মাত্র ২৪টি বুনো খরগোশ দখল
করলো একটি মহাদেশ!
বুনো খরগোশ মাংস উৎপাদনের
জন্য অষ্ট্রেলিয়ার এক কৃষক তার
খামারের জন্য ২৪টি বুনো খরগোশ
এনেছিলেন। সেগুলো পরবর্তিতে এত
ছড়িয়ে পড়ে যে ১৮৮৭ সালে
অষ্ট্রেলিয়ার একটি প্রাদেশিক
কলোনিয়াল সরকার খরগোশ দমনের
নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য
২৫ হাজার পাউন্ড পুরষ্কার
ঘোষণা করে। ১৮৯৩ সালে
খরগোশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে
rabbit-proof fence দিয়ে
রাখে যাতে খরগোশ ছড়াতে না পারে।
অবশ্য ততদিনে খরগোশ
অষ্ট্রেলিয়ার দুই তৃতীয়াংশ জায়গায়
ছড়িয়ে পড়েছে। শেষমেষ ১৯৫০
সালে Myxomatosis ভাইরাস
দিয়ে খরগোষ মারার ব্যবস্হা করা
হয় এবং অনেকটাই সফল হয়
কর্তৃপক্ষ। কিছু জায়গায় ৯৯%
খরগোশ মারা যায়।
আরও হাস্যকর বিষয় টেনে না
আনলেই নয়, সেটি হলো, এই খরগোশ
দমন কমিটি খরগোশকে দমন করতে
শিয়াল আনে। পরবর্তিতে এই
শিয়ালের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেলে
শিয়াল দম কমিটি গঠিত হয়!!!
বুনো খরগোশের মহাদেশীয় দখল
কান্ড থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়নি,
একইভাবে বাইরের প্রানী এনে
বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার
পর স্হানীয় পরিবেশের ভারসাম্যের
যথেষ্ঠ ক্ষতি করেছে মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৩