জঙ্গলের দিকে
কারা এসেছিল জঙ্গলের দিকে?
আর আমিও কত কিছু, আমিও কত কী, আমিও জিজ্ঞাসার লোভে
বেঁচে থাকা চেয়ে, ভাষাময় বর্ণমালার প্রহেলিকা লিখে লিখে
এসেছি জঙ্গলে, কী মনে হয়, বনদেবী আমার সঙ্গে শোবে?
শুকনো পাতার বিছানায় শীৎকার শুনে বাঘ এসে থমকে দাঁড়াবে?
জঙ্গলে কি রূপান্তরিত হতে পারব? ফুল-পাতা বা পাখি হতে পারব?
এরপর, আমার মধ্যে কি কোনো প্রকার গাছ দেখা যাবে?
কে যেন বলেছিল, আসলে পাতার মর্মর বলে কিছু নেই!
সবই কিছু কথা, প্রেমালাপ বা কোনো এক সময়ের শ্বাস-প্রশ্বাসের ধ্বনি
কারা রেখে গেছে? কারা এসেছিল জঙ্গলের দিকে? তারাও কি দিবস ও রজনী
কারও আশায় ছিল...এইসব প্রশ্ন মনে আসে, এসব প্রশ্নও ভালো লাগে
আবার এমনিই মনে হয়, ঘর ছেড়ে কেন জঙ্গলে আসিনি আগে!
আজ এসেছি জঙ্গলে, যদি পাঠ্যবই থেকে বেরিয়ে যেতে পারি
যদি মাত্রাবৃত্ত-মধ্যবিত্ত থেকে নিষ্কৃতি পাই, সেই অাশায়
যদি একবার কোনোভাবে বাঘ হয়ে যেতে পারি, হালুম হালুম ভাষায়
কারণ, আমি তোমার মধ্যে একটি হরিণীর পলায়নপরতা দেখেছি
বাঘ সেই সন্ত্রস্থ পলায়নপরতার পেছনে ছুটতে ভালোবাসে বলেই
আমি এসেছি জঙ্গলে
প্রথম প্রকাশ: প্রথম অালো সাময়িকী / ১৯.২.২০১৬
ছোট্ট কবিতা
তুমি যেন ঠিক কার মতো?
একটি ছোট্ট পাখির বাচ্চা
অথবা বাচ্চার মা'র মতো?
তুমি যেন ঠিক কার মতো?
যার মতো অার দেখিনি কাউকে
স্মরণী-কুসুম, তার মতো?
তুমি তবে ঠিক তার মতো?
কার মতো, কার মতো?
যার মতো অার দেখিনি অাগুন
পুড়িয়ে বাঁচায়, তার মতো?
যার মতো অার ভাবিনি কাউকে
তার মতো, তার মতো?
যার বেশি কেউ দূরেরও নয়
তার মতো, তার মতো?
প্রথম প্রকাশ: সমকাল, ১৯. ২. ২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