১
গোষ্ঠীবাদীতার বাইরে কোন মানবাধিকার সংগঠন নাই ।
২
রাজনীতির বাইরে যারা মানবতা পোষণ করে তারা রাজনীতি বুঝেনা ।
৩
যার ভেতরে কাঠমোল্লাগিরি আছে সে সেটা ধারণ করবেই ,দুনিয়ার তাবৎ লেখাপড়া করলেও । মার্ক্সিস্ট , সাইন্টিস্ট , সোশাইলিস্ট , কবি , সাহিত্যিক , গবেষক , সবাই । এই কাঠমোল্লাগিরি মোটেও মোল্লাদের ব্যপার না শুধু ।
৪
গোষ্ঠীবাদীতার বাইরে মানবতা আছে , আওয়াজ নাই , নিঃশব্দ । কিংবা সে শব্দ আমাদের কানে আসে না ।
৫
মানবাধিকার সংগঠন , কিংবা কখনো কখনো মানবাধিকার নিয়ে গড়ে তোলা আন্দোলন অনেকটা চুদাচুদির মত । যে যারে চুদে যেন সে তার যুনির নিরাপত্তা চায় অনেকটা এরকম ।
৬
মোল্লার মানবাদিকারের জন্য মোল্লা কান্দে । কমুনিস্টের জন্য কান্দে কমুনিস্ট । নাস্তিকের জন্য নাস্তিক , আস্তিকের জন্য আস্তিক । সংস্কৃতি কর্মীর জন্য সংস্কৃতি কর্মী । মুসলমানের জন্য মুসলমান-ছোঁপা মুসলমান । হিন্দুর জন্য হিন্দু -ছোঁপা হিন্দু ।
আর যার যেখানে স্বার্থ , সেখানে সে কান্দে । যেখানে স্বার্থ আছে , সেখানে সবাই কান্দে ।
৭
ঘুরে ফিরে দুনিয়ার সংস্কৃতি , সাহিত্য , ইতিহাস , ধর্ম , সমাজবিজ্ঞান , অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি চুদায়া অধিকাংশ, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বাইরে নতুন ধরনের সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠে ।
৮
আচার বা অভ্যাসের দাসত্ব আর ধর্ম একই জিনিস । আর এই দাসত্বের শিকল ভাঙতে গেলে ধর্ম মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে সেটা ধর্মের ধর্ম , গনতান্ত্রিক ধর্ম , সমাজতান্ত্রিক ধর্ম, একনায়কতান্ত্রিক ধর্ম , স্বৈরতান্ত্রিক ধর্ম সবাই ।
৯
ধর্মকেন্দ্রিক শাসন একসময় খুব প্রবল ছিলো । সেখানে স্রস্টা ছিলেন ক্ষমতার উৎস । ক্ষমতা মানেই স্রস্টা । মানুস সেখানে দাস মাত্র ।
আচার , অনাচার , হত্যা সব স্রস্টার নামে হত , আর মানুসই সেগুলো করত । কোন অনাচারের প্রতিবাদ করা যেত না কেননা শাসক স্রস্টা হলেও শাসনের চাবুক মানুসের হাতেই ছিল ।
তারপর মানুস এই স্রস্টার দাসত্ব থেকে বেরিয়ে গেলো , শাসক স্রস্টার আসন নিজেরা দখল করল আর বলতে থাকল -আর কোনদিন স্রস্টাকে মানুসের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না ( শুধু আমরাই খেলব )। জালিম স্রস্টার শাসনের বর্বরতা তুলে ধরে নব্য বিপ্লবীরা নতুন নতুন গান ধরতে শুরু করলেন । এখনো হিরুসিমা - নাপামবোমা- হিটলার- স্টালিন-বোস -নাইজেরিয়া-ইরাক-ফিলিস্তিন-চেচনিয়া-বসনেয়া-সুদান- আফগানিস্তান-কাশ্মির-সিকিম-রোহিঙা । এখনো শাসনের তলোয়ার মানুষের হাতেই ।
১০
বাংলাদেশের এক বন্ধু ভারত অন্য বন্ধু চিন দুজন রেফারি । বাংলাদেশ গোলপোস্ট । নিকট প্রতিবেশি বার্মা পেনাল্টি কিক করছে । সারাবিশ্ব দর্শক । রোহিঙারা বলের দায়িত্বে । গোলপোস্টে কয়টা নোবেল ঢোকে সেটাই দেখার বিষয় । আরেহ ! রাশিয়া না মানবতার ধ্বজভঙ্গ ?
১১
গণতন্ত্র যা ও একটু সমাজতন্ত্র স্বীকার করে সমাজতন্ত্র ততটুকুও গনতন্ত্র স্বীকার করে না ।
১২
---------তন্ত্র সামান্যতম ভিন্নমত ও সহ্য করে না ।
১৩
সমাজতন্ত্রে কোন উৎসব নেই ।
১৪
মনুষ্যসমাজে সাংস্কৃতিক বিভেদ তেমন আমলযোগ্য না হলেও এই বিভেদ থেকেই ভয়াবহতম বিরোধ আছে । আছে সাংস্কৃতিক বেশ্যাবৃত্তি । এই সাংস্কৃতিক বেশ্যারা মানুষকে নিয়ে কাটাকুটি খেলে । সংস্কৃতি বিবেচনায় অপরাধ এবং অপরাধী শনাক্তকরণ এবং বিচারিকরন করা হয় ।
১৫
চিন্তার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া আপাত ন্যায় ও সত্যে পৌঁছানো যায় না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