আমাদের কথা
তৃতীয় অংশ (৩)
আমি আরিফ, তুমি কি হিন্দু ? জি জনাব আমি ব্রাহ্মণ । আমার নাম সুনীল চক্রবর্তী । আর তুমি ? আমি আরিফ হাসান । বন্ধুরা আরিফ বলে ডাকে । দুই জন জামিলের দিকে তাকালো । আমি জামিল আহমেদ আমাকে সবাই জামিল বলে ।
হঠাৎ একটা কণ্ঠ চিৎকার করে উঠলো এই সরো সরো , অনেক জোরে বাথরুমের দরজা বন্ধ হল । তিন জন প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তিন জনের দিকে তাকালো । কিছুক্ষণ পরে ছেলেটি বের হোল । সরি , সেই সকাল থেকে প্রেশার ছিল । কখন হস্টেলে থাকিনি তো । তাই একটু টেনসন হচ্ছিল । যাজ্ঞে আমার বিছানা কোনটা ? অহো আমি শান্ত । হাবিবুর রহমান শান্ত । জামিল এগিয়ে গেল , আমি জামিল আর ওরা সুনীল আর আরিফ । আমি আসেছি ধানমণ্ডি ঢাকা থেকে । আজি সবার সাথে পরিচয় । আমি খুলনা থেকে , আরিফ বলল । আর আমি ফরিদপুর , সুনীল বলল । আমি ঢাকার ছেলে কিন্তু এখন একটা মফস্বল সহরে থাকি । গাজীপুর , শান্ত বলল । অনেক ক্ষুধা লেগেছে চলো খেতে যাই । শান্ত বলল । চাইলেই খেতে পারবে না বন্ধু , আরিফ বলল । ২ টায় খাবার দিবে । এখন বাজে ১.৩০ । আরো ত্রিশ মিনিট । কিন্তু খুধা লেগেছে যে । আমি আবার ক্ষুধা সহ্য করতে পারি না । এই মাত্র না তুমি বাথরুম থেকে আসলে ? সুনীল বলল । সব তো ফেলে দিয়ে আসলাম । শান্ত হেসে বলল । ভালোই বলেছ , সুনীলও হেসে বলল । সবায় একসাথে হাসতে লাগলো । আস্তে হাসো, শুনেছি আমাদের প্রিঞ্চিপাল অনেক খারুস । হাসি সুন্তে পেলে যদি বের করে দেয় ? আরিফ বলল । সবাই আবার হাসতে লাগলো । যাই আমি গোসল করে আসি আসি , সুনীল বলল । তোমরা হাসতে থাকো , খেতে যেতে হবে ।
ইস, এটা কি ডাল ? চিরুনি অভিযান চালালেও তো একটা ডাল খুজে পাওয়া যাবে না । আমি এই ডাল খাব না । খাও খাও এটাই খেতে হবে শান্ত ।জামিল বলল । এটা তো তোমার বাসা না চাইলেই ঘন ডাল দিবে । যেমন পাচ্ছ তেমনই খেতে হবে ।কিছু করার নাই । আমি এমন ডাল আমার এই জীবনে খাই নি । শান্ত বলল । এখন থেকে খেতে হবে বৎস । সুনীল বলল ।
ডাইনিং টেবিলে সবায় খেতে বসেছে । ওরা চার জন ছাড়াও আরো ২৬ জন । আরেকটা টেবিল এ ২৯ জন । ওখানে একজন কম কেন ? আরিফ বলল ।কি জানি কেন । খাও তো কথা বোল না । দেখ সগির কি ভাবে তাকিয়ে আছে । পাশের একটা ছেলে বলল ওদের একজন কে বের করে দিয়েছে । কেন ? সুনীল বলল । একটা মেয়ের সাথে কথা বলেছিল তাই । খাও খাওয়ার সময় কথা বলা নিষেধ ।