যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে যখন শাহাবাগে আন্দোলন শুরু হলো, তখন সর্বস্তরের জনতা স্বতঃস্ফুর্তভাবেই একাত্মতা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু দুই তিন পার হতেই যখন সেই আন্দোলন আওয়ামি লিগ আর স্বাধীনতা সংগ্রামকে দুই কুকুরের লড়াই বলে যুদ্ধ থেকে দূরে থাকা ইনু মেনন গং এর নেতৃত্বে হাইজ্যাক করা হলো, তখন থেকেই জনসমর্থন কমে আসা শুররু হলো।
এর পর জ্বালাময়ি বক্তৃতা, ফ্রি বিরিয়ানি ইত্যাদি লোভ দিয়েও কাজ হয়নি। লাভের মধ্যে লাভ হয়েছে যে, ব্লগার নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু নিতান্তই বখাটে, ভাড়াটে মিডিয়ার নিজের মুখখানা দেখানো এবং "জ্ঞান গর্ভ" কিছু অজ্ঞানি সুলভ চাপাবাজি করার সুযোগ পেয়েছে।
এরা যে হালুয়া রুটির লোভে সেখানে পড়ে ছিল, তার অনেক প্রমানই বাইরে এসেছে। সেটা তাদের অন্তর্কলহ উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণেই।
গোদের মাঝে বিষফোড়ার মত ভারতীয় পত্রিকা যখন ফাস করে দেয় যে সেই আন্দোলন ছিল ভারতের সমর্থনপুস্ট তখন এরা পড়ে যায় আরো ফাপড়ে ! আর সব রাগ গিয়ে পড়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপরে।
ভাবখানা এমন , ব্যাটা আমরা চুরি করি, লুইচামি করি, তুই প্রকাশ করলি কেন? আর বাকস্বাধীনতার চেতনাধারিদের আক্রোশ গিয়ে পড়ে মাহমুদুর রহমানের উপর। ফলে অনেক দিন অবরুদ্ধ থাকলেও, গাড়ি পোড়্নার মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যারতন করা হচ্ছে। স্ট্যালিন মাও এর কায়দায় আমার দেশ পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে ভারত। সেই লক্ষ্যে একদল বংশবদ পালিত হচ্ছে ভারতের পয়সায়। যাদের কাজ মিডিয়াতে ভারতের করা কুকর্মগুলি আড়াল করা কিংবা সেই কুকর্ম বা ষড়যন্ত্রগুলি যাতে কোনমতেই প্রকাশিত না হয় সেই ব্যাবস্থা করা।
আর যাদের নেতৃত্বে আমাদের দেশের ইসলামকে ব্রাত্য এবং ধর্ম পালনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়, তারা আর কেউ নয়। ভারতের উচ্ছিস্টভোগি নব্য রাজাকার। আর ভারত বাংলাদেশ মৈত্রি সমিতির প্রেসিডেন্ট অজয় পাল হচ্ছে ইসলামকে গালাগালি করে অন্তর্জালে ইসলামোফোবিয়া প্রচার করাদের প্রধান পান্ডা !
আর আওয়ামি লীগ তো অনেক আগে থেকেই ভারতের কাছে দাসখত দিয়ে রেখেছে। একারণেই আওয়ামি লীগ আর রামপন্থিদের মণি কাঞ্চন যোগ হয়েছী ২০০৮ সালের পর থেকেই।
আমার দেশের প্রকাশনা বন্ধ বা মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতন করে আওয়ামি রাম বামরা মনে করেছিল, তাদের ষড়যন্ত্র গুলি প্রকাশের সব রাস্তা বন্ধ।
ভুল ! সবই ভুল। বাংলাদেশের ১৬ কোটী মানুষের ৩২ কোটি চোখ তোমাদের উপরে রয়েছে। আর সেকারণেই আমার দেশের রিপোর্ট করা শাহবাগ আন্দোলন যে ভারতের ,মদদ পুস্ট সেটি আরেকবার প্রকাশিত হয়েছে।
শাহাবাগের তথাকথিত আন্দোলনের এক নেতা খালেদুর রহমান শাকিল যে ভাষায়, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতকে নাক গলানোর আহবান করেছে, গোলাম আযমেরও সেই আস্পর্ধা হয়নি। নীচে দেখুন এই নব্য রাজাকারের বাচ্চা কি বলেছে
"India has always fought terror and in this case too, we would expect the Indian government to formulate its policies in a fashion that would foster a secular development in Bangladesh," said Khaledur Rahman Shakil, one of the leading activists of the Shahbag movement."
Click This Link
ইন্ডিয়া নাকি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ! ওরে রাজাকারের বাচ্চা, ইন্ডিয়া সন্ত্রাস নয়, ব্রাক্ষ্মনবাদি উত্তর ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ন্যায্য অধিকারের দাবি করাদের উপরেই রাস্ট্রিয় সন্ত্রাস চালু রেখেছে। উদাহারণ দেবো না। কারণ তোরা ভারতের উচ্ছিস্ট খাওয়া অন্ধ !
আর তোর এত বড় স্পর্ধা যে, ভারতকে ডাকিস আমাদের দেশে নাক গলাতে?
মুখে চেতনার বুলি আওড়িয়ে পাকিদের মুরগি সাপ্লায়ার শাহরিয়ার কবির হয়েছে গিয়ে বিশাল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ্যের শক্তি। পাকিস্থানিদের একান্ত বংশদবত ডিসি মখা আলমগিরের ভাইপো মুতা মামুন হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতার অন্যতম রক্ষক?
এই দুই পাপিষ্ঠ আর সাথে সমমনাদের নিয়েই ভারতের মদদে শুরু হয়েছিল এই শাহাবাগি আন্দোলন।
সেই আন্দোলনের মুল উদ্দেশ্য কি সব বোঝা হয়ে গিয়েছে এখন।
যারা ভারতের পদলেহন করে স্বাধীনতার চেতনাধারি সেজেছে, তাদের প্রতি প্রকাশ্য সতর্ক বার্তা !
৩০ লাখ শহীদ আর কয়েক লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির মুল্যে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি ভারতকে দিয়ে কু নজর দেবার দুঃসাহস যেনো তোদের না হয়।
যদি করিস, তবে জেনে রাখিস, ভারতীয়দের আগে এদেশের ভারতীয় দালালদের চোখই আগে উপড়িয়ে নেয়া হবে।