ছবিঃ ইরানে বেশ্যালয়
ধর্মের শেকল একদিকে খুলছে, অন্যদিকে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে মধ্যযূগে।
সাম্প্রতিক দুটো ঘটনা- একটি ইরানে, অন্যটি আরবে।
ইরান বেশ্যালয় এর জন্য ফান্ড বরাদ্দ করেছে, রাষ্ট্রীয় ভাবে! হুম এখন থেকে আপনি হালাল উপায়ে নারী-সম্ভোগ করতে পারবেন ইরানে, মাত্র ২০ থেকে ৫০ ডলার এর বিনিময়ে একটি কাগজে সই করে স্বল্প সময়ের বিয়েতে আবদ্ধ হয়ে আপনি যৌন-সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেন, কুমারী, সুন্দরী এ সব ভেদে উক্ত যৌন-সম্ভোগ এর মূল্যমান বিভিন্ন হতে পারে। যৌন-সম্ভোগ শেষে আপনি আবার আরো একটি কাগজে তালাক সই করে বাড়ি চলে আসবেন। ইরানে এমনটা অনেকদিন ধরেই চলে আসছিল, এই প্রথম পেল রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
সূত্রঃ Click This Link
অন্য ঘটনা আরবে, নারী-সহকর্মীর বুকের দুধ পান করতে হবে সকল পুরুষ সহকর্মীকে। এ প্রসঙ্গটিও অনেকদিন ধরেই আলোচনায় চলে আসছিল।
ছবিঃ আরবে মেয়ে শিশুদের উপর যৌন নিপীড়ন এর চিত্র!
"সৌদি মেয়েদের অনাত্মীয় পুরুষদের বুকের দুধ খেতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফতোয়া দিয়েছেন সৌদি রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক শেখ আল ওবেইকান । টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যে মেয়েরা নিয়মিত অনাত্মীয় পুরুষের সংস্পর্শে আসেন তাদের উচিৎ ওইসব পুরুষদের তাদের বুকের দুধ খেতে দেওয়া।"
সূত্র: http://taiyabs.com/2010/06/28382
গাড়ীর ড্রাইভারকে বুকের দুধ খাইয়ে তার "দুধ মা" বনে গেলে তখন তার সাথে একা একা গাড়ীতে ভ্রমন করা যাবে। কারণ সৌদি আরবে দুধ মাতাকে রক্তের সম্পর্কীয় আত্মীয়ের পর্যায়ে গণ্য করা হয়।
শিশুকে দুধ দিয়ে দুধ মা হওয়া বিশ্বের অনেক দেশে প্রচলিত আছে। তাই বলে পুর্ণ বয়স্ক পুরুষ সহকর্মীকে দুধ খাওয়ানো!!! এইসব চিন্তা এমাত্র সৌদিদের মাথায় আসাই সম্ভব!!! অবশ্য স্তনে মুখ লাগিয়ে দুধ খেতে হবে একথা সৌদি ইমাম বলেননি। বলেছেন আর এক মিসরীয় ইমাম। কিন্তু দুগ্ধ দানকারী পশুর মত নারীকে দোহন করে তার দুধ খেতে হবে এ কোন সভ্য মানসিকতা? ইসলামে ২.৫ (আড়াই) বছরের উপরের কোন মানুষের মাতৃদুগ্ধ পান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। তা সে সরাসরি হোক আর দোহন করে পাত্রে মুখ দিয়ে হোক।
এ প্রসঙ্গে শরীফ আল কাফী চমৎকার ভাবে বলছেন- "আগে তো হেরেম দাসী বান্দী নিয়ে ওরা ভালই ছিল। এখন সুন্ন্দরী মহিলারা ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশায় যোগ দিচ্ছে। আসছে বিদেশী/প্রবাসী আকর্ষণীয় সব নারী কর্মীরা। এখন পাপিষ্ঠরা তাদের সাথে ফষ্টি-নষ্টি করার উপায় বের করার চেষ্টা করছে। মনের মত ও ইফেক্টিভ হলে শরিয়া আইনে পাশও হয়ে যাবে। সৌদি রাজতন্ত্র হচ্ছে জন্ম থেকেই অবৈধ কাজ আর লাম্পট্যে ভরা। ওদের ভিতরের খবর আমরা খুব কম জানি। ওদের দ্বারা অনেক কিছু সম্ভব। (সৌদি রাজতন্ত্রের ইতিহাস খুব বেশী দিনের পুরাতন নয়। আগে এদের কোন অস্তিত্ব ছিল না। মহানবী (সঃ) এর বংশধর ছিল হাশেমীয় শাসক/রাজারা। তাদের রাজ্যের মধ্যে বর্তমান জর্ডান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, প্রভৃতি দেশ ছিল। সৌদিরা মূলতঃ বেদুঈন। বৃটিশরা হাশেমীয়দেরকে দুর্বল করার জন্য সাহায্য সহায়তা দিয়ে এই বেদুঈন সর্দারকে দিয়ে হাশেমীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘটিয়ে "সৌদি আরব" প্রতিষ্ঠা করে। এই ভাবেই সৌদি আরব এবং সৌদি রাজতন্ত্রের জন্ম। যে কৃতজ্ঞতার কারণে, সৌদি রাজারা ১৯৪৯ সালে ফিলিস্তিন যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সাহায্য না করে বৃটিশ আনুগত্য নিয়ে দুরে বসে তামাশা দেখেছিল।)
