আজ ইত্তেফাকে একটি ফিচার দেখলামView this link । ফিচারের বিষয় নির্বাচন খুব ভালো। বিষয়টা হলো ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়াশোনা। এখানে এই মেধাবী শিক্ষার্থীদের অবমূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। আসলেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো পড়াশোনা করলেও তার প্রচার নেই বলে এদের তুলনায় একেবারে মানহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অযোগ্য পোলাপানও এগিয়ে যায়। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। কারন আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেধাগত যোগ্যতা সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নর্থসাউথের চেয়ে অনেক ভালো। এমনকি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা নজরুল বিশ্ববিদ্যলয় এ ভর্তির চান্স না পাওয়া শিক্ষার্থীরাই নর্থ সাউথে শীর্ষ হয়।
তবে আমার আলোচনার বিশয় আজ এটা না। একটা ফিচার।
ইত্তেফাকের ক্যাম্পাস পাতায় ছাপানো এই প্রতিবেদনটি সম্পর্কে আমার কিছু অভিযোগ আছে। বক্তব্য সম্পর্কে একমত আমি। কিন্তু প্রতিবেদক আর পাতার সম্পাদক মনে হয় ঘাস খায়। দায়িত্বহীন কথা ছাপায় বলেই এসব ঠিক নিউজগুলোও গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। ইত্তেফাকের মতো পত্রিকায় এমন ছাগলামি মানা যায় না।
দুটি বিষয়। এখানে বলা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরেই নাকি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ/এমবিএ এর চাহিদা! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? এই দায়িত্ব কে দিয়েছে ছাগু প্রতিবেদক আর পাতার সম্পাদককে? ঢাবির আইবিএ তো আছেই, এর পর তো জাহাঙ্গীরনগরের আইবিএ চলে আসে নির্দিধায়, এটা সবাই জানে। এমনকি ঢাবির ব্যবসায় অনুষদের চেয়েও এটার বেশি চাহিদা বাজারে। এছাড়াও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ খুউব ভালো করছে এখন। শাবিপ্রবি, চবি, রাবি এমনকি জবিরও বেশ ডিমান্ড। এমন সময় কোন দায়িত্ব ছাড়াই এমন রেটিং করলে পত্রিকাটিকে কেউ বিশ্বাস করবে?
এছাড়াও এখানে আছে ভুল তথ্য। ঢাবির পরে না, বাংলাদেশে সবার আগে বিবিএ শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগরের ব্যববসায় প্রশাসন বিভাগে, এখন যেটি আইবিএ। এরপর ঢাবির আইবিএ ও খুলনায়। সেখানে প্রতিবেদন না জেনেই বলে দিলো ঢাবির পরেই নাকি ইবিতে বিবিএ/এমবিএ খোলা হয়েছে। সাংবাদিদের মূর্খতা ছাড়া এটাকে কি বলবেন আপনি? এই ফিচারটি যদি কেউ রেফারেন্স হিসেবে নেয় তাহলে তার দায় কে নেবে?
বি. দ্র. আমি সাংবাদিকদের খাটো করতে এটা বলিনি। আমি সব সাংবাদিকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু এমন কমনসেন্স ছাড়া লেখা ছাপা হতে পারে দেখে কিছু সাংবাদিক নিয়ে যোগ্যতার প্রশ্ন এসেই যায়।