ইরান ইস্যুতে পশ্চিমারা তাদের সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইরাকের বিষয়ে CNN এর ক্রমাগত মিথ্যাচারের কারণে অনেকের কাছেই CNN তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। অতঃপর.... পশ্চিমারা তাদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ঐদিন দেখলাম ইউটিউবের ভূমিকা আজকে ফেসবুকের।
ফেসবুক পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তাতে কোন সন্দেহ নেই। ফেসবুকে সদস্য হওয়ার সময় আমরা কেউ-ই এই সাইটের মালিক কে বা কারা তা নিয়ে ভাবিনি বা ভাবার প্রয়োজন মনে করিনি। তবুও অনেকেরই আশংকা (বেশ কিছুদিন আগে আমিও কিছু আশংকা প্রকাশ করেছিলাম) এগুলো পশ্চিমাদের ও জায়ানিস্ট গোষ্ঠীর ফায়দা লুটার টুল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সেই আশংকাটা এত দ্রুত বাস্তবে পরিনত হবে তা ভাবতে পারিনি। তাই আজকে যখন ফেসবুকের তরফ থেকে একটি ম্যাসেজ পেলাম তখন বেশ অবাক হয়েছি। ইরান ইস্যুতে দুইটি বা দুইয়ের অধিক গ্রুপ থাকতেই পারে। সেই দুই বা ততোধিক গ্রুপের কে সঠিক আর কে ভুল সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু ইউটিউব বা ফেসবুক যখন এসব ইস্যুতে একটি পক্ষের হয়ে ওকালতি করতে শুরু করে তখন এই সাইটগুলোকে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রোপাগান্ডা টুল হিসেবে ভাবাটাই স্বাভাবিক। সিএনএন এর রিপোর্ট দেখুন-
Facebook at the forefront 4:55
Facebook has been in the forefront of the battle for information out of Iran. CNN's Dan Simon reports.
Click This Link
ফেসবুকের এহেন রাজনৈতিক রুপের বিরোধীতা অনেক ফেসবুক সদস্যই করেছেন। তাদের কিছু বক্তব্য তুলে ধরি-
আরো দেখলাম অনেকে অভিযোগ করেছেন তাদের একাউন্ট ব্লক করার বিষয়ে। Sarah Tiessen নামের একজনের বক্তব্য দেখুন-
ফেসবুক CNN এর সাথে প্রোপাগান্ডা মিশনে নেমেই ক্ষ্যান্ত হয়নি বরং এর বিরুদ্ধে আসা বক্তব্যকে মডারেট করতে শুরু করেছে। ইসরায়েলীরা যখন ফিলিস্তিনে বর্বরতা চালিয়েছে তখন ফেসবুকে একটি গ্রুপ করে সেই বর্বরতার কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছিলাম। সেগুলো ফেসবুক মুছে দিয়ে আমাকে সতর্ক করে দিয়েছিলো যাতে তা প্রকাশ না করি। ফিলিস্তিনিদের প্রতি চালানো বর্বরতা প্রকাশে ফেসবুকের আপত্তি... আবার এদিকে ইরানীদের প্রতি কথিত বর্বরতা নিয়ে তারা ক্যাম্পেইন করে....
ফেসবুকে আমরা যখন সদস্য হয়ে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারছি মানে এই না যে ফেসবুকের রাজনৈতিক মতবাদ আমরা গ্রহণ করতে বাধ্য। অথবা আমার বন্ধু তালিকায় না থাকার পরও আমার পাতায় তারা তার রাজনৈতিক মতবাদ ছাপিয়ে জোরপূর্বক তা পড়তে বাধ্য করতে পারে। মিলিয়ন মিলিয়ন সদস্যের সামনে এভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব দেখি ও প্রোপাগান্ড টুল হিসেবে আবির্ভূত হয়ে ফেসবুক তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। একই সাথে এই মিডিয়াগুলোর আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার হচ্ছে।
----
৩৫ নং মন্তব্যের জবাবে দেয়া একটি মন্তব্যের কিছু অংশ মূল পোস্টে যুক্ত করে দিলাম। তাদের জন্য যারা বুঝেও বিষয়টি না বুঝার ভান করছেন-
পশ্চিমারা ইরান ইস্যুটাকে খুব গুরুত্বপূর্ন করে তুলতে চাচ্ছে। আর ফেসবুকের মত বিশাল একটি প্রতিষ্ঠান বিষয়টি নিয়ে নাড়াচড়া করে বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ন হওয়াতে রসদ জুগিয়েছে।