একবার এক ছোট ভাই আমার সাথে বেশ বেয়াদবী করেছিলো। আমি কিছু বলিনি এবং সাথে থাকা বন্ধুদেরকেও কিছু বলতে দেইনি। ছেলেটি চলে যাওয়ার পর বন্ধুরা আমার উপরে খুব রাগ করলো; তাদের নাকি ইচ্ছে করছিলো চাবকে ছেলেটার গায়ের চামড়া তুলে নিতে। আমি বললাম, ছেলেটা ভদ্রতা শেখে নাই এটা তো তার নিজের সমস্যা। এই সমস্যার ফল একদিন তাকেই ভোগ করতে হবে ... আমারা যেহেতু সমাজ সেবা করতে বের হইনি বা মানুষকে জ্ঞান দিতে বের হইনি সেহেতু তার সমস্যা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো প্রয়োজন কী?
এটা হয়তো কিছুটা স্বার্থপরের মত বক্তব্য হয়ে গেল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বেয়াদপদের ভদ্রতা শেখাতে গেলে কাজের কাজ কিছুই হয় না বরং তাদের বেয়াদবী বাড়ে। সুতরাং তারা তাদের সমস্যার ভেতরে নিজেরাই হাবুডুবু খেতে থাকুক। আমরা বরং নিজেদের ভদ্রতা বজায় রাখতে সচেষ্ট হই।
এই ব্লগে এবং বাস্তব জীবনে আমি অনেক নাস্তিক দেখেছি। এদের অনেকেই আমার বেশ ভাল বন্ধু। নাস্তিক বন্ধুদের কল্যানে হোক আর জানার আগ্রহ থেকেই হোক নাস্তিকদের প্রচুর বই, প্রবন্ধ-নিবন্ধ পড়া হয়েছে। নাস্তিকদের লেখাগুলো খুবই কৌশলী এবং কনভেন্সিং সন্দেহ নেই। সুতরাং দীর্ঘদিনের ধ্যান-ধারনা থেকে মুক্ত হয়ে নাস্তিকতার পথে রওনা দিতে দেরি করলাম না। কিন্তু যে জ্ঞান পিপাসা আমাকে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলো সেই জ্ঞানপিপাসাই আবার 'নাস্তিক ধর্মের' ঈমানে ফাঁটল ধরিয়ে দিলো। প্রথমবারের মত আবিষ্কার করলাম ইসলাম সম্পর্কে আসলে আমি এতদিন কিছুই জানতাম না। বস্তুত পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ধর্ম ও লোকমুখে শুনা ইসলাম নিয়েই এতদিন সুখী ছিলাম। সেই ইসলামের অনেক কিছুই কুসস্কার, অনেক কিছুই অর্ধসত্য। পুরো সত্যটা জানার জন্য ইসলাম নিয়ে স্টাডির যে কোন বিকল্প নেই সেই সত্য প্রথমবারের মত আবিষ্কার করলাম। আজকে অন্তত এটুকু দাবী করতে পারি যে 'পৈতৃক সূত্রে মুসলমান বা গরু খাওয়া মুসলমান আমি নই। আর লোকমুখে শুনা ইসলাম পালন করে নিজেকে আদর্শ মুসলমান ভাবি না'। তবে হ্যাঁ, নিজেকে খাঁটি মুসমান দাবী করার অবস্থানে এখনো পৌঁছাতে পারিনাই এবং ইসলাম নামের অপারেটিং সিস্টেমটা দ্বারা এখনো পুরোপুরি পরিচালিত নই (একদিন হয়তো পারবো... )। একথা স্বীকার করতে দোষ নেই যে ইসলাম সম্পর্কে প্রাপ্ত জ্ঞানের জন্য নাস্তিক ও নাস্তিক ধর্মের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
যাই হোক, গতানুগতিক নাস্তিকদের বিষয়ে ফিরে আসি। খুব ভাল করে পর্যবেক্ষন করলেই বুঝতে পারবেন আপনার আশেপাশের নাস্তিকরা আসলে ধর্ম (বিশেষ করে ইসলাম) সম্পর্কে খুবই কম জানেন। এরা ছোটবেলায় চারদিকে যে অসম্পূর্ন ইসলাম দেখেছে সেটাকেই সঠিক ভেবে এসেছে। অতঃপর একাডেমিক লেভেলে ইসলাম কি বস্তু তা জানতে পেরেছেন কোন এক জ্ঞানপাপী নাস্তিকের গ্রন্থ থেকে। সেই জ্ঞানপাপী হয়তো ইসলাম সম্পর্কে ঠিকই জানেন কিন্তু ইচ্ছে করেই বিভ্রান্তি ছড়ান (কেন ছড়ান এই বিষয়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষন আছে, পরে কখনো শেয়ার করার ইচ্ছে আছে)। তো এই জ্ঞানপাপীদের ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে ইসলাম বুঝতে গিয়ে অর্ধশিক্ষিত মুসলমানরা পাতিনাস্তিকে পরিণত হন। আসলেই ইসলাম কি বলেছে সেটা জানা তো দূরে থাকুক কোরআন আরবী ভাষায় লেখার কারণে আরবী ভাষার উপরেও এদের ঘৃনা তৈরি হয়ে যায় (এই ব্লগেই আরবী ভাষার উপরে ঘৃনা প্রকাশ করা অনেক ব্লগার আছেন যাদের কেউ কেউ লেখক হিসেবে বেশ উঁচু মানেরও বটে)। ভাষা হচ্ছে জ্ঞান প্রসারের একটা মাধ্যম আর সেই ভাষার উপরেই ঘৃনা নিয়ে বসে আছে একদল সো কল্ড জ্ঞানী লোক। বিষয়টা ইন্টারেস্টিংই বটে...!
