বিএনপির শ্লোগান - গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা
আজকে যে রায়টা হয়েছে, এটাই আসলে গণতন্ত্র ।
গণতন্ত্রের ভুয়া সংজ্ঞা হচ্ছে, জনগণের ইচ্ছাই গণতন্ত্র ।
কিন্তু গণতন্ত্রের আসল সংজ্ঞা হচ্ছে, ‘শাসক দল যা চায়, তাই গণতন্ত্র।’
সে হিসেবে শাসক দখল চেয়েছে, খালেদা জিয়ার জেল হোক, তাই হয়েছে।
তাই বাস্তবে, আজকে আসলে প্রকৃত গণতন্ত্র-ই প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
সম্রাজ্যবাদীরা এক সময় দেশ দখল করে, এরপর ঐ দেশের ধন সম্পদ লুটপাট করতো।
কিন্তু পরবর্তীতে তারা দেখলো, এ সিস্টেমরা খুব ঝামেলাপূর্ণ।
কারণ ঐ দেশ দখল করতে প্রশাসনে লোক লাগে, সেনাবাহিনী লাগে, মারামারি লাগে।
বিয়ের থেকে ঢোল বাজনা বেশি হয়ে যায়। তাই তারা ‘গণতন্ত্র’ নামক সিস্টেমটা বের করলো
আগে কোন দেশ দখল করতে গেলে, ঐ দেশের জনগণ বাধা দিতো, প্রয়োজনে যুদ্ধ করতো।
আর এখন ঐ দেশের জনগণ নিজেরাই ‘গণতন্ত্র’ পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে। কত সুবিধা।
গনতন্ত্র এমন একটা সিস্টেম, যেখানে দুই দল মিলে রাজনীতি করে, আর বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য উপরে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। থানার কমিটি যোগাযোগ করে জেলার কমিটির সাথে; জেলা কমিটি যোগাযোগ করে বিভাগীয় কমিটির সাথে; বিভাগীয় কমিটি যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে। আর কেন্দ্রীয় কমিটি যোগাযোগ করে কেউ আমেরিকার সাথে, কেউ চীনের সাথে, কেউ রাশিয়ার সাথে, কেউবা ভারতের সাথে। যদিও মুখে বলে জনগণের জন্য গণতন্ত্র, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমেরিকা-চীন-রাশিয়া-ভারতের সুবিধার জন্য গণতন্ত্র। তারা চাইলে দলগুলো ক্ষমতায় থাকতে পারে, তারা না চাইলে নেমে যেতে হয়। এক্ষেত্রে জনগণের চাওয়া-পাওয়া-আশা-আকাঙ্খার বিন্দুমাত্র মূল্য নাই। এবং রাজনৈতিক দলগুলো সেটা গোনায়ও ধরে না।
আসলে গনতন্ত্র হচ্ছে কর্পোরেটোক্রেসির একটা অংশ। অর্থাৎ কর্পোরেক্রেসি বা ধর্নী কর্পোরেটদের পলিসি সফল করতে গনতন্ত্রের প্রয়োজন। সেই সব ধর্নী কর্পোরেটদের পলিসিগুলো বাস্তবায়ন করে সম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো। উল্লেখ্য আগের সময় সম্রাজ্যবাদীরা সৈন্যবাহিনী দিয়ে দেশ দখল করতো, সেটা ছিলো ঐ সময়কার কর্পোটেক্রেসির বা কর্পোরেটদের স্বার্থের অংশ। যেমন, ব্রিটিশরা এ অঞ্চল দখল করার জন্য ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ নামক একটি প্রাইভেট বাহিনীকে পাঠায়। এই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মালিক কিন্তু ব্রিটিশ সরকার ছিলো না, ছিলো ইহুদী ব্যাংক পরিবার ‘রথচাইল্ড ফ্যামিলি’ (Click This Link)। যদিও রথচাইল্ডের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিটি ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সাথে মার্জ হয়ে যায়। বর্তমানে ইহুদীবাদীদের উত্থ্যানের পেছনে ৩শ’ বছর পূর্বেই ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সাথে ইহুদীদের গোপন চূক্তি হয়। এ কারণে দেখবেন, ইহুদীদের যে কোন দালাল অযথাই ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রশংসায় মত্ত থাকে। (মোসাদ এজেন্ট শিপান কুমার বসুর আইডি’র টাইমলাইন দেখলে বুঝতে পারবেন- (facebook.com/shipankumerbasu)
কর্পোরেটোক্রেসি বা ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষায় অংশ থাকে তিনটি-
প্রথম- কর্পোরেট
দ্বিতীয়- ব্যাংক
তৃতীয় – জনগণ যার প্রতিনিধিত্ব করে গণতান্ত্রিক সরকার। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের উপর কর্পোরেটদের পলিসি বাস্তবায়ন করে।
আমি আবারও বলবো,
মুসলমানরা যদি ইহুদীদের খপ্পর থেকে বাচতে চায়, তবে ওদের বানানো বিভিন্ন পলিসি, বিশেষ করে ‘গণতন্ত্র’ নামক পলিসি থেকে সরে আসতে হবে। মুসলমানরা ওদের পলিসি চর্চা করবে, আর বলবে ইহুদীদের খপ্পর থেকে বের হবো,সেটা হবে না। লেখার শেষে আবারও বিএনপির জন্য একদলা কষ্ট গণতন্ত্রের ফাদে আটকানোর জন্য এবং আওয়ামীলীগকে শুভেচ্ছা সঠিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০০