১৫ ফ্রেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরসর্ এসোসিয়েশন (বাপা)’র আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন ২০১৩, বাপা’র ভাড়াকৃত বাসে চড়ে বাংলাদেশের বিখ্যাত লোক ও কারুশিল্প সোনারগাৎও ফাউন্ডেশন পৌছে যাই । সেখানে গিয়ে দেখি বনভোজনের আয়োজকগন প্রোগ্রামের জন্য করে রেখেছেন ষ্টেজ, প্রোগামে সাউন্ড সিষ্টেম করার জন্য এসেছিলেন মিরপুরের মেট্রো শো-বীজ টিপু আনাম ও পুরানা পল্টনের নামকরা ডেকরেটর শাপলা’র খানদানী বাবুর্চি হাসেম’র রান্না করা সকালের নাস্তায় পরটা, সবজি, হালুয়া, সিদ্ধ ডিম, চা ও পানি । বনভোজনের আগমন অতিথিবৃন্দরা সকলেই সকালের নাস্তা শেষ করে যে যার মতো করে সোনারগাও যাদু ঘরের ভিতরে ভ্রমন করতে থাকেন । ১১টায় ঘোষনা করা হয় বাচ্চাদের আরও আনন্দিত, উল্লাসিত করার জন্য বিষ্কুট দৌড়, দৌড় প্রতিযোগিতা, বাপা’র সকল ৪০ বছরের উর্ধ্বে সদস্যের যৌবনের জাগরনের জন্য ছিল দড়িটান, বাপা’র সদস্যদের গৃহিনী ও মেয়েদেরকে নিয়ে হয় আনন্দ মুখর উক্তেজনায় টানটান এক পিলো পাসিং খেনা । খেলার পর্ব শেষ করে জুম্মা’র নামায়ের জন্য দেয়া হয় বিরতি । বিরতির পরে দুপুরের খাবারের আয়োজনে ছিল প্লেন রাইস, প্লেন ভাত, মর্ডান কারী, চিকেন রোষ্ট, ফিস ফ্রাই, ফিরনি, হাসেম’র স্পেশাল বোরহানী ও সালাদ এবং পানি । খাবারের পর্ব শেষ হতে না হতে ষ্টেজে শুরু করে দেন পুরান ঢাকার লালবাগের সু-পরিচিত দমফাটানো হাস্যকর কৌতুক অভিনেতা মি.বিন অতিথিদের কে অট্টহাসিতে রাঙিয়ে তোলেন তার অভিনয়ের মাঝে কৌতুক পরিবেশন করে । কৌতুক অভিনয় শেষ হতেই ষ্টেজে চলে আসেন সারা বিশ্বের বিখ্যাত গায়ক ও ড্যান্স মাষ্টার মাইকেল জ্যাকসন’র এক পাগলপ্রেমী বাংলাদেশী ছেলে ড্যান্সার মাইকেল তার নাচের ছন্দে মাতিয়ে তোলেন সবাইকে । ড্যান্স শেষ হওয়ার পর ঘোষনা করা হয় বিজয়ীদের নাম । ততক্ষনে বাংলাদেশ বহুল আলোচিত, জনপ্রিয় ব্যান্ড সাদাকালো গান পরিবেশন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান । ভোকাল ডালিম, মিষ্টিভাষী সু-কন্ঠী রুকসাত এবং গায়ক একরাম বাংলা, হিন্দি গান গেয়ে বাপা’র অতিথিবৃন্দরা তো আছেনই যাদুঘরে আগত অন্যান্য অতিথিরাও এসে উৎফুল্য মনে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন । বাপা’র সময়ের সল্পতার কারণে অনিচ্ছা থাকা স্বত্তেও সাদাকালো ব্যান্ডের ইতি টানতে হয় । এরপর একে একে ষ্টেজে উঠে আসেন ক্রয়কৃত লাকী কুপনের নাম্বার ও বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণের জন্য, যার উদ্যোগ এবং কর্মতৎপরতার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত এ সফল আয়োজন তিনি হলেন বনভোজন আয়োজক কমিটির আহবায়ক, বাপা’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মেম্বারশীপ বিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যান, ফারহান ইন্টারন্যাশনাল’র স্বত্তাধিকারী নাজমুল হক, বনফুল গ্রুপ অব কোং লি.’র চেয়ারম্যান ও বাপা’র সহ-সভপতি এম এ মোতালেব, আরএমপি ম্যান্যুফ্যাকচারার (প্রা.)লি.’র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও বাপা’র জেনারেল সেক্রেটারী রাজু আহমেদ, বাপা’র উপদেষ্টা প্রপেসর মোসলেম আলী, বাপা’র কোষাদক্ষ্ ইকতাদুল হক (ইসি মেম্বার), এলিন ফুডস’র স্বত্তাধিকারী মো. গোলাম শরীফ চৌধুরী (ইসি মেম্বার), ইটিসি ইন্টারন্যাশনাল’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক একরামুল হক (ইসি মেম্বার), এ এইচ জেড এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড’ জেনারেল ম্যানেজার মো. আলী (ইসি মেম্বার), বাপা’র সচিব তৈবুর রহমান, প্রাণ ডাইরী লি.’র এক্সপোর্ট ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান, স্কয়ার কনজ্যুমার লিমিটেড’র এক্সপোর্ট ম্যানেজার ও বনভোজনের সন্ঞালক খোরশেদ আহমেদ ফরহাদ এবং বাপা’র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আব্দুল মতিন । বিজয়ীদেরকে দেওয়া হয় ১. ২টি নোটবুক (২জন), ২. মোবাইল সেট, ৩. ডিজিটাল ক্যামরা, ৪. ডিনার সেট, ৫. রাইস কুকার, ৬. বিশেষ গিফট হ্যামপার(২০জন) । বার্ষিক বনভোজন ২০১৩ স্বরনীয় করার জন্য বাপা’র আগমন অতিথিদেরকে তোয়ালে ও ২টি প্যাকেটে উপহার দিয়েছে, যা পেয়ে সকলেই অবাক খুশি । বিকালের নাস্তায় কমলা, বিস্কুট ও কমল পানীয় শেষ করার পর বার্ষিক বনভোজন’র আহবায়ক নাজমুল হক সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন এই প্রথম বাপা’র আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন ২০১৩ স্বরণীয় রাখার জন্য আমাদের এই ছোট্ট আয়োজন জানিনা আমি, আমরা কতটুকু সফল হতে পেরেছি । আমি, আমাদের যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অনুরোধ করে বলবো সবাইকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য । আর আমাদের এই বার্ষিক বনভোজনে যে সকল কোম্পানি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের সবাইকে জানায় আন্তরিক মোবারকবাদ । আমি এই বলে আজকের জন্য আমাদের বাপা’র বার্ষিক বনভোজন ২০১৩ এখানে শেষ করছি । বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরসর্ এসোসিয়েশন (বাপা)’র আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন ২০১৩ মাথাপিছু ছিলনা কোন চাদা । এই রকম লোভনীয় বনভোজন আয়োজনের কথা শুনে কে চাইবে অলস দুপুর বাসায় বসে কাটাতে ? আমি ও পারিনি তাই এই রকম লোভনীয় বনভোজনে অংশ গ্রহন করি । বাপা’র সকল কর্তপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আগামীতে যেন আবার এই রকম লোভনীয় বার্ষিক বনভোজন’র আয়োজন করেন ।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