক্টর অগভীর পুকুরের শৈবালের ক্ষমতা ৪৭,০০০ লিটার।
শৈবাল এর তেল উৎপাদন ক্ষমতা আশ্চর্য হওয়ার মত কিছু নয়, কারণ, খুব সম্ভবত আদিকাল এ সাগরের নিচে মাটি চাপা পরা শৈবালই এখন আমরা গাড়ীতে যে তেল ব্যবহার করি তার উৎস।
তবে হিসেব করে দেখা গেছে যে বর্তমানে শৈবাল থেকে তেল উৎপাদন খরচ অনেক বেশি, ২১০-৬৩০ টাকা প্রতি লিটার। তবে গবেষকরা আশা করছেন, আগামি ১০ বছরের মধ্যে শৈবাল থেকে উৎপাদিত তেল মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, শৈবাল যত টুকু শক্তি উৎপাদন করে, তার চেয়েও বেশি শক্তি শোষন করে।
আমাদের দেশেও এই নিয়ে গবেষনা চলতে পারে। আমাদের যেহেতু তেলের খনি নেই, তাই শৈবাল থেকে তেল উৎপাদন আমাদের জন্য বেশি লাভ জনক হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ- আমার টাইপিং গতি কম, তাই বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা থাকলেও ছোট করে লিখলাম।
সূত্রঃ IEEE Spectrum.