চিৎকার করলেন গগন কাঁপিয়ে !
“যে বলে আমার রাস্ট্রে অনাহারে মরে
ধরে আনো,বেঁধে আনো তারে।”
“হুজুর ওরা সব ইললিটারেট সাংবাদিক,
চেপে যান,আপনার আবার চেঁচামেচির বাতিক।
দুমুখো নীতির আধ্যাত্মিক পূজারী হয়ে,
বেশীদিন রাখা যাবেনা জনগনকে ভুলিয়ে।
আসুন সমাজতন্ত্র আর বুর্জোয়াবাদের পাইল করি।
জালফেলি ,কিন্তু পানি না ছুয়ে মাছ ধরি।”
তারপর দুই দিন ধরে চলল আলোচনা।
লেখা হ্ ল অনাহার নিকেষের রচনা।
বিরাট একটা উৎসবের হবে আয়োজন,
দুনিয়ার অনাহারীদের আহার সম্মেলন।
অতঃপর...
বিরিয়ানির মনকাড়া গন্ধে বাতাস মাতাল হয়।
মন্ডা মিঠাই দই সন্দেশে চারিদিক ময় ময়,
বিকাল থেকে শুরু হ্ ল অনাহারীর মহাআহার,
মাঝরাতে শেষ হ্য় খাদ্যের জন্য হাহাকার।
ভোররাতে এল কয়েক হাজার গাড়ী,
উঠল লক্ষ লাশের সারি।
দীর্ঘদিনের অভুক্ত পাকযন্ত্রের অতি সক্রিয়তা,
মেনে নেয় না রক্তমাংসের ভঙ্গুর দেহটা।
তারপর সকাল হ্ ল,আকাশে সূয্যিমামা উঠল,
রাস্ট্রে চিরসুখের নুতন দিগন্ত চালু হ্ ল।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪৯