গত নভেম্বর মাসে ফ্রান্স দাবি করে, গত অক্টোবর থেকে রাশিয়া থেকে তারা তেজস্ক্রিয়তা টের পাচ্ছে। সম্ভবত রাশিয়াতে কোন পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ফ্রান্সের সে দাবি অস্বীকার করে রাশিয়া। বলে- না আমাদের এখানে কোন পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটেনি। (http://bit.ly/2noBfm9)
কিন্তু গত ৩ দিন আগে ফের খবর আসে-রাশিয়া থেকে আমদানি করা মাশরুমের মধ্যে তেজস্ক্রিয়তা পাইছে ফ্রান্স। (http://ab.co/2i7DPr4)
রাশিয়াতে পরমাণু দুর্ঘটনা নতুন কিছু না। এর আগেও সেখানে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের পরমাণু দুঘর্টনা ঘটেছে। কিন্তু রাশিয়ার সুবিধা হচ্ছে তার আয়তন প্রায় ১ কোটি ৭১ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। অপরদিকে বাংলাদেশে আয়াতন মাত্র ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে ১৭০ গুন বড়। সে হিসেবে রাশিয়াতে একটি পরমানু দুর্ঘটনা ঘটলে দেশটি যতটকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ থেকে তার থেকে ১৭০ গুন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব রাশিয়ার জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলানায় ১৩১ গুন। জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করলেও রাশিয়াতে ১টি দুর্ঘটনা ঘটলে যে ক্ষতি হবে বাংলাদেশে তার ১৩১ গুন বেশি ক্ষতি হবে।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে- রাশিয়াতে একটি অঞ্চলে পরমানু দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ ঐ এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় যেতে পারবে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যাবে কোথায় ?
সম্প্রতি রাশিয়ার সহযোগীতায় বাংলাদেশের পাবনার রুপপুরে স্থাপিত হচ্ছে পরমানু বিদ্যুৎ প্রকল্প। বাংলাদেশের আয়তন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করলে এই পরমানু প্রকল্প খুবই বিপদজনক। বিশেষ করে যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আরো অনেক প্রযুক্তি আছে, সেখানে বাংলাদেশের মত এত জনবহুল ও ছোট দেশে পরমাণু প্রকল্প তৈরী করা নিশ্চিত আত্মহত্যার সামিল।
যারা নিজের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে বিদেশী সাথে আতাত করে এসব পরমানু প্রকল্প নিয়ে এসেছে, তাদের প্রত্যেকেরই ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়ি আছে । এরা নিজের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের ইউরোপ-আমেরিকায় বড় করছে। কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটলে এসে প্লেন দিয়ে উড়ে সোজা বিদেশের বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ তখন যাবে কোথায় ? তাদের তো নিজ ভিটে-মাটি ছেড়ে যাওয়ার যায়গা নেই।
উল্লেখ্য, অনেকে পরমানু বিদ্যুৎ প্রকল্পকে পরমানু বোমা ভাবা শুরু করছে। এটা চরম বোকামি। দুটো কখনই এক জিনিস নয়। কিংবা বাংলাদেশে এ সেক্টরে গবেষণা এত উন্নত হয় নাই, যে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা সেখান থেকে পরমানু বোমা প্রযুক্তির জন্য ফায়দা নিতে পারবে। আর বিদেশী গেলাম সরকার সে সুযোগ কখন দিবে বলেও মনে হয় না। তাই বাংলাদেশ পরমানু দুনিয়ায় নয় বরং টাইমবোমের ভেতর প্রবেশ করেছে, এ সত্যটাই এখন মেনে নিতে হবে।
⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤⛤