ক'দিন আগে দেশে গেছিলাম চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে--তাও আবার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বিদেশের ভাল চাকুরীটা ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না কিন্তু দেশ যে টানে--দেশে থাকতে মন চায়।
এম্বুলেন্সে করে বাসায় ফিরতে হয়েছিল হরতালের কারনে।
তো চাকুরী পেলাম। জয়েন করলাম।
প্রথম দিন ক্যাম্পাসে যাব। তেমন একটা উত্তেজনা কাজ করছিল না। ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে হবে সকাল বেলা এইটাই ভাবনাতে ছিল। ডিপার্টমেন্ট থেকে বলেছে সকাল ৯ টার মধ্যে উপস্থিত হতে।
নিজের বাসা নেই ঢাকাতে। ভাই আর মামার বাসায় আসা-যাওয়া করি। কখন কার বাসায় থাকি তার কোন ঠিক নেই। ভেবেছি সবকিছু হাতের কাছেই আছে।
বিধি বাম।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি রেজার নেই, সু নেই, পারফ্যুম নেই--আরো কত কি নেই!!!
ওয়ান টাইম রেজার কিনে নিয়ে এসে কাজ সারলাম। এতো সকালে একটা মাত্র দোকান খোলা ছিল।
নরমাল শার্ট আর প্যন্টের সাথে স্যান্ডেল পড়ে বের হতে হলো--যদিও কোনভাবেই মন চাইছিল না এভাবে যাই।
৭টা ৩০ এ বাসে উঠলাম। সারাক্ষন মনটা খুঁত খুঁত করতে থাকল সু পরিনি বলে।
গাজীপুর চৌরাস্তায় নামলাম তখন ৯টা বাজে। প্রথম দিনেই দেরী হবে ভেবে খারাপ লাগছিল। বাস থেকে নেমে কোনভাবেই ভাল লাগছিল না স্যান্ডে্লের কারনে।
না এভাবে যাওয়া যায় না।
আসে-পাশে বাটা দোকানের খোঁজ করতে লাগলাম। পেয়েও গেলাম। দোকানীরা তখনো দোকান সাজায়নি। আস্তে আস্তে খুলছে। সাজাচ্ছে। আমাকে দেখে লাইট অন করল।
২৩৫০ টাকা দিয়ে সু আর মোজা কিনে পরলাম।
তারপর স্যান্ডেল বাটার ব্যাগে নিয়ে অটোতে উঠলাম। উঠে চিন্তা করলাম বাটার বাক্স নিয়ে ক্যাম্পাসে যাব!!!!
গেলাম।
বড় এক ভাইয়ের ডিপার্টমেন্টে গেলাম। ওনার রুমে বাক্স রেখে তড়িঘড়ি করে ডিপার্টমেন্টে গেলাম।
তখন প্রায় ১০টা বাজতে ২০ মিনিট বাকী।
আমিসহ ৫ জন শিক্ষকের মাঝে মাত্র ২ জনকে পেয়েছি। দেরীতে যাওয়ার ভয়টা কেটে গেছে।