মডেল আদৃতার কথা মনে আছে আপনাদের?
থাকার কথা না। কোনো মডেলকন্যা মারা গেলে তার কথা কেউ মনে রাখে না! ** বলে কথা! কিন্তু কেন কী কারণে একটা মেয়ে মডেল থেকে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে নিজের জীবনকে জটিল করে তোলে সেই কথা কয়জন চিন্তা করে?
পোস্টটা বছর তিনেক আগের পুরনো। আদৃতার মৃত্যুর ঠিক পরপরই আমি একটি সরেজমিন তদন্তে পোস্টটা লিখি। ঐ সময় এটা বেশ আলোচিত হয়েছিলো। মিডিয়ার ক্রাইম সিন্ডিকেটগুলো বেশ সতর্ক হয়ে গিয়েছিলো এরপর। বিস্তারিত :
পরম শান্তিতে ঘুমিয়ো, আদৃতা...
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের পক্ষ থেকে করা হয় একটি ময়নাতদন্ত, আদৃতার ফেইসবুক চ্যাট থেকে তথ্য নিয়ে :
মডেল আদৃতার মৃত্যু: অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ময়নাতদন্ত
আদৃতার সাথে মিডিয়ার কিছু নামধারী শয়তানদের কথোপকথন দেখলেই বুঝা যায় কতটা নোংরা বাংলাদেশের এই শোবিজ জগৎ। কীভাবে এখানে একটা মেয়েকে ন্যাংটো হতে বলা হয়, ইয়াবা-মদ খা্ওয়া শিখানো হয়। এই জঘন্য মিডিয়ার শিকার আদৃতা। যাকে খুন করে তার প্রেমিক রেহান। পরে রেহান ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে আদৃতাকে সে খুন করেছে।
এরপর?
ঘাতক রেহান, মডেলিংয়ে, ২০১৪
রেহান এখন মডেলিংয়ে ফিরে গেছে আবার। আশিস কর্মকার, হিন্দু ধর্মাবলম্বী রেহান, যে ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে আদৃতাকে বিয়ে পর্যন্ত করেছিলো। আদৃতার যে খারাপ সার্কেল গড়ে উঠেছিলো, তার বিরুদ্ধে আদৃতাকে সতর্ক করেছিলো রেহান। কিন্তু মিডিয়ার ক্রিমিনালরা যে জিনিস রেহানের একার পক্ষে সম্ভব ছিলো না আদৃতাকে রক্ষা করার। কিন্তু তার পরিণতি কারো মৃত্যু হতে পারে না! কখনোই না। সেই হিসেবে রেহান জঘন্য পাশবিক কাজটাই করেছে ঠাণ্ডা মাথায় আদৃতাকে খুন করে। রেহান এখন ছাড়া পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে, বাংলাদেশি অন্ধকার মিডিয়া জগতে!
সবই সম্ভব বাংলাদেশে। লিমনের মতো নিরপরাধী তরুণ রেব এর গুলিতে পা হারায় আর রেহানের মতো অপরাধীরা বীরদর্পে বাংলাদেশ দাপিয়ে বেড়ায়! বড় অসভ্য জাতি আমরা...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:২০