রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার হওয়া হলুদ খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এক গবেষণার পর এ দাবি করেছেন। ‘ডায়াবেটিস কেয়ার’ সাময়িকীতে এ নিয়ে বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটি চালান ওই দেশের নাকমনেওকের শ্রিনাখারিনউইরত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৯ মাসের বেশি সময় পরিচালিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন হলুদ খাওয়া প্রাক্-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের বিস্তার প্রতিরোধ করে। যাদের রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা এত বেশি যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি, তাদের ক্ষেত্রে হলুদে থাকা কারকিউমিন এই রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রদাহ রোধে হলুদ খুবই কার্যকরী। এটি শরীরের কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতি প্রতিরোধে কাজ করে।
হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক সোমলাক চুয়েংসামারান বলেন, সুবিধা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাক্-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী ওষুধ হিসেবে আমরা হলুদের নির্যাস ব্যবহারের প্রস্তাব করছি।
প্রাক্-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২৪০ জন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে এ গবেষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদের ক্যাপসুল নিয়মিত সেবন করেন এমন রোগীদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা নেই। গবেষকদের মতে, হলুদের কারকিউমিন অগ্ন্যাশয়ের বেটা সেলের কাজের উন্নতি ঘটায়। এই কোষ রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন ইনসুলিন নিঃসরণ করে। রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রিত না হলে টাইপ-২-এ ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। তবে এ গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ব্রাউন রিগাস বলেন, ‘মানুষকে হলুদ-এর ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেয়ার জন্য এ ফলাফল খুবই প্রাথমিক। এর মধ্যে প্রতিশ্রুতি আছে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু এখনও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সূত্র : রয়টার্স