সবার আগেই বলে রাখি পোষ্টের টাইটেল নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে আমার কিছু করার নাই।।
২০১০ সাল-তখন সবে মাত্র এসএসসি দিয়েছি। টানা ২ মাসের একটা লম্বা ছুটি পেয়ে গেলাম। এক দিন দুদিন করে সময় আর কাটছিলনা । কি করা যায় কি করা যায় !!!!!!!!!! তো বন্ধুরা মিলে প্লান করলাম ভিভিন্ন আকর্ষণীয় জায়গায় ঘুরতে যাব। যেই কথা সেই কাজ। ঠিক করলাম কাছের জায়গা গুলতে আগে যাব।। সবচেয়ে কাছে ছিল ষাট গুম্বুজ মসজিদ। কাছে বললেও ভুল হবে কারন আমাদের গন্তব্য স্থল থেকে প্রায় ১০০ কিঃমি । কিন্তু আমাদের ওখানে যাবার পদ্ধতিতা ছিল অন্য রকম। সাইকেলে করে যাব । হাসার কিছু নাই কারন আমরা সব কয়টা ছিলাম সাইকেল চালানোর উস্তাদ। এর আগে খুলনা টু মাওয়া পর্যন্ত সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। সুতরাং কোন টেনশন ছাড়াই যাওয়ার দিন ঠিক করলাম।সকাল ৭ তার দিকে রওনা দিলাম আমারা। সকালের মিষ্টি রোদ আর ঠাণ্ডাই বাতাসে চলছে আমাদের সাইকেল নামক বাইক। মেইন রোডে হৈ হুল্লুর করতে করতেই এগিয়ে যাচ্ছি আমারা। সাড়ে ৮ টার রূপসা পৌঁছে গেলাম। তারপর রূপসা সেতু পার হয়ে হালকা পাতলা কিছু খেয়ে নিয়ে আবার শুরু করলাম। কয়বার যে রাস্তা ভুল করেছি সেটা আর নাই বা লিখলাম। অর্ধেক রাস্তা যাবার পর আমাদের সব কয়টার তো যায় যায় অবস্থা। গরম এবং পানির তৃষ্ণায় সবার জান আয় যায় করতেছে। আমাদের মাঝে রাজু ছিল আবার একটু ঘাড় ত্যাড়া ওর ঝারি খেয়ে আবার শুরু করলাম। এই ভাবে অবশেষে ১১ টার দিকে পেয়ে গেলাম ষাট গুম্বুজ মসজিদ এর দেখা। তবে ইফতি আর সিহাব এমন বেঘোরে সাইকেল চালাচ্ছিল যে ওরা মসজিদ ক্রস করে আরও ১ কিমি দূরে চলে গিয়েছিলো। কি আর করার কষ্টে করে আবার অই ২ টাকে খজ করতে বের হলাম। তারপর ব্যাক করলাম মসজিদে। টিকিট কিনে ঢুকলাম সবাই যদিও অন্য ভাবে ঢোকার রাস্তা আছে। যেহেতু সবাই খুব ক্লান্ত ছিলাম তাই ভিতরে ধুকে আগে একটু জিরিয়ে নিলাম। প্রথমবার ষাট গুম্বুজ মসজিদ দেখছি অনুভুতিটা কেমন সেটা লিখে বোঝানো যাবেনা। ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম সবকিছু। মসজিদ, আশেপাশের জায়গা, ভীতর বাহির সব কিছুই। ছবি তুললাম। তারপর সবাই মিলে জোহরের নামায পড়লাম। নামায শেষে ইমাম সাহবের কথা শুনলাম। মনের ভিতর একটা প্রশান্তি অনুভভ করতে লাগলাম। কিছু কিছু অনুভুতি থাকে যেগুলোকে ভাষায় প্রকাশ করা যায়না তাই আর বেশি কিছু লিখলাম না। আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে আরে ভাই আজিব তো কি লিখসেন এই গুলা !!!! যারা প্রথমবার ষাট গুম্বুজ মসজিদ দেখছে তাদের সবার ই একই অভিজ্ঞতা হইসে। ওকে ভাই তাহলে এই বার কাজের কথায় আসি, যারা যারা ষাট গুম্বুজ মসজিদ দেখছেন তারা সবাই জানেন যে মসজিদ এর দক্ষিণ পাশে বড় একটা দিঘি আছে “ ঘোড়া দিঘি” বলা হয় এইটাকে। দুপুর বেলা সবার পেটেই ছুঁচো ডাকতেসে কিন্তু আমারা ভাবলাম খেতে যাবার আগে দিঘি টা একটু ঘুরে দেখি। দিঘির পাশে বসবার জন্য ছাউনিসহ কিছু ঘর আছে ঐ খানে সবাই বসে। দিঘির ধার গুলা