শাবানের মধ্যরাত্রির কি কোন
ফযীলত বর্ণিত হয়েছে?
আসুন জেনে নেই হাদীস কি বলে।
শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত
সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:
১. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)
বলেন: এক রাতে আমি রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের
হলাম,
আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম।
তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর
জুলুম করবেন?’ আমি বললাম:
...
আর পড়তে হবে না,কোন হাদীস দূর্বল হলে তা প্রমাণ হয়না যে তা জাল।দেশের ধর্ষক,যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর সময় বিদ'আত স্মরণ থাকেনা?শাহবাগে চিৎকার করে বিচার চাই বিচার চাই করার সময় বিদ'আত খেয়াল থাকেনা?সরকারী কুত্তা হয়ে সরকারের অনাচার দেখেও উটপাখির মতন চোখ ঢাকার সময় বিদ'আতের কথা মাথায় থাকেনা?
বিরোধীদলীয় নেতানেত্রীদের সূর্যসন্তানদের অতীতের কাহীনী ভুলে যাওয়ার অনাচার করার সময় চোখে ঠুলী লাগানোর বিদ'আত নিয়ে টেনশন হয়না?
প্রোফাইলের ইনফোতে লাভলেটার লেখার সময় বিদ'আত খেয়াল থাকেনা?প্রোফাইল ফটোতে অজানা মেয়ের রক্তাত হাতে রক্তার হার্টের ছবি দিতে বিদ'আত মাথায় আসেনা?
নামাজ বাদ দিয়ে ফেসবুক চালানোর সময় বিদ'আত খেয়াল থাকেনা?নিজের অতি জ্ঞানের দরুণ বিপরীত মতপন্থী আলেমদের মতকে নিয়ে তামাসা করে গলা ফাটিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার সময় বিদ'আত কই থাকে?শরীয়তে এর নির্দেশ কই আছে?
ভন্ডপীর নিয়ে চ্যাঙ্গানো স্ট্যাটাস দিতে গিয়ে আল্লাহর প্রকৃত ওলীরা,যারা মাজার পূজা করতে বলে যায়নি,তাদের গালমন্দ করতে বিদ'আতের চুলকানী উঠেনা?আর মাজারে গিয়ে মৃত বাবার কাছে সাহায্য চাইতে বিদ'আত খেয়াল থাকেনা?নবীকে ত্রুটিপূর্ণ বলতে খেয়াল থাকেনা?আলীকে রাসুল ডাকার সময় বিদ'আত খেয়াল থাকেনা?কাবা শরীফে জুতা পায়ে হাটার সময় বিদ'আত খেয়াল থাকেনা?নবী কোনদিন কবিতা লিখেন নি বৃষ্টি নিয়ে,কোন মেয়ের ডাকর চোখ নিয়ে,কোন আল্লামার জন্য কাসিদা লিখেন নাই,এসব লিখে স্ট্যাটাস দেয়ার সময় বিদ'আত মনে হয়না?
আশেপাশে এতো এতো সমস্যা,আর তারা আছেন শবে বরাতের দূর্বল থাকা হাদীস নিয়ে গেজাতে।পালন না করলে পালন করবেন না।বিদ'আত মনে হলে যে সকল ইমামরা পালন করেন,তাদের কাছে যান,আলোচনা করুন।নিজের মতের সাথে যার মত মিলবে,তাকে ইমাম আব্বা বানিয়ে পোস্ট দিতে থাকেন,আর একই লেখা রংচং দিয়ে আরেকজন পোস্ট করে নিজের আলেম মনোভাব প্রকাশ করেন।
যাদের আজকের রাত নিয়ে আপত্তি আছে তারা সেসকল ইমামদের কাছে যান,যারা আপত্তি তোলেন না।এসব আর ভালো লাগেনা,যখন যে ধর্মীয় উপলক্ষ্য আসে,এই মত আর সেই মতের স্ট্যাটাস প্রসব করে ফেসবুক সয়লাব করে ফেলেন।
দূর্বল হাদীসের উপর আমল করা যায় নফল কাজসমূহের বেলায়।তবে ফরজ কাজ যেমন নামাজ,রোজা,হজ্ব এগুলোর বেলায় দুর্বল হাদীস মানা হয় না,অকাট্য দলীল প্রয়োজন হয়।দয়া করে প্রসব বেদনা থামান! নাহলে আমাকে আনফ্র্যান্ড করে দিন,একজন ফ্র্যান্ড কমে গেলে আপনার ক্ষতি হবেনা।আমাকে একটু শান্তিতে আজকে রাতে আগের ছেড়ে দেয়া ফরজ নামাজগুলোর কাযা করতে দিন।একটু শান্তি দিন মানুষকে।