‘আমার চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আর কে আছে?’ বলে দম্ভোক্তি করলেই তো আর দেশের প্রতি অগাধ প্রেম, ভালবাসা আর দায়িত্ববোধের প্রমান দেয়া হয়ে যায় না। দেশপ্রেমের প্রমান পাওয়া যায় সংশ্লিষ্ঠ দ্বায়িত্বশীলের কাজ-কর্ম, আর তাঁর গৃহিত পদক্ষেপ, তার ফলাফল, কথা বার্তা আর আচার আচরণের মাধ্যমে। তাছাড়া কেবল দেশপ্রেম থাকলেই যে একজন নেতা, প্রশাসক কিংবা সংগঠক হওয়া যায়, তাও তো নয়। এর জন্য কি প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকতে নেই? মানবপ্রেম থাকলেই কী একজন ডাক্তার হওয়া যায়? তার জন্য কি ব্যক্তির চরিত্রে প্রয়োজনীয় মেধা আর মনন, জ্ঞান আর যোগ্যতা, দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা, এগুলো থাকতে নেই?
দেশপ্রেম, জাতপ্রেম আছে বলেই না তাঁরা নেতা-নেত্রী! সম্ভবত একটু বেশীই আছে। শরীরে গ্লুকোজ থাকাটা সুস্থতার লক্ষণ। তবে সেই থাকার পরিমানটা হতে হবে মাত্রার মধ্যে, মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকাটা সুস্থতাতো নয়ই, বরং ভয়ংকর অসুস্থতা ‘ডায়াবেটিস’ রোগের লক্ষণ! তেমনি দেশপ্রেম, জাতপ্রেম, গোষ্ঠিপ্রীতি একজন নেতা বা নেত্রীর জন্য একটি আবশ্যকীয় গুণ। তথাপি সেই গুণগুলোর সাথে সাথে একজন নেতা বা নেত্রীর অহংবোধ যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়, তবে তখন ঐসব গুণাবলী সামষ্টিকভাবে এক মারাত্বক ব্যাধিতে পরিণত হয়ে পড়ে। ভয়ংকর এই ব্যাধিতেই আক্রান্ত আমাদের রাজনীতি আর সমাজ! প্রিয় বাংলাদেশ যার বলী হচ্ছে প্রতিদিন!