তো যা বলছিলাম, যে ইসলামকে আপনি এত ঘৃনা করেন সেই ইসলাম সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন? আবার সেই ইসলাম বুঝতে আপনি কোন ইসলাম বিদ্বেষীর কাছে কেন যাবেন? ইসলাম বিরোধী কিছু বলার আগে ইসলাম কি সেটা কেন বুঝার চেষ্টা করবেন না? বিষয়টা কি এরকম হয়ে গেলনা যে, এক ব্যক্তি রসায়ন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিন্তু রসায়ন সম্পর্কে জানতে গেলেন এমন এক ব্যক্তির কাছে যিনি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হোক রসায়নকে ফালতু মনে করেন। তাহলে যে এই ব্যক্তির কাছে গেলে রসায়ন সম্পর্কে সব নেগেটিভ ধারনাই কেবল পাবেন, আসল বিষয়ের কিছুই জানা হবে না। আর এতে কে ক্ষতিগ্রস্থ হবে? রসায়ন শাস্ত্র? নাকি ঐ ব্যক্তি?
আপনি নাস্তিক হতে চান ভাল কথা, হয়ে যান। ইসলামকে ঘৃনা করতে চান ভাল কথা, করুন! কার কি আসে যায়? আপনি ইসলামকে ঘৃনা করছেন যেসব তথ্যের উপরে নির্ভর করে সেই তথ্যগুলো কতটুকু সঠিক তা জানার চেষ্টা করেছেন কখনো? কই, আমি তো দেখি আপনাদের জানা ইসলাম পুরোপুরিই ভুল, মেনিপুলেটেড! এসব নিয়ে তো কম লেখা হয়নি। ড. জাকির নায়েক আর ক্যাম্পবেলের ডিবেটগুলো দেখুন ইউটিউবে (http://www.idbangla.com/video/index.php?cat=8 ), অনেক ভাল ভাল ইসলামি সাইট আছে নেটে, ওখানে গিয়ে পড়ে থাকুন, প্রশ্ন করুন-জানুন, আপনিই সমৃদ্ধ হবেন। অযথা ইসলাম বিদ্বেষীদের কুযুক্তি আর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অবিশ্বাসী হবেন কেন? এই ব্লগে 'যুঞ্চিক্ত' নামের এক প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক মনের মাধুরী মিশিয়ে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত মেনিপুলেট করে একটা লেখা দাঁড় করিয়েছিল। তার লেখাটা এতই হাস্যকর হয়েছিল যে জবাব দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করিনি প্রথমে। পরে অবশ্য ব্লগারদের অনুরোধে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকেই একটা জবাব দিয়েছিলাম- Click This Link । ঐ জবাব দেওয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না, আপনি যদি নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবি করে থাকেন তা হলে ওসব আপনার নিজেরই জানার কথা, আরেকজনের জ্ঞানের উপর ভর করে কতকাল ঈমান টিকিয়ে রাখবেন?