ওদের বর্তমান আইনে কোন পুরুষ অনাত্মীয় কোন নারী বা মেয়েকে একা পেলেই নির্ঘাত ধর্ষণ করবে। কারণ, ওদের আইনে ধর্ষণকারীর কোন বিচার হবে না। বরং ঐ নারী বা মেয়ে পুরুষ আত্মীয়কে সাথে না নিয়ে একা কেন বাইরে গিয়েছে তার বিচার হবে। ঐ নারীকে দোররা মারা হবে, কিংবা মাটিতে অর্ধেক পুতে পাথর মারা হবে। (এ বিষয়ে ২০০৮-০৯ সালের সেই বিখ্যাত মামলাটির কথা স্মরণ করুন, যেখানে একজন নারীকে থানার পুলিশ একা পেয়ে ধর্ষণ করেছিল। কিন্তু সেই মামলায় ধর্ষিত নারীকে শাস্তি দিয়েছিল সৌদি আদালত এবং ধর্ষিতা নারীর পক্ষে উকিল ছিলেন যে মহিলা তার ওকালতি লাইসেন্স বাতিল করা হয়ছিল। পরে বিশ্ব ব্যাপী প্রতিবাদের ঝড়ের মুখে সৌদি রাজা নিজেই শাস্তি মওকুফ করে দিয়েছিলেন। ধর্ষিতা মেয়েটির নাম কখনও প্রকাশ করা হয়নি সামাজিক কারণে। এই রকম ঘটনার উদাহরণ অনেক আছে)।
ওরা কেমন তা জানতে হলে সরকারী ভাবে বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে গৃহকর্মী হিসেবে কয়েক শত নারী ভিডিপি সদস্যকে পাঠানোর পর প্রথম তিন মাসের মধ্যে যে ৩৬ জন ফিরে এসেছিল তাদের মর্মান্তিক কাহিনী ভরা জবানবন্দী শুনুন!
শুধু ইসলামী রাষ্ট্র বা সংবিধানে বিসমিল্লাহ লাগালে হয় না। আমাদের ঢাকা শহরে প্রতি রাতে হোটেলে হোটেলে এবং নানান জায়গায় হাজার হাজার নারী (এমন কী ছোট্ট ছোট্ট কন্যা শিশু) দেহ দান করছে। তারা তো দান করছে, কিন্ত গ্রহণ করছে কারা? তারা নামাজ পড়ে কোন মসজিদে? ঈদের জামাত করে কোথায়? ধিক এইসব লম্পটদেরকে!!!
সৌদি আরবে ৭০ বছর বয়সের একজন বৃদ্ধাকে দোররা মারা এবং জেল দেয়া হয়েছে কারণ তিনি নিকট সম্পর্ক নয় এমন দুজন পুরুষকে রূটি খাইয়েছেন! লিংকটি দেখুন: Click This Link
এই যাদের আইন তারা সাবালক হবার পরও সহকর্মী নারী এবং পরনারীর দুধ খাবার ধান্দা বের করবে না!!!!!"
বাংলাদেশের অজপাড়া গাঁর একজন কাটমোল্লার ধর্মচিন্তা আর মিসরের আল আজহার ইউনি কিংবা মদীনা ইউনি থেকে বেরিয়ে আসা ইসলামিক স্কলারের ধর্মচিন্তা কি এক?"
আমি বলবো এক, কারণ দুজনেই ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আছেন। একজন বাংলায় হিল্লা বিয়ের প্রচলন করেন আরেকজন পুরুষ সহকর্মীকে নারী সহকর্মীর বুকের দুধ পানের ফতোয়া দেন। দুটোই বিকৃত যৌনতারই প্রতিফলক।
ref:
1.http://www1.albawaba.com/en/behind-news/iran-permits-brothels-through-temporary-marriages
2. Click This Link
3. Click This Link
4. Click This Link
5. Click This Link
6.http://latimesblogs.latimes.com/babylonbeyond/2010/06/saudi-women-use-fatwa-in-driving-bid.html
7.http://gulfnews.com/news/gulf/saudi-arabia/saudi-women-use-fatwa-in-driving-bid-1.643431
8.http://www.aolnews.com/world/article/saudi-clerics-advocate-adult-breast-feeding/19504280
9.http://open.salon.com/blog/twodaymag/2010/06/07/women_forced_to_breastfeed_adult_men_in_saudi_arabia
10.http://www.marieclaire.com/world-reports/opinion/breastfeeding-in-saudi-arabia
11.http://www.digitalspy.co.uk/forums/showthread.php?t=1272667
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:২০