তিনি ৯ বছর ধরে শিক্ষামন্ত্রী,
ক্ষমতায় এসেই তিনি নতুন কুক্ষিগত শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছেন,
পাঠ্যবইয়ে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদী লেখা দিয়ে ভরপুর করেছেন,
ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে মঙ্গলশোভা যাত্রা বাধ্যতামূলক করেছেন,
স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পূজা জারি করেছেন,
স্কুল-মাদ্রাসায় রবীন্দ্রের গান দিয়ে প্রতিযোগিতা চালু করেছেন,
শত নিয়ম-নীতি চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গিনিপিগের মত পরীক্ষা করেছেন,
ভারত থেকে ১ বার, ইউনেস্কো থেকে দুই বার পুরষ্কার পেয়েছেন।
কিন্তু প্রশ্নফাঁস বন্ধ করতে সক্ষম হন নাই।
ফলশ্রুতিতে ছাত্রছাত্রীরা তার উপর ক্ষেপে গিয়ে তার পদত্যাগ চেয়েছে,
কিন্তু তিনি পদত্যাগ করতে রাজি নন।
এখন তিনি ‘ট্যাব’ দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আহারে ট্যাব দিয়ে পরীক্ষা, শুনতে কত সুন্দর।
বাস্তবে ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীকে ট্যাব দিয়ে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব কি অসম্ভব সেটা পরে বিষয়,
কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্য সম্ভবত ভিন্ন, ট্যাব নামক মুলা দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভকে প্রশমিত করা।
শুনেছি একই ঘটনা নাকি এরশাদ সরকারও দেখিয়েছিলো।
আন্দোলনরত ছাত্র সমাজকে থামাতে বিশ্বকাপ ফুটবল টিম নামক মুলা দেখিয়েছিলো।
কিন্ত যেই মুলাই দেখাক,
তিনি যে বার বার নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করে যাচ্ছেন, এটা কি স্বাভাবিক কোন বিষয় ?
এটা কি পুতুল খেলা, যে ইচ্ছে হলে ভেঙ্গে দিলাম, আবার নতুন করে গড়লাম ?
বাংলাদেশে চাকুরী ক্ষেত্রে ৫-৬ শিক্ষাবছর ব্যবধানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে। ধরে নিলাম, পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিলো, কিন্তু এইযে বারং বার শিক্ষা পদ্ধতি চেঞ্জ করা হচ্ছে, এতে চাকুরী সেক্টরে দিয়ে দুই নিয়মের শিক্ষার্থীদের তুলনা হবে কিভাবে ?
যে লোক ৯ বছর শিক্ষামন্ত্রী থাকার পরও আবার নতুন করে শিক্ষাপদ্ধতি চালু করতে চায়, তাকে কোন যোগ্যতায় শিক্ষামন্ত্রী পদে রাখা হয়, তা সত্যিই হাস্যকর।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৫