কিছুদিন আগে আইডি বাংলা ফোরামে এক নাস্তিক এসে খুব জোড়গলায় হাস্যকর সব বক্তব্য দিতে শুরু করলেন। Click This Link । এসব বিষয়ে অতীতে একাধিকার জবাব দেওয়া হয়ে গিয়েছে, নতুন করে কি আর বলবো। তবুও সহকর্মী ইঊসুফ সুলতান ভাই তার প্রতিটা পয়েন্টের জবাব দিলেন। আর আমার মেইলবক্সে অনুরোধ আসতে থাকলো ঐ লেখককে ব্যান করতে, লেখাটা মুছে ফেলতে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আস্তিকরা এইসব লেখায় কেন ভয় পাবে? কেন এইসব মেনিপুলেশন দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে নিজের ধর্মটা সম্পর্কে একটু জেনে নয়ার তাগিদ অনুভব করবে না? কেন এই ধরনের অপপ্রচার ও মেনিপুলেশনকারীদের উপরে রাগান্বিত হয়ে তাকে আক্রমণ করতে যাবে, কটূক্তি করবে? যে ব্যক্তি ইসলাম বিদ্বেষী সে ইসলামের আলো পায়নি বলেই না ইসলাম নিয়ে, রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে নোংরা কথা বলে বেড়াচ্ছে। আপনি কেন তার জবাবে তারই মত আচরণ করবেন? আপনি তো ইসলামের আলোয় আলোকিত! আর যদি আলোকিত না-ই হয়ে থাকেন তা হলে কেন হওয়ার চেষ্টা করছেন না?
ব্যক্তিগত ব্যস্ততা নিয়ে অনেক ঝামেলায় আছি, তবুও এত বড় একটি পোস্ট লিখে ফেলার মত সময় বের করলাম 'নাস্তিকের ধর্মকথা' নামের এক ব্লগারের কোরআন বিষয়ক পোস্টে হওয়া কিছু মন্তব্যে বিরক্ত হয়ে। এই ব্লগ ইসলামিক স্কলারদের ব্লগ না, এখানে ইসলামিক স্কলাররা ইসরা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে বসে নেই। নাস্তিকের ধর্মকথাকে বলেছিলাম ইসলামিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেখানে সম্ভব হবে সেখানে যান, যদি সত্যিই আপনার উত্তর জানার আগ্রহ থাকে। আরো বললাম আপনার প্রশ্নের উত্তরগুলো আমি জানি, কিন্তু লিখবো না। কেন লিখবো? আমার তো ভাই ঠেকা পড়ে নাই। যাই হোক, তিনি আমাকে "ভন্ড" বলেছেন। এই ব্লগে গালিবাজদের গালি খেতে খেতে এইসব ছোটখাট গালি আর গায়ে লাগে না, কিন্তু কষ্ট পেলাম যখন বললেন 'মা-বাবা' তুলে গালি দিতে। উপরের মন্তব্যগুলো দেখে আরো খারাপ লাগলো, তাঁর আর কি দোষ, অনেক আস্তিক ব্লগার তাঁকে ইতোমধ্যে অনেক গালাগালি দিয়ে ফেলেছে। আস্তিকদের উদ্দেশ্যে আমি আবারো ঐ একই কথা বলতে চাই, কেন গালি দিবেন? 'নাস্তিকের ধর্মকথা' নাস্তিক হলে আপনার ক্ষতি কি? আর ঐ মেনিপুলেটেড অসত্য বক্তব্য ভেরিফাই করে যদি কোন সো কল্ড মুসলমান নাস্তিক হয়ে যায় সেটার দায় কি আপনার না সেই মূর্খ মুসলমানের? তার উপরে সৃষ্টিকর্তার আদেশ ছিল জ্ঞান অর্জন করার, সেটা সে না করে যে পাপ করেছে তার ফল তো তাকে পেতেই হবে, তাই না? হোক সে নাস্তিক, যাক্ জাহান্নামে, আপনি আমি শুধু তাকে সতর্কই করতে পারি, আর কিছু না।
অনেক কথা বলে ফেললাম। এবার 'নাস্তিকের ধর্মকথা'র কোরআন কন্ট্রাডিকশন নিয়ে কিছু কেন বলছি না সেটা বলি-
তিনি কোরআনের দু'টো আয়াতের মাঝে কেমন কন্ট্রাডিকশন খুঁজে পেলেন সেটা দেখাই-
১। সুরা ১০৯:৬
"লাকুম দিনুকুম ওয়ালিইয়াদিন"- "যার যার ধর্ম তার তার কাছে"
এর সাথে-
২:১৯১
"আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে| বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ| আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে| অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে| তা হলে তাদেরকে হত্যা কর| এই হল কাফেরদের শাস্তি।" এবং এমন অসংখ্যা আয়াত।
এই দু'টি আয়াত তুলে দিয়ে তিনি একে পরস্পর বিরোধী আয়াত বলে দাবি করেছেন। এখানে দেওয়া দ্বিতীয় আয়াতটি মুসলমানরা আক্রান্ত হলে কি করতে হবে বলা হয়েছে। সেটা কিভাবে 'যার যার ধর্ম তার তার কাছে আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হয়? এই আয়াতগুলোর কনটেক্স কি তিনি একবারো পড়ে বুঝার চেষ্টা করেছেন? মুসলমানদের যখন আক্রমণ করা হবে তখন তাদেরকে পাল্টা আক্রমণ করাকে তিনি 'নীতি-নৈতিকতার বিচারে বর্বর ও চরম অনৈতিক আয়াত' বলতেও কুন্ঠা বোধ করেননি। তাহলে মুসলমানদের কী করণীয়?
