বাহাত্তর থিকা পচাত্তর তাগো খুব দুশশময় গেছে। কই যাইবো, কি খাইবো ঠিক নাই। ধরা পড়লে কিন্তু জামিন নাই।
এক একজন গিয়া হান্দাইছে চিপায়। কেউ জেলে। কেউ আন্ডারগেরাউন্ডে। কেউ দাড়িমোছ ফালাইয়া ছদ্মবেশে।
তো এমনি এক রাজাকার চুৎমারানি একদিন শুইয়া ছিল মাটিতে। ছিড়া তোষকের উপরে। ছিড়া লুঙ্গি পইরা। বাতাসে লুঙ্গি সইরা গেলে পুটকির উপর পাঠানগো খামচির চিহ্ন দেখা যায়।
এক গর্ভবতী তেলাপোকা যাইতেছিল পাশ দিয়া। কি মনে কইরা সে ঢুইকা গেল মাটিত শোয়া সেই চুৎমারানি রাজাকারের পুটকিতে। পাঠানগো ঠাপঠুপ খাইয়া তার ঐদিক তখনও দরাজ হইয়া আছে, সে টেরও পাইল না কি ঢুকল।
গর্ভবতী তেলাপোকা ডিম পাইড়া চইলা আসলো এক অসম্ভব চিপায়।
দুঃস্বপ্ন দেইখা চুৎমারানি রাজাকার ঘুম থিকা উঠল। দেখল, কেমন জানি কুটকুট করে ঐখানে। তার মনে পইড়া গেল '৭১ এর স্মৃতি। পাঠানরা কেমনে তার পুটকি মারছে। আহা, কি দিন আছিল।
দিন যায়। তেলাপোকার ডিম আর ফুইটা বাইর হয় না। ঐখানেই রইয়া যায়।
তারপর একদিন সুদিন আসে। চুৎমারানি রাজাকার গর্ত থিকা বাইর হইয়া আসে। আবার লাফজাপ শুরু করে। আবার দাড়ি রাখে, সুরমা দেয়। ওয়াজ মাহফিলেও যাওয়া আসা শুরু করে।
তারপর একদিন, তেইশ বছর আগে, তার পুটকির ভিতরে রক্ষিত সেই ডিম ফুইটা বাইর হয় সেই তেলাপোকার বাচ্চা।
হেপি বাড্ডে চান্দু।