স্মার্ট কম্পিউটিং আবার কি? নিচের টিপসগুলো যারা মানেন না, তারা কি আন-স্মার্ট? মোটেও না... তবুও টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন... কাজে দিবে।
ডাটা ব্যাকআপ/নিরাপত্তা বিষয়ক:
১) নিয়মিত আপডেট করেন এমন সব ফাইল C ড্রাইভে না রাখাই ভাল।
২) সবসময় গুরুত্বপূর্ন ফাইলগুলোকে ব্যাক-আপ রাখুন। এই বিষয়ে আলসেমি করে বহু মানুষকে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখেছি। এমনকি আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনকে দেখেছি বিষয়টি খুব ভাল করে জানার পরেও অলসতা করে ব্যাক আপ না নিয়ে পরে মাথায় হাত দিয়ে বসে থেকেছে। সুতরাং... দেরী না করে এখুনি ব্যাকআপ নিয়ে ফেলুন।
৩) আপনার ডাটার পরিমান যদি অনেক বেশী হয়, তাহলে সিডি/ডিভিডি থেকে বেশী ভাল এক্সট্রানাল হার্ডড্রাইভ। খালি সিডি ও সিডি রাইটারের মূল্য হিসেব করে দেখুন, ঐ দামে সিডি/ডিভিডির স্পেসের চেয়ে বেশি স্পেসের হার্ডডিস্ক পাবেন।
৪) ওয়েব ব্যাকআপ হিসেবে মেইল বক্স ব্যবহার করতে পারেন। এমন একটি গুগল বা ইয়াহু একাউন্ট রেজি: করুন, যেটা আপনি ব্যতিত আর কেউ জানে না... সেখানে সব গুরুত্বপূর্ন ফাইল তুলে রাখুন। ফাইল হারানোর সম্ভাবনা একদমই কমে যাবে।
অনলাইনে নিরাপত্তা বিষয়ক:
১) নিজের পিসি ব্যাতিত 'পাসওয়ার্ড মনে রাখুন' জাতীয় অপশন ওকে করবেন না। যদি ভুল ক্রমে করেও থাকেন, তাহলে মুছে ফেলুন সাথে সাথেই।
২) একই পাসওয়ার্ড একাধিক বার ব্যবহার করবেন না। মানে একই পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল/ব্লগ/ফোরাম/ডাউনলোড সাইট ইত্যাদিতে রেজি: করবেন না। একাউন্ট হ্যাক হওয়ার পেছনে এটি একটি বড় কারণ। একাধিক পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা হলে তা একটি মেইল হিসেবে আপনার গোপন মেইল বক্সে ফেলে রাখুন।
৩) ক্যাফে বা বন্ধুর কম্পিউটার থেকে খুব গুরুত্বপূর্ন পাসওয়ার্ডগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। নবিস হ্যাকাররা সাধারণত এসব পিসিতে কিলগার বা ডাটা প্যাকেট ক্যাচার সেট করে মানুষকে হ্যাক করে থাকে। আর যদি করতেই হয়, নিজের পিসিতে ফিরে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন।
৪) ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটারে কোন একাউন্টে লগইনের পর অবশ্যই লগঅফ করে আসবেন। এই বিষয়টি অনেকেই ভুলে যায়, যা তার অনলাইন নিরাপত্তা ও ইমেজ নষ্ট করার কাজে কেউ ব্যবহার করে থাকে।
৫) মেইল বক্সে অটো ফরোয়ার্ড করার কিছু অপশন থাকে.. মাঝে মাঝে সেগুলো চেক করে দেখুন আপনার মেইলবক্স হতে অজানা কোন মেইল বক্সে মেইল ফরোয়ার্ড হচ্ছে কিনা। জিমেইল ব্যবহাকারীরা এই বিষয়টির দিকে একটু বেশী নজর দিন.. ..(জিমেইলের সেটিংসে গিয়ে Forwarding and POP/IMAP চেক করে দেখুন)।
৬) প্রেরক (From) এর ঘরে আপনার পরিচিত কোন মেইল এড্রেস থাকা মানেই সেই ব্যাক্তি আপনাকে মেইল করেছে, এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। আরেকজনের মেইল আইডি From এর ঘরে বসানো কঠিন কোন কাজ নয়। সুতরাং একটু সাবধান থাকুন....!
৭) অনলাইনে নিজের ছবি (বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে) শেয়ার করবেন না। অনেক রকম সমস্যা হতে পারে।
৮) ব্যাক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন।
প্রচুর কাজের চাপে বিরক্ত হয়ে এই পোস্ট... ... অন্য কেউ আরো ভাল কিছু টিপস রেখে যেতে পারেন মন্তব্যের ঘরে। তা সকলের জন্যই মঙ্গলজনক হবে আশা রাখি। ...
(আপডেট হবে...)
--
একই সাথে কম্পিউটার গ্রুপে প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৩