সবাই তো ঢাকার জলাবদ্ধতার কথা লিখেছেন। লিখেছেন নানা রকম ভোগান্তির কথা। অনেকে ছবি কিংবা ভি ডিও দিয়েছেন। কিন্ত শত বিড়ম্বনার মাঝেও পেটে তো কিছু দিতেই হয় নাকি? যাদের সুযোগ আছে, এই ফাকে চটপট দুটা রেসেপি দেখে নিন। বিশেষ করে আপা বা ভাবিরা। অথবা যারা এতদিন হাত পুড়িয়ে নুন ঝাল বেশি হলেও গলঃধরণ করে পেট চালিয়ে নিয়েছেন। তারা খুব সহজেই এই বাদল দিনের এ দুটি আইটিম রান্না করে ফেলতে পারবেন। ১০০ ভাগ সফলতার নিঃশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে।
পাতলা খিচুড়িঃ
১। যে কোন ধরণের ভাতের চাল ২০০ গ্রাম (চায়ের কাপের ১ কাপ)
২। ঘরে যে কয় ধরণের ডাল আছে, সব মিলিয়ে ৩০০ গ্রাম। (চা কাপের ১ ১/২ কাপ)
৩। তেল ১ টেবিল চামচ
৪। ঘি দেড় চা চামচ
৫। আদার পেস্ট হলে দেড় চা চামচ, আস্ত হলে ২ ইঞ্চি পরিমান, চাক চাক করে কাটা।
৬। হলুদ খুব সামান্য
৭। কাচা মরিচ ৮-১০টা
৮। লবণ স্বাদমত ( প্রথমে এক চা চামচের অর্ধেক দিয়ে দেখুন, লাগলে আস্তে আস্তে পরিমান বাড়াতে পারেন।
৯। তেজপাতা ৪-৫টা।
পাতিলে প্রথমে চাল ডাল মিশিয়ে করে ধুয়ে নিন। এর পর ১০ কাপ পানি দিয়ে চুলায় চড়ান। সাথে তেল, তেজপাতা, আদা, নুন দিয়ে সেদ্ধ করতে দিন। মাঝে মাঝে নাড়া দিতে ভুলবেন না। চাল ডাল গলার আগেই যদি পানি শুকিয়ে যায়, তবে আরো পানি দিন। এভাবে ক্রমাগত সেদ্ধ হতে হতে চাল ডাল গলে ফুটতে শুরু করলেই কাচা মরিচ দিয়ে দিন। এর পর চুলা বন্ধ করে উপর দিয়ে ঘি দিয়ে দিন।
পাতলা খিচুরির সাথে ইলিশের পরিবর্তে গরুর মাংসের ঝোলই সবচেয়ে উপাদেয়। চলুন রান্না করি গরুর মাংসের ঝাল ঝোল।
১। গরুর মাংস এক কেজি।
২। আলু মাঝারি সাইজের ৩-৪টা। এক একটা ২ বা ৪ টুকরা করে কাটুন।
৩। আদা পেস্ট সোয়া এক চা চামচ।
৪। রসুন পেস্ট আধা চা চামচ
৫। পেয়াজ ৩টা কুচি কুচি করা।
৬। গরম মশলাঃ ১টা আধা ইঞ্চি দারচিনি, ৪টা এলাচি, ৬টা লবঙ্গ, ৩টা তেজপাতা, সাথে আধা চা চামচ গরম মশলার গুড়া।
৭। হলুদ গুড়া চা চামচের ৪ ভাগের ৩ ভাগ
৮। মরিচের গুড়া আধা চা চামচ। ঝাল খেতে চাইলে পরিমান বাড়িয়ে নিতে পারেন। তবে দেখতেই ঝাল কিন্ত স্বাদে ঝাল হবে না, এমন চাইলে, মরিচের গুড়ার বদলে পাপরিকা ব্যাবহার করতে পারেন।
৯। তেল সোয়া এক কাপ।
১০। লবণ স্বাদমতন। * এক চা চামচ লবণ দিয়ে শুরু করতে পারেন।
১১। কাচা মরিচ ৮-১০টা।
হাড়িতে মাংস নিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এর পর আলু বাদে সব উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে মাখিয়ে নিন। এর পর কসাতে থাকুন। মাংস থেকে তেল ছেড়ে আসলেও যদি সেদ্ধ না হয়, তাহলে ১ কাপ পানি নিয়ে আবারো কসান। এভাবে কসানোর পর আধা সেদ্ধ হতে, পরিমানমত পানি দিয়ে মাংসটা রান্না করতে থাকুন। পানি অর্ধেক কমে আসলে, আগে থেকে কেটে রাখা আলুর টুকরা আর কাচা মরিচ ছেড়ে দিন। এর পর ঝোলটা একটু ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
এর পর লেবু চিপে পাতলা খিচুড়ির সাথে উপভোগ করুন গরুর মাংসের ঝাল ঝোল।
বিদ্রঃ গরুর মাংসের এই ঝাল ঝোলটা আমি অনেকবারই ঢাকাইয়াদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোলাওয়ের সাথে খেয়েছি। এবং বলাই বাহুল্য যে, ভোজনের পরিপুর্ণ স্বাদ উপভোগ করেছি। আপনারাও উপভোগ করুন।