এই লেখাকে কেউ রিভিউ মনে করলে আমার কিছু করার নাই। একটা কথা শুরুতেই বলে নিই, আইএমডিবি রেটিং ৮.৫/১০। তাই হয়তো সামুর মুভিখোররা আগেই দেখে থাকবেন। দয়া করে পিচ্চিরা দেখে আমাকে লজ্জা দেবেন না।
আমি এই মুভির খোজ পেলাম আমার এক চীনা বান্ধবীর কাছে। সে আমাকে কিছু মুভি দিয়েছে কিন্তু সময়ের জন্য দেখতে পারি না। আমি তাকে কোরিয়ান মুভি 'বান্ধবী' দিলাম এবং এর শানে নুযুল বর্ণনা করলাম। বাংলাদেশি'র ছেলের গল্প শুনে সে খুব আগ্রহী হলো।
রাতে একসাথে দেখতে বসলাম। সে দেখছে 'বান্ধবী' আর আমাকে রিকোমান্ড করলো 'Cinema Paradiso' দেখতে। কাল রাতে শেষ করতে পারিনি, এই মাত্র শেষ করলাম।
গল্পটা অনেকটা এরকম: টোটো রাত করে বাসায় ফিরলে বউ জানায় তোমার মা ফোন করেছিলো.......... বলেছে আলফ্রেডো মারা গেছে..... সে কি তোমাদের আত্মীয়?
বিখ্যাত মুভিমেকার টোটোর মনে পড়ে যায় কুট্টিকালের কথা। Cinema Paradiso আসলে একটা সিনেমা হলের নাম। এই হলেই তার সিনেমা দেখা শুরু সেই কুট্টিকালে। প্রজেকশনিস্ট আলফ্রেডো'র সাথে বন্ধুত্ব। বাবা রাশিয়ায় যুদ্ধে গিয়ে ফিরছে না।
একটা দৃশ্য বলা দরকার। টোটো মায়ের সাথে কোথাও থেকে আসছিল। এমন সময় মাকে কাদতে দেখে সে বললো, আমি জানি বাবা আর ফিরবে না। সে যুদ্ধে মারা গেছে.......... মা কাদছে......... কিন্তু শালা মুভিখোর এক পোস্টার দেখে হাসছে
যাই হোক, আলফ্রেডো আর টোটোকে নিয়েই গল্প। এখানে হাসি কান্না সবই আছে। আছে সিনেমা হলের গল্প, হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মতো কিছু ঘটনা, কিছু অভিনয় মনে রাখার মতো। সর্বোপরি, সময় নষ্ট হবে- এমন বলা যায় না।
রিকোমান্ড করলাম। চাইনিজ মেয়েরাও এমন ছবি দেখে, ভেবে অবাকই হলাম।