ঈশ্বরের সাথে আমার অনেককাল আগে থেকেই সখ্যতা । আমার ঘনিষ্ঠজনেরা তা জানেন বোধ করি । তার সাথে আমার এইসব বাতচিৎ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না । আবার কেউ কেউ ঈর্ষা বোধ করেন । তাতে আমার কিছুই যায় আসে না । ঈশ্বরেরও না । কারণ ঈশ্বর নিজেই ঈর্ষাপরায়ণ । আমিও । কাল ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল মাঝরাতে । গুটিসুটি মেরে পাশ ফিরতেই দেখি আমার পাশের বালিশে ঈশ্বর হেলান দিয়ে আছে । চোখে চোখ পড়তেই মিটমিট হাসলো । এতরাতে কি মনে করে ? ঈশ্বর বলল মনটা ভালো নেই , ঠিকমত প্রশংসা পাচ্ছি না আজকাল । ঈশ্বরের এমন কথা শুনে মেজাজ বিগড়ে গেল । রাগ গোপন করিনি । বলেই ফেলি - আচ্ছা তোর এসব তেলবাজি ভালো লাগে ?
তুমি মহান ! তুমি দাতা , তুমি ত্রাতা , তুমি হেন , তুমি তেন .... । বিরক্তিকর !
ঈশ্বর বলল হ্যাঁ- ভালো লাগে । ভালো লাগবে না কেনো ।
আচ্ছা তোর কি তোর ক্ষমতা সম্পর্কে কোন সন্দেহ আছে ?
- নাতো , সন্দেহ থাকবে কেনো ?
তাহলে তুই যেখানে জানিসই তোর অনেক ক্ষমতা তাহলে সেটা অন্যের মুখ দিয়ে শুনতে হবে কেনো ?
আমার গুণবাচক অভিধাগুলোর মধ্যে কোনগুলো মিথ্যা ? বল্ ।
আমি বলি হ্যাঁ সবগুলোই সত্য , তাই বলে এসব তেলবাজি তোর ভালো লাগে ?
-হ্যাঁ লাগে ।
আমি বললাম আমারও ।
আমার জবাব শুনে ঈশ্বর এমন করে হাসতে শুরু করলেন যে পাড়াসুদ্দ লোকের ঘুম ভেঙ্গে যাবার জোগাড় ।
বললাম , এই হাসবি না । মাঝরাতে মানুষের ঘুম ভেঙ্গে গেলে তোর ঠ্যাং ভেঙ্গে দেবে ।
ঈশ্বর বলে ,আচ্ছা তোর কি হয়েছে ? কেমন বেরসিক হয়ে যাচ্ছিস !
তখন আমি আমার ঈশ্বরকে বুকের পাঁজর খুলে একশত উনত্রিশটি ক্ষত দেখালাম । ঈশ্বর আমার ব্যথায় সমব্যথি হয় ।
যাবার আগে সে আমাকে কথা দিয়েছলিো আমার ক্ষতস্থানে মলম লাগাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