গায়ক ও কবি কবীর সুমনের ষাট বছরের জন্মদিন উপলক্ষে নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হয়ে গেল বালাই ষাট বলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠান । সুমনের গান গাইলেন বিভিন্ন জেনারেশনের শিল্পীরা । আমি অবশ্য টিভিতেই দেখলাম অনুষ্ঠানটি ।
১৯৯২ সালে সুমনের তোমাকে চাই অ্যালবামটি বেরোনোর পর সুমনকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি । তিনি তাঁর পরের বহু জনপ্রিয় গায়ক গায়িকাকে প্রভাবিত করেছেন । নচিকেতা, অঞ্জন দত্ত, রূপঙ্কর, অনেকই বলেছেন তাঁরা যদি সুমনের গান না শুনতেন তাহলে তার হয়তো কোন দিন গানই গাইতেন না ।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় হৈমন্তী শুক্লার গানের ভিতর দিয়ে । এরপর রূপঙ্কর, দোহার, সাবিনা ইয়াসমিন, ফসিল্স, চন্দ্রবিন্দু, শহর, অঞ্জন দত্ত এবং তাঁর ছেলে নীল, শ্রীকান্ত আচার্য, ব্রহ্ম ব্যান্ড, লোপামুদ্রা সবাই গাইলেন ।
দোহারের দুটি গান অনবদ্য লাগল । সুমনের গানের তাঁরা যেন এক অন্য মাত্রা দিলেন । অঞ্জন দত্তের ছেলে নীল সুমনের একটি ইংরেজি গান গাইলেন । ফসিল্সের রূপম তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ইন্টেলেকচুয়াল ভঙ্গিতে সুমনের রংপেনসিল গানটির অন্য রূপ তুলে ধরলেন । শ্রীকান্ত, লোপামুদ্রা নিজেদের পেশাদারী দক্ষতা বজায় রাখলেন । ব্রহ্ম ব্যান্ডের গান আমি আগে শুনিনি । এই ব্যান্ডের একটি মেয়ে সুমনের পেটকাটি চাঁদিয়াল গানটি সম্পূর্ণ অন্য কায়দায় গাইলেন ।
জয় গোস্বামী কবিতাপাঠ করলেন । অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি প্রায় পুরো অনুষ্ঠানটিই দেখলেন । তবে পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক জগতের আমরা ওরা ভাগাভাগির পর 'আমাদের দলের' কাউকে তেমন চোখে পড়ল না ।
তবে চোখে লাগল এই অনুষ্ঠানে সুমনের গানের বড় ভক্ত নচিকেতার না থাকাটা । কেন জানিনা মনে হল নচিকেতা থাকলে অনুষ্ঠানটি আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হত ।
সুমন নিজে কোন গান পুরো গাইলেন না তবে অনেক গানেই গলা মেলালেন । অনবদ্য একটি অনুষ্ঠান উপহার দেবার জন্য কলকাতা টিভিকে ধন্যবাদ ।