জনে জনে ইসলামের দাওয়াত দেওয়াই নওমুসলিম আব্দুল আজিজের অপরাধ!
মৌলভীবাজার জেলার করিমপুর গ্রামের সুনিল বাবু দাশ এর ছেলে কানন সারতি ওরফে কানু দাস প্রায় ৪ বছর পূর্বে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর তার নতুন নাম হয় আব্দুল আজিজ, নতুন ঠিকানা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ডামপাল গ্রামে। এই ৪ বছরে নিজের বাবা-মাসহ ২০ থেকে ৩০ জন হিন্দুকে তিনি ইসলাম ধর্মে দিক্ষীত করেছেন। আব্দুল আজিজের হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সিলেট বিভাগীয় হিন্দু- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। ফেসবুকে তার নামে হিন্দুদের নিয়ে হুমকি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করে দেওয়া হয় কম্পিউটার দিয়ে কারসাজি করে বানানো পোস্ট।
এই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডির আবেদন নিয়ে এসে উল্টো তাকেই গ্রেফতার করে বসেছে পুলিশ। যার বিরুদ্ধে এসব কারসাজির অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছিলো আব্দুল আজিজ এখন উল্টো তার দেওয়া মামলায় গ্রেফতার হতে হয়েছে!
বুধবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় বিকাল ৩টায় ঘটনাটি ঘটেছে। রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম ফজলুল হক শিবলী এ প্রতিবেদককে জানান, ‘আজিজ একটা ড্যাঞ্জারাস (বিপদজনক) লোক, কত মুসলমান আছে কেউ বাড়াবাড়ী করেনা; সে এত মুসলমান বানাতে যায় কেন? তার ভালোর জন্য আটকে রেখেছি না হলে বাকি হিন্দুরা তাকে কিডনাপ করে মেরে ফেলবে। তার জন্য জেলখানাই নিরাপদ।’
সে কেন থানায় এসেছিলো এবং কোন মামলা ছাড়া থাকে কেন গ্রেফতার করা হলো জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, ‘সে একটা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) আবেদন নিয়ে এসেছিলো সন্দেহ হওয়ায় আটক করা হয়েছে। রাকেশ বাবু আসলে আজিজের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে।’
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে জকিগঞ্জ উপজেলার কেরাইয়া পল্লীশ্রী গ্রামের মৃত সুরেশ রায়ের ছেলে রাকেশ রায় জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। জিডি আবেদনের কপিতে আব্দুল আজীজ রাকেশ রায়কে অভিযুক্ত করে উল্লেখ করেছিলেন “ ফেসবুকে আমার সাবেক জাতি ভাই (হিন্দু দাদা রাকেশ রায়) আমার নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেক আইডি তৈরী করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশদ্রোহী দেখানোর জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি উনাকে (রাকেশ) অনুরোধ করি আমার নামে ভিন্ন ধরনের বাজে কথা বার্তা না লিখার জন্য। তিনি আমার কথায় কর্নপাত না করে আমাকে লাদেন ও জঙ্গী বলে গালাগাল করেন যার প্রমাণ ফেসবুক মেসেঞ্জারে রয়েছে।
ওসির কথায় প্রমান হয় জনে জনে ইসলামের দাওয়াত দেওয়াই আব্দুল আজিজের একমাত্র অপরাধ! তিনি নিজেই বলেন, কত মুসলিম আছে কিন্তু সে কেন এত মুসলিম বানাতে যায়?
এখনো কি মুসলিম সমাজ চুপ করে থাকবে! একটি মুসলিম প্রধান দেশে তাওহীদের বানী প্রচারের জন্য তাকে জেলে যেতে হবে! জেগে উঠুন ইসলাম প্রিয় জনতা। আজ জুম্মাবাদ দেশের প্রতিটি এলাকায় বিক্ষোভ বা মানববন্ধন করা উচিৎ।
#FreeNewMuslimAbdulAziz