শিরোনাম দেখে নিশ্চয় কিছুটা অবাক হয়েছেন?
ফল ফরমালিন মুক্ত সেটা বুঝাতে কিছু অস্বাধু বিক্রেতারা এখন একপ্রকার কেমিকেল ব্যাবহার করছে যাতে মাছি দৌড় দিয়ে এসে তাদের ফলের উপর বসে থাকে।

এতোদিন শুধু মুখে শুনেছি আর বিভিন্ন পত্রিকাতে পড়েছিলাস কিন্তু সেদিন নিজের চোঁখেই দেখলাম।
আম কিনতে বাজারে গেছিলাম কয়েকদিন আগে। আমের গায়ে রসকস লেগে আছে, দেখেই বুঝা যায় কিছুক্ষণ আগেই গাছ থেকে আম পেরে নিয়ে এসেছেন সেই বিক্রেতা। হুম বিক্রেতাও সেটাই বললেন।
আম কিনে একটু সামনে যাইতেই দেখি আরেকটা দেকানে আরও সুন্দর সুন্দর তাজা আম। দেখে বেশ লোভ হলো.... মাছিও দেখি সেখানকার সব ফলে বেশ লাফালাফি করছে। মনটা ভাল হয়েগেল। আহা এতো দেখি সব ফরমালিন মুক্ত আম।
এআম ওআমের দিকে তাকাতেই পাশে রাখা আপেল আঙ্গুর আর কমলার দিকেও চোঁখ পরলো। সেই দোকানের সব ফলেই মাছিতে ভর্তি :O
আমে মাছি বসে দেখেছি.... আপেলেও দেখেছি মাঝে মাঝে বসে... আঙ্গুরেও বসে একটু পঁচে গেলে সেটাও জানি কিন্তুু একবারেই টাটকা কমলাতে কিভাবে মাছি হুমরি খেয়ে পড়ে? কমলালেবুর ছালের ভিতরের অংশের রস কি মাছির পক্ষে বের করা সম্ভব? নাকি ছালের সেই ঝাঝালো তিতো রস মাছির এখন পছন্দ(?) কিন্তু এর আগেতা এমনটা কোথাও দেখিনি।
ব্যাস বুঝেগেলাম তিনি ফরমালিন যুক্ত ফলকে ফরমালিন মুক্ত দেখানোর চেষ্টা করেছেন মাত্র।
অথচ অন্যান্য জেলার বেশির্ভাগ মানুষ মনে করে রাজশাহীর আমে ফরমালিন ব্যাবহার করা হয়না।
কয়েক বছর আগে চোঁখ বন্ধ করেও সব কিনে আনা যেত আর এখন দোকানের সামনে দ্বাড়িয়ে ২-১মিনিট অসহায়ের মত ফলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চিন্তু করতে হয় ..........বিষ(ফল) কিনবো কি না (!)

বাঙ্গালি বিষ খাইতে খাইতে যখন হাসপাতালের বেডে পইড়া থাকবে তখন মাথায় বুদ্ধি হবে........

অথচ যদি মাত্র এক সিজিন এই ফরমালিন যুক্ত ফলসহ সবকিছু খাওয়া বাদ দেয় মানুষ, তাহলে পরের সিজিনে তারা ফরমালিন দেওয়ার আগে হাজার বার ভেবে দেখবে!
যেহেতু এগুলার বিরুদ্ধে সরকারের তেমন একটা মাথাব্যাথা নাই তাই ইচ্ছা হইলে নিজের ভাল থাকার ব্যাবস্তা নিজেরাই নিতে পারেন।
বিষ খেয়ে ১০-১২বছর পর হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর দিন গুণবেন নাকি বিষ খাওয়া বাদ দিয়ে সুস্থ সবল থাকবেন সেটা আপনাদের নিজের ইচ্ছে