আবার কোরআন নাজিলের পদ্ধতি না জেনে তিনি লিখেছেন, 'কন্ট্রাডিকশন ৫: মুহম্মদ সা: একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে তাৎক্ষণিক আয়াত।' তিনি তো এই তথ্যই জানেন না যে কোরআনে মানুষের বাস্তব সমস্যাগুলোর সমাধান দেয়ার জন্য একটা বিশেষ পদ্ধতিতে নাজিল হয়েছে। রাসুল (সাঃ) এর জীবন-যাপণ পদ্ধতিকে অনুসরণ করার ঘোষণা কোরআনেই দেয়া আছে আর সেকারণেই বিভিন্ন সমস্যার সিমুলেশন ও সমাধাণ তাঁর জীবনেই তৈরি করা হয়েছে।
তো, এসব অহেতুক কথার জবাব দেওয়ার কি আছে? ইসলাম সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান অর্জন করলে আর সামান্য কমনসন্স থাকলেই তো এইসব ফালতু কথা হেসেই উড়িয়ে দিতে পারার কথা। অজ্ঞ প্রসূত বক্তব্য ভরপুর এসব নাস্তিকদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হওয়ার কী আছে? আর যে বিভ্রান্ত হতে চায় সে তো এগুলোরই সন্ধান করে। সে তো আসলে নিজেকেই বিভ্রান্ত করতে আগ্রহী, তাকে আপনি কিভাবে শেখাবেন? আত্ম প্রবঞ্চকরা তো অন্ধকারেই ডুবে থাকবে, তাতে আপনার আমার করার কিছু নেই, চাইলে একটু করুনা করতে পারেন, একটু শুভকামনা জানাতে পারেন, যদি কোনদিন নিজের ভাল নিজে বুঝতে শেখে, কোন ভাবেই আক্রমন নয়।
যাই হোক, এতবড় লেখা পড়ে সময় নষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ। যদিও 'নাস্তিকের ধর্মকথা' টাইপ ব্যক্তিদের সৃষ্ট বিভ্রান্তির কোন কঠিন জবাব দেওয়ার জন্য এই লেখা নয়, বরং এসব ক্ষেত্রে আস্তিকদের করণীয় কি তা জানানোই মূল উদ্দেশ্যে। একই সাথে এটাও ঠিক যে এসব প্রশ্নের জবাব বহুশত বছর আগে বড় বড় আলেমগন দিয়ে থাকলেও বাংলা ভাষায় আমাদের হাতের নাগালে নিয়ে আসা হয়নি। এই প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করেই এসব বিভ্রান্তিকর বিষয়গুলোর জবাবগুলো নিয়ে বাংলা ভাষায় তথ্যভিত্তিক একটি সাইট করার কাজ এগিয়ে নিতে ছোট একটি দল করে আমরা এগিয়ে চলেছি। চাইলে আপনিও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
যোগাযোগ রাখুন- trivuz@জিমেইল ডট কম
আর হ্যাঁ, নাস্তিকদের ও ইসলাম বিদ্বেষীদের আক্রমণ করবেন না, তাদের প্রতি ঘৃনা পোষণেরও প্রয়োজন নেই বরং করুনার দৃষ্টিতে তাকাতে পারেন। কারণ তারা তো শুধুমাত্র নিজেদেরকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে চলেছে, তাদের জন্য সব সময় শুভকামনা। আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে আরো জানার ও তাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমীন।