ক্যান যে এইখানে পইড়া আছি মাঝে মাঝে নিজেরে জিগাই। মাঠ ছাইড়া দিলে রাজাকাররা গলা উচা কইরা কথা কয়। ওদের মুখ হা করা দেখলেই আমার রেচনতন্ত্র সক্রিয় হয়, কথা শুরু করলে পরিপাকতন্ত্র। মনে হয় এক্কেরে কানায় কানায় ভইরা দিয়া আসি। ভিজিট না করলেই তাগো চ্যাদারা দেখা লাগে না। কিন্তু বাংলা ব্লগ স্ফিয়ারের বৃহত্তম প্লাটফর্ম রাজাকার আর তাগো গৃহপালিত চতুস্পদের একচ্ছত্র বিচরণক্ষেত্র হইবো এইটা মানতে মন সরে না। কথা হইল একজন তুচ্ছ লাল মিয়ার মন সরাসরিতে কতটা কি আসে যায়? একসময় ব্লগে অশান্তি লাগলে, ঝগড়া লাগলে চুটকি লেইখা হাওয়া হালকা করতাম। সেই অশান্তি বাড়তে বাড়তে একসময় দেখি জায়গাটা সাইক্লপসের খাঁচা হইয়া গেছেগা। ইউলিসিস গং সেই ক্ষেত্রে ইটা মারতে বাধ্য। সেই ইটা মারামারি পরিস্থিতির একটা বড় শোডাউন হইছে গত ৭ জানুয়ারী। চ্যালেঞ্জ দিছিলো নিপুপাওয়ারফুল। পরে তার লগে যোগ দিছে ছানারাম। তাগো ঠেকাইতে ফাইট দিছে সুস্থ ব্লগাররা। আমি দূর্ভাগ্যবশত সেই ফাইট মিস করছি। যখন লগ ইন করলাম ততক্ষণে সাইক্লপস লোটিশ লটকাইছে। তারপর বিরতি, কেউ কেউ আনব্যান ইত্যাদি। আইজকা বাড়ি ফিরতে দেরী হইছে। লগইন কইরা দেখলাম পিয়াল ভাই এর পুরান পোস্ট সব হাওয়া। প্রথম চাইর পাচ পেইজ ভইরা রীতিমতো লাদি ছাইকা পোস্ট দেখা লাগে। এতদিন পরে আইজকা কেমন জানি ক্লান্ত লাগতাছে। একেকটা গ্যাঞ্জাম লাগবো আর ক্লকারহগ সাহেবের হিটের ডেগচিতে বলগ আইবো, এই বোম্পাট আর কয়দিন ভাললাগে? আমার কি লাভ? আমি হুদা কামে চিপড়াইয়া বাইর করা কয়েক ফোটা সময় ক্যান দিমু হ্যার পকেট ভরতে? গত কয়েক দশকে সামরিক-বেসামরিক সরকারগুলা রাজাকার পালছে, এই পরদেশীও তাই করতাছে। তারে আলাদা কইরা ধরার কি আছে? ধরার একটা যুক্তি ছিল, এতদিন গ্রেটার অর্থে প্রিন্ট মিডিয়া বা লেখালেখির জায়গাগুলা থিকা আলবাঁদররা মোটামুটি বিতাড়িত ছিল। ওপেন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কায়দায়, কখনো নরম কখনো গরম কখনো দ্যাহেন ভাই দ্যাহেন এই পিচাইশগুলা আমারে মারে এইসব বয় উঠাইয়া নিজেগো জায়গা বানানোর চেষ্টা কইরা যাইতাছে। ২০০৬ সালে কৌশিকের আগুনের পরশমনি নামের সাক্ষাতকারের অনুষ্ঠাণ চলার সময় কথাটা একটুক্ষণের জন্য ফুচকি মাইরা গেছিল। ঐসময় পাত্তা দেই নাই। পরে টানা একবছর সতর্ক পর্যবেক্ষণের পরে ওদের পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত হইলাম। ব্লগ ছাড়ি নাই এতোদিন,কারণ এইটা খোলা জায়গা যে কোন লোক যে কোন ফুটা দিয়া সান্দাইতে পারে। সান্দাইয়া দেখবো যে বাহ এইখানে কি সুন্দর বরাহনন্দনদের সাথে উত্তরাধুণিক সহাবস্থান...এই সহাবস্থানে আমার আর লগে আমার মতো আরো অনেকের আপত্তি। এই অনেকে কথাটার আড়ালে যারা আছে তারা যে সংখ্যায় কম না, খুব কাঁচা ব্যবসায়ী না হইলে সাইক্লপস বয়াতী ও তার দলের এতদিনে বুঝার কথা। বুঝে নাই। এখন এই না বুঝারে কি অর্থে অনুবাদ করুম? এসপার? ওসপার? নাকি মাঝগাঙ্গে খাড়াইয়া আছে নেশার ঘোরে, পিনিক ছুটতে ছুটতে কুমিরে ঢেকুর তুলবো?
অনেকক্ষণ মনখারাপ কইরা বইসা ছিলাম। রাজনীতি করার রাস্তা বানাইয়া দিছে অবৈধ সামরিক সরকারগুলা। পরে সাপোর্ট নিয়া, কোয়ালিশন কইরা বিচি খাউজাইছে ভোটের রাজনীতিকরা। এখন প্রিন্ট মিডিয়াতে, কমিউনিটি ওয়েব প্লাটফর্মে জায়গা কইরা দিতাছে কারা? এইখানে তো ওদের জায়গা ছিল না। ওদের মুখ হা করার সুযোগ কারা দিতাছে?
দিতাছে সুশীল বইলা পরিচিত কিছু গুডবয়। তারা "সবার কথাই শুনতে হইবো"...."গালি দেওয়া খারাপ" ইত্যাদি নির্বিজ কথাবার্তা দিয়া বরাহগুলার বাহবা লইয়া নিজেরা "পজিশন" পাকা করতাছেন লগে এতদিন ধইরা...এমনকি ৫ বছর জোট সরকারের ক্ষমতায় থাকার সময় পর্যন্ত প্রিন্ট মিডিয়াতে বিতাড়িত থাকা চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট চক্ররে সাংস্কৃতিক পুনর্বাসনের জায়গা কইরা দিতেছেন।
ফ্যাসিস্টগো ইন্টেলেকচুয়াল স্ফিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওনের এই প্রক্রিয়াটার নাম কি হইতে পারে ভাবতেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসলাম পলিটিক্যাল ট্র্যানিজম ছাড়া এইটার আর কোন নামই দেওন যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৭:৩৯