সেদিন রেজাল্টের দিন।অবশেষে বিকাল তিন ঘটিকায় রেজাল্ট গুটি গুটি পায়ে রুমে প্রবেশ করলো।আই মিন রেজাল্ট উইথ স্যার অর স্যার উইথ রেজাল্ট।
দেখলাম অসম্ভব সম্ভব করে ফেলেছি ।পাশ করে ফেলছি!! ।কেমনে কি হইলো বুঝলাম না।কিন্তু তাতে কি?পেরেছি তো।
চারদিকে বীরদর্পে হাটাহাটি করছি ।এরে ওরে পয়েন্ট জিজ্ঞাসা করছি।একটি ভালো আবহাওয়া।
হঠাৎ দেখি কেলাশের এক মেয়ে যায়।জিগাইলাম কিরে দোস্ত...রেজাল্ট কিতা? ( উইথ ৩২ স্মাইলিং টিথ)
মেয়ে মুখটা হাড়ি বানায় গেলোগা।হাউ রুড!!! রেজাল্টের শোকে কি ব্যবহার পায়ে ফালায় দিলি নাকি?মেনারলেস মানুষ সব।পরীক্ষা খারাপ হইলে আবার ইম্প্রুভ দিবে ।আজবযযয......
অবশেষে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।নীচে নেমে দেখি অই মেয়েই ...(দুনিয়া আসলেই গোল তা আমরা প্রতিনিয়ত এইসব ছোটখাটো উদাহারণ থেকেই পাই) এইবার সে মেয়ে আরো কয়েক ডিগ্রী উপরে। হাপুস নয়নে কাঁদতেছে ।আর ২-৩ জন সখী স্বান্তনা দিচ্ছে। এ বিউটিফুল সিন...
কিন্তু তবুও আমি আবার চিরকালের অভ্যাস অনুযায়ী বিউটিফুল সিন টাকে আরো বিউটিফুল বানানোর উদ্দেশ্যে সিনে প্রবেশ করে ফেললাম। :#>
জিগাইলাম, “কিরে কাহিনী কি? ও (নায়িকা) কান্দে কেন” ? ( যেনো আমি কিছুই জানি না।খিক খিক।আমি তো সব জানি।তার তো ইম্প্রুভ দেয়া লাগবো।)
ওরা বল্লো, “আর বলিস না।একটুর জন্য ফার্স্ট হতে পারলো না”।
এ আমি কি জানিলাম । চোখগুলা বের হয়ে আসতে নিছিল ।শুধু চশমাটার জন্য পড়ে গেলো না।কোনোরকমে চোখ ঠিক করার সাথে সাথে দেখলাম ওর দুঃখে আমার হৃদয় কিঞ্চিত ভেংগে নিচে পড়ে গেলো ।হৃদয় এর টুকরা গুলা তুলে নিয়ে সিন থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসলাম। আমার মতো বিপদে যাতে কেও না পড়েন। আমি তো পাস করছি...সে যে ফার্স্ট হয় নাই!! কি বাজে অবস্থা !!
তাড়াতাড়ি সিন থেকে বের হয়ে লাল নীল বিকালের আকাশ আর মাটি দেখতে দেখতে আর বাদাম চিবুতে চিবুতে বাসার উদ্দেশ্যে হাটা দিলাম :#> । আশে পাশে আর তাকাই নাই যদি আবার এরকম বিউটিফুল সিন দেখে ফেলি।