প্রথম পর্বে আপনাদের অগাধ ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে যে, আমার লেখা প্রায় ৬০০বার পঠিত হয়েছে। এরকম অগাধ ভালোবাসা পেলে আমি নিয়মিত লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আপনাদের সবাই কে আমার আন্তরিক ভালোবাসার শুভেচ্ছা বিনিময় করিলাম। এবং যারা মন্তব্য করেছেন তাদের কে বলবো আপনারা আমার লেখাকে নিয়মিত মন্তব্য করার অনুরোধ জানালাম। এবার ফিরে আসি মূল গল্পে।
অনেক অনেক দিন আগের কথা, এক গ্রামে এমনই একজন লোক বসবাস করিতেন যে, নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যেত। দ্রারিদ্রতা যেন তাদের পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। এত কষ্টের মাঝেও তাদের ঘরে জন্ম হলো ফুটফুটে একটি শিশু। অভাব অনটনের মাঝে শিশুটি জন্ম নেওয়াই শিশুটির বাবা-মা নামই রেখে দিলেন কষ্ট। কষ্ট জন্ম হওয়ার পর থেকে কষ্ট’র বাবা ধীরে ধীরে উন্নতি হতে লাগলেন এবং কষ্ট ও হাঁটি হাঁটি পা পা করে বড় হতে লাগলেন। কষ্টের পরিবারে আর কোন অভাবই রইল না। কষ্টকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হলো স্কুলে । লেখা-পড়ায় কষ্ট এতটাই ভালো ছিলো যে, স্কুলের সব শিক ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রিয় ভাজন হয়ে গেলেন। কষ্ট দিন দিন যত বড় হচ্ছে ততই যেন তার মেধা বিকশিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে গ্রামে কষ্টের নাম-ডাক সুনামে হৈচৈ রব উঠে গেল। কষ্ট কখনও জানা স্বত্তে কাউকে কোনদিন আঘাত দিয়ে কথা বলেননি। কারো সাথে কখনো বেয়াদবী করেননি। ছোটদের কে সবসময় আদর ভালোবাসা দিয়ে যেতেন। বড়দের কে সম্মান দেখাতে কখনোই অবহেলা করতেন না। কষ্ট যখন পূর্ণ বয়স্ক হলো, তখন সে তার বাবার ব্যবসা দেখা-শুনা করতে শুরু করলেন। কষ্ট সঠিক সময়ে সঠিক সি›দ্ধান্ত নিয়ে নিজের শ্রমকে পরিপূর্ণ কাজে লাগিয়ে বাবার ব্যবসা কে আরো বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। কষ্ট’র এই সাফল্য দেখে দেশের মানুষও মুগ্ধ । একদিন কষ্ট তার বাড়িতে বিশ্রাম করছেন। এমন সময় এক মুসাফির বাড়ির সদর দরজার সামনে এসে ডাকা-ডাকি শুরু করে দিলেন। কষ্ট মুসাফিরের ডাক শুনে সদর দরজার সামনে এসে দাড়ালেন। কষ্ট মুসাফির কে দেখে বললেন, কি হয়েছে আপনার ? আপনার জন্য আমার কি করণীয় আছে বলুন ? মুসাফির বললেন, শুনেছি আপনি অনেক দয়ালু, জ্ঞানী, দান-খয়রাতে কখনো কৃপনতা দেখাননি, এজন্য আমি অনেকদূর হতে আপনাকে দেখার জন্য ও দান নেওয়ার আশা নিয়ে আপনার দরবারে এসে হাজির হয়েছি। কষ্ট সাথে সাথে মুসাফির কে বাড়ির ভিতর নিয়ে গেলেন। মুসাফির কে যতটুকু কষ্ট’র পে সম্ভব হয়েছে ততটুকুই আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন। মুসাফির কষ্টের এই আতিথিয়তা আপ্যায়ন দেখে মুগ্ধ। কষ্ট মুসাফির কে কিছু স্বর্ণ মোহর দান ও করিলেন। মুসাফির বিদায়ের বেলায় কষ্টকে একটি প্রশ্ন করিলেন ।
”তুমি কি পরম জানা জেনেছ ?
সীমাহীন কুয়াশায় কতকিছু আসে যায়।
তুমি কাকে শেষ বলে জেনেছ বা মেনেছ ?
কষ্ট অল্প কিছু সময় নিয়ে মুসাফির কে উত্তর টি দিয়ে দিলেন। মুসাফির উত্তর টি শুনে খুব খুশি হলেন এবং হাসি-মুখে কষ্ট’র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন।
এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন হলো, বলতে হবে কষ্ট মুসাফির কে কি উত্তর দিয়েছিলেন। যে উত্তর শুনার পর মুসাফির খুশি হয়েছিলেন ? মেধাকে কাজে লাগান !! ভালো করে পড়–ন, ভাবুন তারপর উত্তর দিন ।