দ্বিতীয় অংশ (২)
বড় একটা হল রুম এক পাশে সিঁড়ী অন্য দিকে চারটা দরজা । একটা দরজার উপর লেখা অফিস । দারোয়ান সগির দরজাটাই নক করল । কে, ভেতর থেকে একটা কর্কশ কণ্ঠ চিৎকার করে উঠল । স্যার আমি সগির, নতুন একটা পোলা আইছে । এসো , কণ্ঠটা বলল । ঘরটাতে হালকা আলো, ভালো করে না তাকালে সব অস্পষ্ট লাগে । তবে জামিল এর মনে হোল চেয়ারে যে বসে আছে তার চোখ জ্বলজ্বল করছে । জামিল আহমেদ, হুম , লোকটা বলল । আমি এই কলেজ হোস্টেল এর সুপার । বস এখানে । আমাদের এই হোস্টেলের একটা বদনাম বা সুনাম আছে, যাই বল না কেন । এখানে খারাপ ছেলেরা ভালো হয়ে যায় । সবাই একটা ডিসিপ্লিন মেনে চলে । এখানে থাকতে হলে নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে । কোন রকম অনিয়ম আমি সহ্য করব না । তোমার রুম তিন তলায় ৩০৪ । চার জন থাকবে । কোন গণ্ডগোল যেন না হয় । এই কাগজটা নিয়ে যাও । সব নিয়ম লেখা আছে । এর বাইরে কোন কাজ অপরাধ হিসাবে ধরা হবে । সগির ওকে রুম দেখিয়ে দাও । আইস আমার সাথে । আজকা মনে হয় স্যার এর মনটা ভালা তাই তুমারে কিছু কয় নাই । অন্য দিন হলে বুঝতা মজা কারে কয় ।
প্রত্যেক তলায় সারি সারি ঘর । জামিলের রুমটা সিঁড়ী থেকে ডানে চার নম্বর ৩০৪ ।
এইডা তুমার রুম । গোসলখানার লগে ডাইন পাশেরটা তুমার বিছানা আর টিবল । যাও । আমি জাইগা, মেলা কাম পইরা আছে । ২ টায় ডাইনিং এ খাওন দিব ।
জামিল রুমটা দেখছিল । ছোট তবে চার জনের জন্য ঠিক আছে । জামিল এর খাটের পাশে জানালা । ভালোই হল । জামিল ভাবলো । তোমার নাম কি ? আমি আরিফ । তাকাতেই জামিল দেখল ছোট খাটো একটা ছেলে বাথরুম থেকে বের হোল । নাকের উপর একটা চশমা । এসো ভেতরে এসো । এটা আমার বিছানা । জামিল এর পাশের বিছানাটা দেখিয়ে বলল আরিফ । আমি জামিল , তোমার নতুন রুমমেট ।
হাই আমি সুনীল । আমিও তোমাদের রুমমেট । দুই জন দরজার দিকে তাকালো ।