রথ দেখা কলা বেচা
টোকন ঠাকুর
রথ দেখার নাম করে কলা বিক্রি করি
কী জানি কি মনে করে লিখিঃ মায়াবড়ি
মায়াবড়ি নামেই তো মায়া, শৈশবের ছবি
এদিকে বাংলা ভাষার বাম্পার বিস্তৃতি, ফলে
উপরে যতই রথ দেখি, কলা বেচি, তলে তলে
কোনোকালে কেউ পদাবলি লিখেছে বলেই
অামু দুটো পদ লিখে খাই, অামু হই কবি
অামু খুব অনির্ণয়ের ভাব নিয়ে ঘুরি
'ঘুড়ি' লিখে বাল্যকাল হই, অাকাশেতে উড়ি
উড়ি উড়ি দিন যায়, উড়ি উড়ি রাতে
কৌশলে বিরহসমগ্র চাইলাম ছাপাতে
যাতে বর্ষাকাল কী জিনিস, বুঝিতে পারো
অাকাশে কালিদাসের চিঠি খুঁজিতে পারো
একদিন একা এক শালিক হয়ে ভিজিতে পারো
মেঘ কাছে এসে বলিবে, নিজেকে ভেজাও অারও
কে কাকে বলবে? মেঘ কে? কেন ভিজতে চাওয়া?
নদীর ওপার থেকে গোপনে অাসে পরকীয়া হাওয়া
হাওয়া কি, পরকীয়া কি? কেউ কি কারোর কেনা
কোনো প্রাণী? শুনেছি অাজকে মানুষ নাকি স্বাধীন!
মানুষ নাকি পরষ্পরের অাত্মীয়, সব চেনা!
কোনটা সত্যি? মনটা সত্যি। মনটাই তো শরীর
বুক থেকেই তো রক্ত ঝরে যখন মনের তীর
মনে মনেই ছুড়ে মারো, অামি কার্ডিয়াকের রোগী
বুকের মধ্যেই রেললাইন এক, ছুটছে রেলের বগি
কেমন করে? দেখছি অামি দেখাতে পারছি না
এই অবস্থা ভীষণ চাপের, কবিতা চলে অাসে
সেই কবিতা একইসঙ্গে পাঠক এবং কবিকে ভালোবাসে
সেই কবিতা পরকীয়া করে? সেই কবিতা ব্যাভিচারিণী?
বরং সহজ স্বীকারোক্তি করিঃ সেই কবিতা লিখতে পারিনি
সেই কবিতা কার বুকে রোজ গোলাপ হয়ে ফোটে
অজানা, কারণ, পদ লিখে কি শাক-সবজিউ জোটে?
অজানা, গোলাপ কেন নারীস্তনের মর্যাদায় থাকে জোরাল সঙ্কটে!
তাই, রথ দেখতে গেলেও অামি কলা বেচতেই যাই
তুমি অামার কলার ক্রেতা, এই কথাও কি লিখব কবিতায়?