আবার একটু ঘন গাছ পালায় ঘেরা তবে খুব বেশি না। এখানে পোষ্টের শিরোনামের সাথে মিল খুজে পাবেন। তো আমারা সবাই হেটে হেটে দেখতেসি , হটাত করে একটা অদ্ভুত বিষয় নজরে এলো আমাদের একটা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে এবং একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ঐ একটা ছাউনির নিছে বসা আছে আপত্তিকর অবস্থায় (বেশ্যাবৃত্তি)। অল্প অল্প বয়সের কিছু মেয়েরা আবার তাদের শারীরিক সৌন্দর্য দিয়ে আকর্ষণ করার চেষ্টা ছালিয়ে যাচ্ছে। এই রকম কিছু দেখার জন্য আমারা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সামনে এগিয়ে যেতেই দেখি আরও... চলছে নোংরামি , হয়তো এটা পার্ক এর বিনোদনকেও হারাতে পারবে। । এখানে একটা বিষয় বলে রাখা ভাল যে যেখানে এই নোংরা কাজ গুলো তার পাশে আবার রাস্তা এবং অনেক গুলো বাসা বাড়ি। সবার চোখের সামনে চলছে এই বেশ্যাবৃত্তি যেন বাঁধা দেবার কেউ নেই। আমরা কিছুক্ষণ বসে দেখলাম সব কিছু , কিছু ভিডিও ফুটেজও ও ছিল আমাদের কাছে কিন্তু তারপর......। আসেপাশের লোক সবাই চেয়ে চেয়ে দেখতেসে এই গুলো কিন্তু কেউ এ কিছু বলছেনা। অনেকে দেখলাম পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখতেছে তাদের সাথে ছোটো বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত আছে, সবার এই বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখে আমাদের আর সহ্য হচ্ছিলনা খুব কষ্টে নিজেকে দমিয়ে রেখেছিলাম সেদিন। তারপর এক স্থানীয় মুরব্বি কে পেয়ে গেলাম তার কাছে জানতে চাইলাম কেন কেউ কিছু বলেনা!!!! উনার উত্তর গুলো শুনে আমি কাপছিলাম আমি উনি বললেন আশেপাশের বাড়ি গুলো ভারাও দেয়া হয় এই কাজের জন্য আর এর সাথে জড়িয়ে আছে যারা এই মসজিদ তত্ত্বাবধানের দায়িত্তে। আমি ভাবলাম ষাট গুম্বুজ মসজিদ দেখতে আসছি নাকি কোন পতিতালয় দেখতি আসছি।!! নাহ কি লিখব মাথায় আসছেনা। আমি মনেও করতে চাইনা ঐ দিন আসলে কি কি হয়েছিল। আজ হঠাৎ কিছু বন্ধুরা মিলে দেখি প্লান করতেসে ষাট গুম্বুজ মসজিদ দেখতে যাবে তাই এই কথা গুলো মনে পড়লো আবার আর তাই এই অগোছালো লেখা। প্রথমবার ষাট গুম্বুজ দেখার অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছিলো সেটা আর গুছিয়ে লিখতে ইচ্ছা করছেনা। জাস্ট এত টুকুই ভাইয়ারা যৌনতা আর বেশ্যাবৃত্তি করার জন্য অনেক অনেক জায়গা আছে তাই দয়া করে পবিত্র কোন জায়গায় তোমাদের কয়েক মিনিটের দৈহিক পশু পশু খেলা বন্ধ করো। অবশ্য তোরা কুকুরের সিমেন দ্বারা জন্ম লাভ করছিস তো তাই তোদের কোথাও কিচ্ছু করতে বাধেনা। “u guys can fuck ur mom too” অন্যথায় বেশ্যা সমাজের আর দেরি নেই। শুভ বেশ্যাবৃত্তি ।।
আল্লাহ তুমি এদের হেদায়েত দান করো। অথবা আমাদের বিরত রাখো এই রকম কিছু দেখা থেকে...।
আপানদের কারও এমন অভিজ্ঞতা থাকলে জানান পারেন...............
একটু আপডেট ঃ এই পোষ্ট লিখে আমার এক ছোটো ভাইয়ের সাথে কথা বলতেছিলাম ও বাঘেরহাটে থাকে, জানতে চাইলাম এখনকার পরিস্থিতি কেমন............ ও যা শোনালো সেটা আরও ভয়াভহ...।