অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন সম্পর্কে বলতে গেলে তিনি মোটামুটি ধর্মপ্রান মুসলমান বলা যেতে পারে। কলেজে নামাজ কক্ষে তাকে নিয়মিতই নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।এমন একজন লোককে আমাদের অনেকেই খুব নোংরা উপমা দিয়ে উপস্থাপন করছি। তাকে তুলনা করা হচ্ছে পরিমল জাতীয় ব্যক্তির সাথে।
আমার বোন গত দুই বছর ধরে ইসলামিক ড্রেস কোড মেনেই কলেজ করে আসছে।কলেজের ড্রেস কালারের সাথে মিলিয়ে বোরকা জাতীয় গাউন(হাটু পর্যন্ত) পড়ার অনুমতিআছে। এবং আল্লাহর রহমতে এতে এতদিন তার কোনো সমস্যা হয়নি।
আমি জানিনা বোরকা বলতে এখানে কতিপয় ছাত্রীরা কোনটার কথা বুঝাতে চেয়েছে তাদের গাউনকে নিষেধ করা হয়েছে না পা পর্যন্ত বিস্তৃত কাল বোরকাকে। যদি প্রথমটাও নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তা অধ্যক্ষের বাড়াবাড়ি। আর যদি দিত্বীয়টা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয় তাহলে এটাকে বাড়াবাড়ি বলা যাবে না । কারন স্কুলের ড্রেসের সাথে পা পর্যন্ত বিস্তৃত কাল বোরকা পড়ার কোন যুক্তি চোখে পড়ে না।
অধ্যক্ষ সম্পর্কে এতক্ষন কোন খারাপ কথা বলি নি।কিন্তু একটা সমালোচনা না করলেই নয়, এই অধ্যক্ষই ক্লাসের মধ্যে কিছু ছাত্রীর নিকাব খুলতে বাধ্য করেছেন। জানিনা উনি ওনার কোন ধর্মজ্ঞান দিয়ে এমনটি করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছেন? আর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও এমনটি করার অধিকার অধ্যক্ষের নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:০৪