আমি কইলাম, "পিজা খাইবা সোনা?"
মাইয়া কয়, "পিজা না, পিদজা।"
আমার তো কইলদজা হুগায় গেলগা। আয়হায়, মাইয়া দেহি গিয়ান ঝাড়ে খালি। বহুৎ কষ্টে টাকরায় জিব্বা ঠ্যাকাইয়া কইলাম, "পিদজা খাইবা সোনা?"
মাইয়া কয়, "চল খাই।"
গেলাম পিদজা খাইতে।
মাইয়া মেনু হাতে লইয়া খুটাইয়া খুটাইয়া পড়ল। পকেট থিকা পেড আর কলম বাইর কইরা কি কি জানি লিখল। তারপর আমারে কইল, "বেশির ভাগ আইটেমই বোরিং। চলো এইটা খাই, পিদজা পুতুপুতু।"
কাগজ লইয়া পিদজা পুতুপুতুর শানে নযুল পইড়া তো মাথা চক্কর দিল। কি নাই ঐটাতে। মুরগি, গরু, মরিচ, টমাটো, টুনা, আরো কি কি জানি বিদেশি খাওনদাওন। দামও মাশাল্লা। ছয় ইঞ্চি ৫০০ টাকা। আট ইঞ্চি ৫৫০। দশ ইঞ্চি ৬০০।
মাইয়া কয়, "খিদে পেয়েছে। বারো ইঞ্চি নিই, কি বল?"
আমি কই, "সোনা, ওরা ত দশ ইঞ্চি পর্যন্ত বানায়।"
মাইয়া কয়, "ডিয়ার, একটু চেষ্টা করলেই দশ ইঞ্চিকে বড় করে বারো পর্যন্ত নেয়া যায়্। ট্রাস্ট মি।"
কতাটার মদ্যে অন্য কিছুর গন্দ খুইজ্যা পাইলাম। কিছু কইলাম না।
মাইয়া তুড়ি দিয়া এক টাই পরা শাখসরে ডাইকা কইল, "ভাইয়া, পিদজা পুতুপুতু একটা বারো ইঞ্চি দেন পিলিজ। সাথে দুইটা পাইনঅ্যাপল জুস।"
আমি আর কি কমু, মনে মনে মানিব্যাগটার জানাজা পড়লাম।
পিদজা আসলো গরমাগরম। কাইটাকুইটা সাইজ করা। আমি ত কাটাচামচ আর ছুরি লইয়া রেডি।
মাইয়া কয়, "তিষ্ঠ বেবি।" কইয়া পকেট থিকা একটা গোল ইস্কেল বাইর করলো। টাইনা ফিতা বাইর কইরা মাইপা দেখলো বারো ইঞ্চির পিদজা কত ইঞ্চি।
তারপর কইল, "চুকি চুকি। এগারো দশমিক দুই পাচ।" তারপর সেই টাই পরা লুকরে ডাইকা দেখাইল। "লুক, আপনাদের বারো ইঞ্চি পিদজার কি অবস্তা!"
তারপর খাবাজাবা হইল। পিদজার দাম এট্টু কমল মাইয়ার ঝাড়ি খাইয়া।
মাইয়া ইস্কেল পকেটে রাইখা কয়, "আই অলওয়েজ মেজার থিংস আপ। কেউ আমাকে বারো ইঞ্চি বলে কম দিলে আমার ভালো লাগে না।"
আর পিদজা কি খামু কন?