১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নাকি আই এস আই এর কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি নিয়েছিল। এমনটাই মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ব্যস ! আর যাবে কোথায়? হাসিনা থেকে শুরু করে ব্লগিয় আবালগুলি শুদ্ধা সেই গান বাজিয়ে চলেছে।
৯১ সালে টাকার মুল্যমান এখনকার মত খেলো না হলেও, সেই টাকায় ৩০০ আসনে সংসদ নির্বাচনে কারচুপি করে জেতা যাবে, সেটা কেবল রঙ হেডেড মহিলা আর আর সাঙ্গপাঙ্গরাই বিশ্বাস করতে পারে। সেবার তো বিএনপি টেনেটুনে ম্যাট্রিক পাশ করেছিল। তাছাড়া ক্ষমতায় এসেই পাকিস্থানকে নানা রকম সুবিধা বা পেয়ার মহাব্বত করার কোন চিহ্নই সেই সরকারের আমলে চোখে পড়েনি।
উপরন্ত আওয়ামি লীগ তথাকথিত ঘাদানিক গঠন করে জামাতকে নিজের কোলে বসতে বাধ্য করে তৎকালিন বিএনপি সরকারের শাসনামলে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে নরক বানিয়ে ফেলেছিলো।
তার অর্থ একটাই। খুবরটা বানোয়াট এবং চরম ভুয়া। অন্তত কোন যুক্তিতেই সেটতা ধোপে টিকে না। আর মধ্যপ্রাচ্যে আরব গন্ডমুর্খদের নারী সরবরাহ করে ব্যাবসা বানিজ্যসহ পত্রিকাগুলিতেও ইন্ডিয়ানরা কবজা করে রেখেছে। আর ইন্ডিয়ানরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকাশ্য শত্রু। এটা বিশ্বাস করে না শুধু ভারতের পাচাটা কুকুরগুলি।
সেই কুকুরগুলির প্রধান পান্ডা যখন বাংলাদেশে জনরোষের শিকার হয়ে খাবি খাচ্ছে, সেটার থেকে তাকে বাচানোর ব্যার্থ চেস্টায় এই অলিক গল্প ফাদা হয়েছে।
পাঠকদের নিশ্চই মনে আছে যে, সৌদি আরবে ৮ বাংলাদেশিদের শিরোচ্ছেদের "প্রতিবাদে" ২-৩ টা শাহাবাগি এক হাস্যকর নাটক মঞ্চস্থ করেছিলো। সাধারণ মানুষ বা মিডিয়া এদের পাত্তা না দিলেও অবিশ্বাস্য দ্রুততায় গালফ নিউজ ছবিসহ ছাপিয়েছিল। উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের শাসকদের মনে ধারণা দেয়া যে আমরা তাদের আইনকে তোয়াক্কা করিনা। আর সৌদিরা বিরুপ হলে অবশ্যম্ভাবি ফলাফল হবে সেখানে বৈধ অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পাছায় লাত্থি দিয়ে তাড়িয়ে দিলে সেখানে ইন্ডিয়ানরা জাকিয়ে বসতে পারে।
অর্থাৎ ঘৃণ্য ইন্ডিয়ানদের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়্যেছে বাংলাদেশি কিছু দালাল। যারা এই ব্লগেই মাঝে মাঝে ইন্ডিয়ার ফরমাইস মুত হাজিরা দিয়ে যায়। এদেরকে আমরা চিনি। আর চিনি বলেই এদের বিচারের সুযোগ তৈরি হলে, তাদের ব্লগীয় অপকর্মের সব প্রমান যথাযথ স্থানে পৌছে দেয়া হবে।
সেই মধ্যপ্রাচ্যের ইন্ডিয়ান প্রভাবাধীন মিডিয়া বিএনপির নামে কুৎসা গাইবার সাথে সাথে আওয়ামি লিগের সব শিয়াল
হুক্কা হুয়া করে উঠলেও, লন্ডনের ইকোনমিস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত ভারতের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি খেয়ে সিলেকশনের নির্বাচনে জিতার সত্যটিকে ঢাকা যাবে না।
