এইতো সেদিন চেম্বারে বসে জনাব তারেক রহমানের বক্তব্য শুনতেছিলাম। সমাবেশে ভালো করে শুনতে না পারায় চেম্বারে এসে পুনরায় শোনার আয়োজন। সাথে থাকা জাতীয়তাবাদী ঘেঁষা আইনজীবী বন্ধুটি আনমনে বলেই ফেললেন, 'আরে ভাই! লিডার তো দেখি অসাধারণ বক্তব্য দেয়। পজিটিভ রাজনীতির চর্চা করেন। ' (অবশ্য এখন পরীক্ষিত কর্মী নয় এমন ঘেঁষাদের ঘেঁষাঘেঁষিতে টিকে থাকা দায়!)। বাস্তবতা হলো এমনই। সাধারণ মানুষ বা জাতীয়তাবাদী ঘেঁষা তো দূরের কথা আমরা যারা জাতীয়তাবাদী কর্মী তারাও প্রকৃতপক্ষে লিডারকে কতটুটু শুনি? কতটুকু ধারণ ও বিশ্লেষণ করি? ওয়ান ইলেভেনের সরকার এবং তৎপরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট রিজম মিলে সবচেয়ে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন জনাব তারেক রহমান। যার ফলে তারেক রহমান প্রসঙ্গ আসলেই সাথে সাথে সমালোচনা ডেলিভারি, যেন সমালোচনা সবার ঠোঁটে রেডি থাকতো।
বিগত আঠারো বছর পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, সুশীল-সমাজ, টিআইবি, সরকার দলীয় থিংক ট্যাংক (প্রোপাগান্ডা উইং) , দেশী-বিদেশী লবিস্ট ফার্ম মিলে তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত প্রোপাগান্ডা করলেও কামিয়াবি হতে পারলো না। অথচ, স্বাধীনতা–উত্তর সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশের কাঁধে চেপে বসা স্বৈরাচার নামক জগদ্দল পাথরের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় যুগ ধরে জাতীয় আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে তিনি যে নৈপুণ্য দেখিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। স্বৈরাচার হটানোর পর দৃঢ়তার সাথে দলীয় শৃঙ্খলা আর ইতিবাচক রাজনীতির যে চর্চা করে চলছেন তাও নতুন প্রজন্মকে অবাক করে দিচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের ঢাকডোল পিটিয়ে মাইকিংয়ে নয় বরং স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত জননেতা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তারেক রহমানের কর্মী হিসেবে আমরা কি পারছি নিজেদের শোভিতকরতে?
শুভ জন্মদিন জনাব তারেক রহমান, অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
তাই আসুন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক তর্ক-বিবাদে না জড়িয়ে কিংবা ওমুক গ্রুপ তমুক গ্রুপের পিছনে না লেগে জাতীয়তাবাদের চর্চা করি৷ নতুন প্রজন্মকে দলকে জানার সুযোগ সৃষ্টি করি।
- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (MT Ullah)
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
mtullah89@gmail.com