তার সবচেয়ে বড় প্রমান হল, ক্ষমতায় এসেই দাদা আমি পাশ করেছি বলে হাসিনার বন্দনা। এর পর গোপণে ইন্ডিয়ার সাথে চুক্তি, যা এমনকি কি তার দলের এম পি দেরও গোচরিভুত নয়। দেশের স্বার্থকে লাথি মেরে, দেশের ১২টা বাজিয়ে ইন্ডিয়ানদের স্বার্থে একমাত্র ধ্যান জ্ঞান গণ্য করা। যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি হুমকি।
প্রাসঙ্গিক ভাবে পাঠকদের কাছে একটি ঘটনা তুলে ধরতে চাই। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিবিসি বাংলার প্রত্যুষায় বিবিসির দিল্লি প্রতিনিধির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সীমান্তে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর হচ্ছে না কেন? উত্তরে দিল্লি প্রতিনিধি জানালেন যে, এজন্য ভারতের মানচিত্র নতুন করে আকতে হবে। আর এই চুক্তি ভারতের সংসদে পাশ করতে হবে। যার সাধ্য বর্তমান ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের নেই।
অর্থ অত্যান্ত সরল। হাসিনা বাংলাদেশকে বাপের সম্পত্তি মনে করে ইচ্ছামত আসাম বা ত্রিপুরাকে হাজার হাজার একর জমি অবৈধভাবে দিয়ে দিলেও (যেহেতু সংসদে পাশ হয়নি-তাই হাসিনা অবৈধ কাজ করেছে) কোনদিনও ইন্ডিয়া তার চুক্তি পালন করতে পারবে না, বা করবে না। অজুহাত হিসাবে সংগসদে চুক্তি পাশ না হওয়া, হলেও কোন অখ্যাত লোককে দিয়ে হাইকোটে রিট করে বছরের পর বছর ঝুলে থাকা ইত্যাদি দেখাবে।
যেমনটি দেশ পরিচালনায় ব্যার্থ শাসক শেখ মুজিবুর রহমান, নিতান্ত বালখিল্যতার পরিচয় দিয়ে বেরুবাড়ি হস্তান্তর করেছিলেন, আমাদের দহগ্রাম আঙ্গুরপোতা না পাওয়া ছাড়ি। আর সেই জের তো ৩৮-৩৯ বছর ধরেই চলছে। এসব দেখে শুনেও, শ্রেফ ইন্ডীয়া থেকে প্রাপ্ত টাকা হালাল করার জন্য হাসিনা ইন্ডিয়ার সাথে গোপণে দেশ বিরোধী চুক্তি করেছে।
আওয়ামি লিগের বাপের একক কৃতিত্বে তো দেশ স্বাধীন হয়নি। তাহলে কোন অধিকারে তারা চেতনার একমাত্র সোল এজেন্ট বলে দাবি করে? কোন আস্পর্ধায় তারা ভারতের করদ্ রাজ্যের মত আচরণ করার দুঃসাহস দেখায়?/
আজকে যখন তাদের ধুতির কাছা খুলে দিগম্বর হয়ে গিয়েছে, তখন লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র - বি এন পি আই এস আই এর টাকা খোর ইত্যাদি ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানোর অব্যাহত রেখেছে।
দেশের সাধারণ মানুষ সেই ভাঙ্গা রেকর্ড শুনতে শুনতে ক্লান্ত। আর অবার্চিন কিছু আবগি পোলাপান, আওয়ামি বাটপারির ফাদে পড়ে নৌকায় ভোট দিলেও তাদেরও মোহভঙ্গ হয়েছে।
তাই হাসিনা আর আওয়ামি লিগের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজানো বন্ধ করতে হবে। নতুবা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিদের শক্ত লাত্থি খেয়ে রেকর্ডসহ বাংলাদেশের সীমানার বাইরে কোন ভাগাড়েই সারা জীবন পড়ে থাকতে হবে।